ইংল্যান্ড দল একজনের দিকে চেয়ে থাকে না, বললেন স্টোকস
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বেন স্টোকসকে ছাড়াই খেলছে ইংল্যান্ড। চোটের কারণে মাঠের বাইরে বসে স্টোকস দেখেছেন ইংল্যান্ডের ব্যর্থতা। প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর সর্বশেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইংলিশরা জিতেছে শুধু বাংলাদেশের বিপক্ষেই। তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরে ২০১৯ সালের শিরোপাজয়ীরা এখন বেশ বিপাকেই। তবে দলের জন্য সুসংবাদ। স্টোকস ফিরছেন পরের ম্যাচেই। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ইংল্যান্ড পাচ্ছে দলের সেরা তারকাকে।
স্টোকস নিজেই জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ ফিট। তবে তিনি নিজেকে দলের বিশেষ কিছু ভাবতে চান না। তিনি নিজেকে দলের একজন সদস্যই মনে করেন।
স্টোকস যা–ই বলুন, তাঁর ওপর দলের অনেক ভরসা। এটা তাঁর জন্য কোনো চাপ কি না বা এই ব্যাপারটাকে কীভাবে দেখেন, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি নিজেকে দলের একজন সাধারণ সদস্য বলেছেন, ‘আমি এই ব্যাপারটাকে (চাপ) খুব সাধারণভাবে দেখি। সত্যি বলতে কি, আমি দলের একজন সদস্যই। এর বেশি নই। আমি একটা দলীয় খেলায় দেশকে প্রতিনিধিত্ব করি। কেউই এই দলের একজন খেলোয়াড়ের দিকে চেয়ে থাকে না অথবা নির্দিষ্ট একজনকে দেখে প্রেরণা নেয় না।’
২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি খেলেছিলেন স্টোকস। লর্ডসের শ্বাসরুদ্ধকর সেই ফাইনালটি ‘টাই’ হওয়ার পর সুপার ওভারে গিয়েও ছিল সমানে সমান। কিন্তু বেশি বাউন্ডারি মারায় ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ নিজেদের করে নেয়। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ এক ইনিংস খেলে জিতিয়েছিলেন স্টোকস। ২০১৯ সালে অ্যাশেজের সেই হেডিংলি টেস্টে স্টোকসের বীরত্বপূর্ণ ইনিংসও তাঁকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটি মুম্বাইয়ে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেশন শেষে ইংলিশ তারকা বিশ্বকাপে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলতে না পারার আক্ষেপটা অবশ্য গোপন রাখেননি। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ শুরুর আগে চোটটা খুবই হতাশাজনক। তবে পুরোপুরি ফিট হয়ে ওঠার জন্য আমাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।