‘এটা করো, সেটা করো’—কামিন্সকে নির্দেশ দিতে তর সইছে না মার্শের
কদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যালান বোর্ডার পদক জেতার সময় তাঁর ক্যারিয়ারে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন মিচেল মার্শ। তাঁর ক্যারিয়ারের এই পুনরুত্থানের পেছনে ওই দুজনের প্রভাব কতটা, সেটি বোঝা যায় তাতেই।
সেই মার্শ এবার নেতৃত্ব দেবেন কামিন্সকে। আগামীকাল শুরু হতে যাওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মার্শ। কামিন্স খেলবেন তাঁর অধীনে—এ ব্যাপারে মজা করার সুযোগটি আজ সংবাদ সম্মেলনে ছাড়েননি মার্শ ভাইদের ছোটজন।
অ্যারন ফিঞ্চ অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দিয়েই কাজ চালাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ও দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব করেছেন মার্শ। তবে কামিন্স সে দুটি সিরিজে ছিলেন না।
২০২২ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে সর্বশেষ এ সংস্করণে খেলেছিলেন কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। এ বছরের জুনে অনুষ্ঠেয় আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে রেখে টি-টোয়েন্টিতে ফিরছেন দুজন। সঙ্গে থাকবেন জশ হ্যাজলউডও। তাঁদের সঙ্গে অ্যাডাম জাম্পা, নাথান এলিস ও স্পেন্সার জনসনকে নিয়ে মার্শ পাচ্ছেন পূর্ণশক্তির বোলিং আক্রমণই।
তবে কামিন্স তাঁর অধীনে খেলবেন, এ ব্যাপারে বেশ ভালোই মজা পাচ্ছেন মার্শ। আজ যেমন বললেন, ‘এটা করো, সেটা করো—তাকে এগুলো বলতে আমার তর সইছে না। সাধারণত সে যখন হাঁপিয়ে ওঠে, আমি তার বদলে সংবাদ সম্মেলনে আসি। এর ফলে কোনো না কোনো পর্যায়ে এবার তাকে পাঠাব।’
অবশ্য মার্শ যে শুধু মজা করেছেন, তা-ও নয়। কামিন্সের দলে থাকার তাৎপর্যটাও তিনি জানেন, ‘তবে আমি কিন্তু বেশ ভাগ্যবান, প্যাটের মতো একজন নেতাকে আমাদের দলে পেয়ে। পাশাপাশি আরও যারা অভিজ্ঞ আছে, যারা সিরিজজুড়েই আমাকে কিছু ব্যাপারে সহায়তা করবে।’
কামিন্স-স্টার্ক-হ্যাজলউড—ত্রয়ীর ব্যাপারে মার্শ বলেছেন, ‘আমার তো শুধু মনে হয়, এ পর্যায়ে এসে তাদের অভিজ্ঞতা অনেক কাজে দেয়। তাদেরকে ফিরে পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান। আন্তর্জাতিক সূচিতে তাদেরকে একত্রে খুব বেশি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে দেখবেন না। এর ফলে বিশ্বকাপের আগের প্রস্তুতিতে তাদেরকে ফিরে পাওয়া দারুণ ব্যাপার।’
পেসারদের ফিরে পাওয়াটা দারুণ হলেও আরেক অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথের টি-টোয়েন্টি দলে থাকা নিয়ে অবশ্য আলোচনা আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে স্মিথ ছিলেন না, তার আগে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ওপেন করেছিলেন।
স্মিথের ব্যাপারে অবশ্য কিছু খোলাসা করেননি মার্শ, ‘আমরা টসের সময় দল ঘোষণা করব, তখনই দেখবেন। হয়তো আগের চেয়ে ভিন্ন কোনো পজিশনে কয়েকজন খেলবে, তবে দিন শেষে আমরা এখানে সিরিজ জিততে এসেছি।’
অবশ্য ট্রাভিস হেড ও ডেভিড ওয়ার্নার ওপেন করবেন, এরপর তিনি খেলবেন ৩ নম্বরে—মার্শ তা নিশ্চিত করেছেন।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ এর আগে পরিচিত ছিল চ্যাপেল-হ্যাডলি ট্রফি নামে। এবার থেকে সে ট্রফিতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজও। আগামীকাল ওয়েলিংটনের পর সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অকল্যান্ডে ২৩ ফেব্রুয়ারি। একই মাঠে ২৫ ফেব্রুয়ারি হবে শেষ ম্যাচ। এ সফরে দুটি টেস্ট ম্যাচও খেলবে অস্ট্রেলিয়া—২৯ ফেব্রুয়ারি ওয়েলিংটনে প্রথম ম্যাচের পর ৮ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে শুরু দ্বিতীয় টেস্ট।