২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

বাংলাদেশের সাবেক কোচের ‘দুটি আঙুল’ যেভাবে ভেঙেছিলেন ধোনি

চেন্নাইয়ের অনুশীলনে ধোনি। ৪১ বছর বয়সেও শরীরে যথেষ্ট শক্তি ধরেন ভারতীয় কিংবদন্তিছবি: টুইটার

আইপিএল শুরু হচ্ছে আজ। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় গুজরাট টাইটানস–চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আইপিএলের নতুন মৌসুম। চেন্নাই কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি কি প্রথম ম্যাচটা খেলার মতো ফিট?

এ প্রশ্নের উত্তর জানা যায়নি। তবে চেন্নাই–ভক্তরা যে ধোনিকে মাঠে দেখতে মুখিয়ে আছেন, তা বলাই যায়। কেউ কেউ বলছেন, আইপিএলে ৪১ বছর বয়সী ধোনির এটাই শেষ মৌসুম। সময় হলেই তা জানা যাবে। তবে চেন্নাইয়ের ম্যাচের আগে সাবেক জাতীয় দল ও চেন্নাই সতীর্থ ধোনির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে স্মৃতিচারণা করেছেন রবিন উথাপ্পা।

আরও পড়ুন

গত বছর ক্রিকেটের সব সংস্করণ থেকে অবসর নেওয়া উথাপ্পা জানিয়েছেন, বেঙ্গালুরুতে অনুশীলন ক্যাম্পে ধোনি একবার বল মেরে এক বোলারের আঙুল ভেঙে ফেলেছিলেন। আঙুল ভেঙে নেওয়া সেই বোলারটি আর কেউ নয়, বাংলাদেশের সাবেক টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশে এসেছিলেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে জানা যায়, শ্রীরাম আর বাংলাদেশে ফিরছেন না। তার আগে মূলত কোচের কাজই করেছেন শ্রীরাম।

ভারতের বিদ্রোহী লিগ আইসিএলের পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ২০১০ আইপিএলেও খেলেছেন শ্রীরাম। ভারতের স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘জিও সিনেমা’য় সেই ঘটনার স্মৃতিচারণা করেছেন আইপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় নবম উথাপ্পা। চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, পুনে ওয়ারিয়র্স, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠ মাতানো উথাপ্পা বলেছেন, ‘২০০৩ সালে বেঙ্গালুরুতে ভারত এ দলের ক্যাম্পে ধোনিকে প্রথম দেখেছি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ব্যাট করছিল ধোনি। বোলার ছিল মুনাফ প্যাটেল, তখন সে বেশ জোরেই বল করত। আরও কিছু ফাস্ট বোলার ছিল। এমএস বড় বড় ছক্কা মারছিল। হেলিকপ্টারও শটও খেলছিল। কিছু বল ফেলেছে স্টেডিয়ামের বাইরে। আর শ্রীধরন শ্রীরামকেও চোটে ফেলেছিল।’

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

উথাপ্পার স্মৃতিচারণে সে ঘটনাটিও এসেছে, ‘সে এগিয়ে এসে একদম বোলারের (শ্রীরাম) সোজা মেরেছিল। শ্রীরাম হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় বলের আঘাত পায়। আমরা ভেবেছিলাম সে বল ধরতে দৌড়াচ্ছে। কিন্তু না, সে বলটা পেরিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে দৌড়াচ্ছিল। বুঝতে পেরেছিল হাত ভেঙেছে। আমার যদ্দুর মনে পড়ে দুটি আঙুল ভেঙেছিল। আমরা সেদিন বুঝতে পেরেছিলাম, ধোনি কত জোরে বল মারে। তখনই বুঝেছিলাম সে ভারতের হয়ে খেলবে।’

চেন্নাই ও ভারত জাতীয় দলে সতীর্থ ছিলেন উথাপ্পা এবং ধোনি। চেন্নাইয়ের হয়ে দুই মৌসুম খেলেছেন ভারতের হয়ে ৪৬ ওয়ানডে ও ১৩ টি–টোয়েন্টি খেলা উথাপ্পা। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই ধোনির বন্ধু হয়ে গিয়েছিলেন ৩৭ বছর বয়সী এই সাবেক ব্যাটসম্যান, ‘২০০৪ সালে আমরা বন্ধু হয়ে গেলেও তখনো একসঙ্গে বেশি ম্যাচ খেলা হয়নি। ধোনি ভারত এ দলের হয়ে খেলছিল আর আমি অনূর্ধ্ব–১৯ দলে ছিলাম। আবুধাবিতে আমার প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে দুজন বন্ধু হয়ে যাই।’

ধোনির সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে উথাপ্পা আরও স্মৃতিচারণা করেছেন, ‘আমরা দুজনেই ভালো কাপড় পছন্দ করি। একসঙ্গে কেনাকাটা করতে যাই। একসঙ্গে খাই। আমাদের একটি গ্রুপ ছিল—সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান, আরপি সিং, পীযুষ চাওলা, মুনাফ প্যাটেল, ধোনি এবং আমি। আমরা একসঙ্গে ডাল মাখানি, বাটার, চিকেন, জিরা আলু ও রুটি খেয়েছি। ধোনি খাওয়ার ব্যাপারে খুব কঠোর। সে চিকেন ছাড়া বাটার চিকেন খেত। কিংবা চিকেন খেলে রুটি খেত না। সে এখনো এতটুকু বদলায়নি। প্রথম তাকে যেমন দেখেছি, এখনো তেমনই আছে। খুবই সরল ও সাধারণ মানুষ।’

আরও পড়ুন