আইরিশদের হারিয়ে টেস্ট জয়ের সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার
সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছিলেন হ্যারি টেক্টর, ম্যাথিউ হামফ্রিস খেলছিলেন নিখাদ ব্যাটসম্যানের মতো। এ যাত্রায় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস হার এড়ানো তখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। কিন্তু আসিতা ফার্নান্দোর দুটি ভালো বলে বদলে গেল সব।
৮৫ রান করা টেক্টরকে বোল্ড করলেন দারুণ এক ইয়র্কারে, পরের বলে একই পরিণতি বেন হোয়াইটেরও।
আসিতার দাপুটে সমাপ্তি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার আধিপত্যেরই প্রতিচ্ছবি। গলে প্রথম টেস্টের মতো আবারও ইনিংস ব্যবধানে জিতল শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ২৮০ রানের পর এবার ইনিংস ও ১০ রানে।
আয়ারল্যান্ডকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে টেস্ট জয়ে সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেছে শ্রীলঙ্কা। ন্যূনতম ১০০টি টেস্ট জেতা অষ্টম দল শ্রীলঙ্কা।
প্রথম ইনিংসে ৪৯২ রান তুলেও শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নামার পর রানে চাপা পড়ে আইরিশরা। নিশান মাদুশকা ও কুশল মেন্ডিসের জোড়া ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ৭০৪ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। ২১২ রানে পিছিয়ে থাকা আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করে।
আবারও ইনিংস হার এড়াতে শেষ দিনে তুলতে হতো আরও ১৫৮ রান। তবে ডানহাতি অফস্পিনার রমেশ মেন্ডিসের ঘূর্ণির কবলে পড়ে ১৬১ রানেই চলে যায় আট উইকেট।
ওই অবস্থা থেকে হামফ্রিসকে নিয়ে দলকে দুই শ রানের দিকে নিয়ে যান টেক্টর। শ্রীলঙ্কাকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামাতে যখন ১০ রান বাকি, তখনই জোড়া আঘাত আসিতার।
টেক্টর ৮৫ রান করেন ১৮৯ বলে, ৮ চার ৩ ছয়ে। হামফ্রিস অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৪ রান করে। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৬৪ রানে ৫ উইকেট নেন রমেশ। আসিতার শিকার ৩০ রানে ৩ উইকেট।
টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে শততম জয়ে শ্রীলঙ্কা অষ্টম। বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশের জয় ১৭টি, জিম্বাবুয়ের ১৩টি, আফগানিস্তানের ৩টি। আয়ারল্যান্ড এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচ জেতেনি।