৭, ১, ২৩, ১৩—টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের চার ম্যাচে ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসানের অবদান। মাত্র ৯৭.৭৮ স্ট্রাইক রেটে স্বাভাবিকভাবেই টি–টোয়েন্টির দাবি মেটাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
তবে অ্যাডিলেডে আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে রূপ নেওয়া ম্যাচে সাকিবের কাছে বড় কিছুর প্রত্যাশা ছিল সমর্থকদের। অধিনায়কের জন্য শক্ত ভিতও গড়ে দেন নাজমুল হোসেন–সৌম্য সরকাররা। সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল সাকিবের।
সৌম্য আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন সাকিব। শাদাব খানের ওভারের পঞ্চম বলে তাঁর বিরুদ্ধে এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য সাকিব রিভিউ নেন। টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায়, বল সাকিবের বুটে লাগার আগে ব্যাট স্পর্শ করেছে। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার।
বিতর্কিত আউটের পর সাকিব বিস্ময় প্রকাশ করে মাঠে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিছুক্ষণ। আম্পায়ারের সঙ্গে এ নিয়ে তিনি কথাও বলেন। কিন্তু লাভ হয়নি কোনো। সাকিবের আউট নিয়ে অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইছে সমালোচনার ঝড়। বিস্মিত হয়েছেন সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেও। তাঁদেরই একজন সাকিবের সাবেক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কোচ টম মুডি।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ‘টি–২০ টাইম আউট’ অনুষ্ঠানে ৫৭ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান বলেছেন, ‘মাঠের আম্পায়ারদের আমি দায়ী করছি না। এটা বেশ কঠিন কাজ। মাঠের আম্পায়ারদের জন্য তৃতীয় (টিভি) আম্পায়ার হলেন নিরাপদ-জাল। কারণ, তৃতীয় আম্পায়ার প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারেন। তবু এ ধরনের ভুল হচ্ছে। এখন তো দেখছি চতুর্থ আম্পায়ারের সহযোগিতা প্রয়োজন। তৃতীয় আম্পায়ার যখন ভুল বোতামে চাপ দিতে যাবেন, তখনই চতুর্থ আম্পায়ারের বলা উচিত, এই তুমি ভুল করছ।’
মুডির সঙ্গে একমত সাবেক ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। সাকিবকে দুর্ভাগা বলছেন তাঁরা।
আর ভারতের সাবেক টেস্ট ওপেনার ও বর্তমান ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া টুইট করেছেন, ‘সাকিবের ব্যাট মোটেও মাটিতে লাগেনি। ব্যাটের ছায়ার দিকে নজর দিন। স্পাইক ছিল। এর মানে ব্যাটে বল লাগা ছাড়া আর কিছুই নয়। বাজে আম্পায়ারিংয়ের বলি হয়েছে বাংলাদেশ।’