শেষ বলে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত
ম্যাচ এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল শ্রীলঙ্কার হাত থেকে বেরিয়েই গেছে। শেষ ১২ বলে লঙ্কানদের প্রয়োজন ছিল ২৯ রান, হাতে ২ উইকেট। তবে ১৯তম ওভারে ১৬ রান নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন দুই লঙ্কান ব্যাটসম্যান কাসুন রাজিথা ও চামিকা করুনারত্নে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ১৩ রান।
ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেন চামিকা করুনারত্নে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি অতিথিরা। শেষ বলে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ৪ রানের। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ব্যর্থ করুনারত্নে নেন ১ রান, দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হন কাসুন রাজিতা। মুম্বাইয়ের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খুব কাছে গিয়েও তাই শ্রীলঙ্কা হেরেছে ২ রানে।
এদিন ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ভারত করে ৫ উইকেটে ১৬২ রান করে ভারত। জবাবে শেষ বলে অলআউট হয়ে ১৬০ রানে থেমে যায় শ্রীলঙ্কা। এই জয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পথ হারায় শ্রীলঙ্কা। ৬৮ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। লঙ্কান ব্যাটিংয়ে মূল আঘাতটা হানেন পেসার শিভম মাভি। দ্বিতীয় ওভারেই পাথুম নিশাঙ্কাকে দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড করে নিজের প্রথম উইকেট নেন শিভম।
ম্যাচে ৪ ওভার করে ২২ রান দিয়ে শিভম নেন ৪ উইকেট। অভিষেকে তৃতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে ৪ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন এই পেসার। তাঁর দুর্দান্ত বোলিং মূলত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের পার্থক্য।
শিভমের দারুণ বোলিংয়ের পরও অধিনায়ক দাসুন শানাকার ২৭ বলে ৪৫ রান আশা বাঁচিয়ে রাখে লঙ্কানদের। আর শেষ দিকে চামিকার ঝড়ে ম্যাচটা ভারত প্রায় হেরেই গিয়েছিল। তবে কাছাকাছি গিয়েও তরি পার করতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ভারতের হয়ে ‘কাশ্মীরের বুলেট’ খ্যাত উমরান মালিক ও হার্শাল প্যাটেল নেন ২টি করে উইকেট।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় টপ অর্ডারদের মাঝে ঈশান কিষান ছাড়া আর কেউই থিতু হতে পারেননি। শুভমান গিল, সূর্যকুমার যাদব এবং সাঞ্জু স্যামসনের রান ছিল টেলিফোন ডিজিট। যথাক্রমে ৭, ৭ ও ৫। ৭ম ওভারে ৪৬ রান তুলতে ভারত হারায় ৩ উইকেট।
চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ঈশান। তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৩৭ রান। উইকেটে টিকে থাকলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়াও। ২৭ বলে ২৯ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
ভারতকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দিতে ভূমিকা রাখে মূলত শেষ দিকে দীপক হোডার ঝোড়ো ইনিংস। ২৩ বলে ১৭৮ স্ট্রাইকরেটে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪১ রান করেন দীপক। তাঁকে সঙ্গ দিয়ে অক্ষর প্যাটেল করেন ২০ বলে ৩১ রান।