৪৩৯ রান, ৩২ ছক্কা ও দলীয় হ্যাটট্রিকের ম্যাচ
দুই দল মিলে রান তুলল ৪৩৯। ছক্কা মারল সমান ১৬টি করে মোট ৩২টি। সেন্ট লুসিয়ায় গত রাতে সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টির ফল অবশ্য স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষেই গেছে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ২১৯ রানের লক্ষ্য ৬ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাঁচ ম্যাচের প্রথম তিনটিতে জিতে এরই মধ্যে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। নিয়মরক্ষার শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জিতে কাল ব্যবধান কমিয়ে ৩–১ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের শেষ ম্যাচ আজ রাতে সেন্ট লুসিয়াতেই।
বড় লক্ষ্য তাড়া করার কাজটা সহজ করে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার শাই হোপ ও এভিন লুইস। দুজন ৫৫ বলে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন। তাঁদের স্ট্রাইক রেটও ছিল ২০০–এর বেশি। বড় শট খেলায় পারদর্শী লুইস বেশি ছক্কা মারবেন, সেটাই স্বাভাবিক। ৭ ছক্কা ও ৪ চারে তিনি ৩১ বলে করেন ৬৮ রান। হোপ ৩ ছক্কা ও ৭ চারে করেছেন ২৪ বলে ৫৪।
১৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৬ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। রেহান আহমেদের ওভারের প্রথম বলে লুইস আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় বলে হোপ হন রান আউট। ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড হন নিকোলাস পুরান। তাতে হয়ে যায় হ্যাটট্রিক। যদিও সেটা বোলার রেহানের নয়, দলীয়।
টানা ৩ বলে ৩ উইকেট হারানোর পরও রান তাড়া করতে খুব বেশি সমস্যা হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২৩ বলে ৩৮ রান করেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ১৭ বলে ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন শেরফান রাদারফোর্ড।
ইংল্যান্ডের বড় সংগ্রহের পেছনেও দলটির ওপেনারদের অবদান ছিল। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড ওপেনিং জুটিতে তোলে ৩০ বলে ৫৪। ফিল্ট সল্ট খেলেন ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। ১২ বলে ২৫ করেছেন উইল জ্যাকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক পাওয়েলের মতো ঠিক ২৩ বলেই ৩৮ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বাটলার। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ফিফটি পাওয়া জ্যাকব বেথেলও কালও পেয়েছেন ফিফটি। ৩২ বলে ৬২ রান করে ছিলেন অপরাজিত। স্যাম কারেন ১৩ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এরপরও ইংল্যান্ডের রান জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ২১৮/৫ (সল্ট ৫৫, বেথেল ৬২; মোতি ২/৪০, জোসেফ ১/৩৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯ ওভারে ২২১/৫ (লুইস ৬৮, হোপ ৫৪; রেহান ৩/৪৩, টার্নার ১/৪২)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাই হোপ।
সিরিজ: ৫ ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ড ৩–১ ব্যবধানে এগিয়ে।