বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে কি নাসিমকে পাবে পাকিস্তান
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের পঞ্চম ম্যাচটি খেলার কথা ছিল নাসিম শাহর। কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাত থেকেই বুকে ব্যথা অনুভব করছিলেন। আটকে আসছিল শ্বাসপ্রশ্বাস। জরুরিভাবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়েছে, তাদের ‘ইন হাউস মেডিকেল প্যানেল’ নাসিমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে। নাসিমের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে তিনি খেলতে পারবেন কি না।
তবে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যেহেতু নিউমোনিয়া ধরা পড়েছে এবং সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগবে, নাসিমকে তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে পাবে না পাকিস্তান। লাহোরে কাল ও ২ অক্টোবর সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআই অবশ্য দাবি করেছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা নেই এই ফাস্ট বোলারের।
শুধু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজ নয়, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজেও নাসিমের খেলা নিয়ে সন্দেহ আছে। ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। ৩ অক্টোবর এই টুর্নামেন্ট খেলতে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে পাকিস্তান দল। ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ অক্টোবর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সাত ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচটি যেহেতু ২ অক্টোবর, আর নাসিম যদি সে ম্যাচ খেলতে না পারেন, তাহলে পরের দিন দলের সঙ্গে তাঁর নিউজিল্যান্ডে যাওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়াই স্বাভাবিক।
পিসিবি জানিয়েছে, নাসিম এই ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন কি না, সে বিষয়ে বোর্ডের মেডিকেল প্যানেল তাঁর শারীরিক উন্নতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শুধু প্রথম ম্যাচে মাঠে ছিলেন নাসিম। পরের তিন ম্যাচে ছিলেন বিশ্রামে। এরপর পঞ্চম ম্যাচটি খেলার আগেই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন।
পিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নাসিম শাহ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মেডিকেল প্যানেলের তত্ত্বাবধানে আছে। সামনের ম্যাচগুলো সে খেলতে পারবে কি না এবং নিউজিল্যান্ডে যাওয়ার বিষয়ে মেডিকেল প্যানেল সিদ্ধান্ত নেবে।’
বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিউমোনিয়া থেকে সেরে ওঠার বিষয়টি একেক রোগীর ক্ষেত্রে একেক রকম। কেউ কেউ সপ্তাহখানেকের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে পারেন। কারও ক্ষেত্রে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময়ও লাগে, যদি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। সুস্থ হয়ে ওঠার পরও দুই থেকে তিন মাস ক্লান্তি অনুভূত হয় শরীরে।
অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের দলে আছেন ১৯ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২৩ অক্টোবর ভারতের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে পাকিস্তান।