২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

সৌম্য যা চেয়েছেন, প্রায় সবই পেয়েছেন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ৩৪ বলে ৪১ রান করেন সৌম্যশামসুল হক

দল জিতেছে, নিজে রান করেছেন। ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত একটা ক্যাচও নিয়েছেন। চোট থেকে সুস্থ হয়ে জাতীয় দলে ফেরা সৌম্য সরকার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে যা চেয়েছেন, তার প্রায় সবই পেয়েছেন।

সৌম্যর ফেরার দিনে উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ১০১ রান, যা আপাতত বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটিংয়ের জন্য স্বস্তির খবর। কিন্তু এমন শুরুর পরও বাংলাদেশ অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১৪৩ রানে। মাঝের ওভার থেকে শুরু করে ডেথ ওভারের ব্যাটিং ভরাডুবি নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়াবে। আর এমন ব্যাটিংয়ের কী ব্যাখ্যা, সেটা ব্যাটসম্যানরাই ভালো বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন

ম্যাচ শেষে সেই ব্যাটসম্যানদেরই প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সৌম্য। তাঁকে অবশ্য দলের ব্যাটিং-ব্যর্থতা নিয়ে ততটা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মনে হলো না, ‘একটা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে। প্রতি ম্যাচে সবাই ভালো করবেও না। আগের ম্যাচগুলোতে ওরাই কিন্তু ভালো করেছে। আশা করছি পরের ম্যাচেও ওরা ঘুরে দাঁড়াবে।’

পরে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে এটাও বলেছেন, ‘বল পুরোনো হওয়ার পর ব্যাটিং একটু কঠিন মনে হয়েছে। ওই সময় যদি ১০-১৫ রানের একটা ছোট্ট জুটি হতো, তাহলে সেটা ইনিংসের শেষে আমাদের কাজে লাগত।’

ফিল্ডিংয়ে দারুণ একটি ক্যাচও নেন সৌম্য
শামসুল হক

তানজিদ হাসানের সঙ্গে শত রানের উদ্বোধনী জুটিটিই এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের একমাত্র স্বস্তি, ‘প্রথম দিকে আমি আর তানজিদ যখন খেলছিলাম, তখন বল-ব্যাটে ভালো আসছিল। পরে একটু অসম গতির মনে হয়েছে। শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল ১৮০ রান হবে। সবাই সেটা মাথায় রেখেই আক্রমণ করতে গিয়েছে।’

দুই বাঁহাতি ওপেনারের জুটি নিয়ে সৌম্যর কথা, ‘আমার যে কাজ ছিল, সেটা আমি শতভাগ করার চেষ্টা করেছি। তামিম (তানজিদ হাসান শুরু থেকে বাউন্ডারি পাচ্ছিল। আর আমি খুব বেশি স্ট্রাইক পাচ্ছিলাম না। আমাদের বেশি কিছু করতে হচ্ছিল না। এমনিতেই ৯-১০ করে রান আসছিল।’

আরও পড়ুন

চোট থেকে প্রত্যাবর্তন নিয়ে সৌম্য শোনালেন স্বস্তির কথা, ‘ভালো লাগছে যে ফিরতে পেরেছি। চোটের মধ্যে থাকাটা কষ্টের ব্যাপার। বাইরে থেকে খেলা দেখতে হয়। সবাই খেলছে, আমি একা কাজ করছি…! সব মিলিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু ম্যাচ খেলার অভাব টের পেয়েছেন সৌম্য, ‘আমি শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করেছি। হ্যাঁ, যদি একটা প্রস্তুতি ম্যাচ বা ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ খেলে আসতে পারতাম, তাহলে ভালো হতো। কিন্তু যেহেতু চোটে ছিলাম, ঝুঁকি নেওয়া হয়ে যেত। আজ (গতকাল) খেলেছি, ভালো বোধ করছি।’

দল জেতায় সৌম্যর সন্তুষ্টিটা একটু বেশিই
শামসুল হক

দল জেতায় সৌম্যর সন্তুষ্টিটা আরেকটু বেশি মনে হচ্ছে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হলেও জয়টাকে তিনি ছোট করে দেখতে চান না, ‘ম্যাচ জেতাটা খুশির ব্যাপার, সেটা যে দলের সঙ্গেই হোক। জয়ের অভ্যাসটাও জরুরি।’

তবে এটাও ঠিক, জিম্বাবুয়ের এই দলের বিপক্ষে জয়গুলো হচ্ছে কষ্টার্জিত। সৌম্যদের ভাবতে হচ্ছে সেটা নিয়েও, ‘কেমন ক্রিকেট খেলেছি, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। সামনে যেহেতু বিশ্বকাপ, আমরা কোন ম্যাচে কোন পরিকল্পনা নিয়ে খেলব, দলের ভেতরে সেসব নিয়েও আলোচনা আছে।’