ডাবল সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়ে যে রেকর্ডে নাম লেখালেন মুশফিক
২০১৩ সালের ১১ মার্চ। ১১ বছর আগের সেই দিনটায় নতুন এক সূর্যই উদিত হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেট বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানকে সেদিনই প্রথমবার ডাবল সেঞ্চুরি করতে দেখেছিল। আর ঐতিহাসিক সেই ইনিংসটা এসেছিল মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে।
তবে মুশফিক নন, গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টের চতুর্থ দিনটা ‘প্রথম’ হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ১৮৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিনটা শুরু করা আশরাফুল আর মাত্র ১ রান যোগ করেই ফিরে যান। আর তাতেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ পেয়ে যান ১৫২ রান নিয়ে দিন শুরু করা মুশফিকুর। সেদিন ঠিক ২০০ রান করেই নুয়ান কুলাসেকারার বলে এলবিডব্লু হয়েছিলেন মুশফিক।
১১ বছর পর রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সেই মুশফিক গলের সেই দিনটার স্মৃতি ফেরালেন। না, আজ ডাবল সেঞ্চুরি পাননি মুশফিক। সম্ভাবনা জাগিয়েও যে ৯ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেছেন তর্কযোগ্যভাবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আলীর বলে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন অসাধারণ এক ইনিংস খেলা মুশফিক। মুশফিক ফিরিয়েছেন আশরাফুলের স্মৃতিই। আশরাফুলের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে যে ১৯০ এর ঘরে আউট হলেন মুশফিক।
২০১৩ সালের আশরাফুলের পর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ১৯০ ছোঁয়া মানেই যে ছিল ডাবল সেঞ্চুরির নিশ্চয়তা। মুশফিক নিজেই তিনবার ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালও পেয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরি। আজ ‘২০০’ পেয়ে গেলে সেটি হতো টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ষষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরি।
‘২০০’ পেয়ে গেলে টেস্ট ইতিহাসের ২৮তম ব্যাটসম্যান হিসেবে চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি পেয়ে যেতেন মুশফিক। সেটি না হয়ে এখন ১৯০–এর ঘরে আউট হওয়া ৬৫তম ব্যাটসম্যান হয়ে গেলেন মুশফিক।
টেস্টে ১৯০–এর ঘরে সবচেয়ে বেশিবার আউট হয়েছেন মোহাম্মদ ইউসুফ। পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান তিনবার ফিরেছেন ১৯০ রানের ঘরে। ওই তিনবার সুযোগ না হারালে টেস্টে সাতটি ডাবল সেঞ্চুরি থাকতে পারত ইউসুফের। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরি অস্ট্রেলিয়ার স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান ১২টি ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন।