টসে জিতে বাংলাদেশের ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ না হয়ে পারলাম না। বাংলাদেশ দল হয়তো এখনো কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে রাজি নয়। সেটা উগান্ডার কাছে হেরে যাওয়া জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষেও! দলের পরিকল্পনার দায়িত্বে যাঁরা থাকেন, তাঁদের এ ধরনের রক্ষণাত্মক মানসিকতা দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মানসিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে বাধ্য। এমন পরিবেশ দলকে সাহসী হতে দেয় না।
শরীফুল ইসলাম ৫/১০
প্রথম ম্যাচে কিছুটা বেশি রান দেওয়ার কারণেই হয়তো আজ শুরু থেকেই লাইন, লেংথ ধরে রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট ছিল। সে কারণেই পাওয়ারপ্লেতে করা ২ ওভারে মাত্র ৫ রান দেওয়া। শেষের দিকে অবশ্য এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি।
মেহেদী হাসান ৭/১০
পাওয়ারপ্লেতে উইকেট না পেলেও ঠিকই নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখল প্রথম ২ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে। ১ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি নিজের স্পেল শেষ করল ৪.৫ ইকোনমিতে।
তাসকিন আহমেদ ৭.৫/১০
সহজ অ্যাকশনে বেশ দ্রুতগতিতে বল করেছে। এটি ছন্দ ফিরে পাওয়ার ইঙ্গিত। প্রথম উইকেট নেওয়ার কৃতিত্বও আজ তাসকিনের। ৪.৫ ইকোনমিতে আজও ২টি উইকেট।
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৫/১০
শুরুতে প্রথম ম্যাচেরই পুনরাবৃত্তি দেখলাম। ওভারজুড়েই লেংথ এবং অ্যাঙ্গেলের ক্রমাগত পরিবর্তন ব্যাটসম্যানদের বেশ অস্বস্তিতেই রেখেছিল। খরুচে শেষ ওভারের দায় কিছুটা থাকলেও জিম্বাবুয়ে ব্যাটসম্যানদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে।
রিশাদ হোসেন ৫/১০
একদিনের ব্যবধানেই লাইন ও লেংথ কিছুটা শুধরে নিতে পেরেছে। দেখে ভালো লাগল। তবে উঁচু পর্যায়ে সফল হতে চাইলে গুগলির ব্যবহার ওর জন্য বাধ্যতামূলক।
লিটন দাস ৫/১০
শুরুতে বেশ ইতিবাচক থাকলেও হঠাৎ করেই নিজেকে গুটিয়ে ফেলল। চাপহীন ম্যাচে সুযোগ ছিল বড় একটা স্কোর করে নিজের আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার।
তানজিদ হাসান ৪.৫/১০
একটা শুরু পেয়ে যাওয়ার পরও ইনিংসটা বড় করতে পারল না। নিজের স্কোরিং শটেই আউট হলো। ফুটওয়ার্ক ও হাতের কাজ আরও নিখুঁত হওয়া প্রয়োজন।
নাজমুল হোসেন ৫/১০
দ্রুত রান করার চেষ্টা ইতিবাচক। তবে সেটি কীভাবে সম্ভব, সেই পথও খুঁজে বের করতে হবে। দলের ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান হিসেবে নাজমুলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাওহিদ হৃদয় ৮.৫/১০
বলতে গেলে, তার হাত ধরেই বাংলাদেশ দল নিরাপদে তীরে ভিড়তে পারল। আশা করি, পারফরম্যান্সের এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
জাকের আলী ৪.৫/১০
হৃদয়ের সঙ্গে জুটি ভালোই জমে উঠেছিল। টি-টোয়েন্টিতে কিছুটা চাপের মুখে এভাবে আউট হলে কিছু বলার থাকে না।
মাহমুদউল্লাহ ৭.৫/১০
আত্মবিশ্বাসী এবং প্রথম থেকেই দারুণ ইতিবাচক। ইনিংসের শেষের দিকে এটি অত্যন্ত জরুরি।