মিকি আর্থারের দাবি, তিনি পাকিস্তানের অনলাইন কোচ ছিলেন না
২০২৩ সালে অনেকটা অদ্ভূত চুক্তিতেই পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফিরেছিলেন মিকি আর্থার। পাকিস্তান ক্রিকেট পরিচালকের পাশাপাশি তিনি কাউন্টির দল ডার্বিশায়ারেরও কোচ ছিলেন। ফলে যখন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটের মৌসুম চলবে, সে সময় পাকিস্তানের সিরিজে দলের সঙ্গে থাকবেন না এই দক্ষিণ আফ্রিকান, অনলাইনেই করবেন পাকিস্তান দলের তত্ত্বাবধান—এই ছিল শর্ত। এমন চুক্তি নিয়ে কথা কম হয়নি।
পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা তো রীতিমতো আর্থার ও পিসিবিকে ধুয়ে দিয়েছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় অধ্যায়ের সমাপ্তির কয়েক মাস পর এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন আর্থার। উইজডেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি।
আর্থার বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, এই মন্তব্যগুলো (সমালোচনা) আমি দেখেছি, আমার এগুলোকে অজ্ঞতা মনে হয়েছে। কারণ, যারা আমাকে চেনে, তারা জানে, কোনো বিষয় করতে না পারলে আমি সেখানে শতভাগ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হই না। ডার্বিশায়ারে আমরা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম, সেই প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় অংশ ছিল গত বছর।’
আর্থার দাবি করেছেন, ‘আমি কখনো পাকিস্তানের অনলাইন কোচ ছিলাম না, কোচিং স্টাফদের আমি একসঙ্গে রাখছিলাম। তাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন যোগাযোগ করতাম, দলে কী চলছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখতাম। যদি গ্রান্ট ব্রাডবার্ন কিংবা অন্য যেকোনো কোচের যে ধরনের সহায়তা লাগত, আমি সব সময় সেটা করতে পারতাম। দল নির্বাচন, দলের পরিকল্পনা এবং প্রতিটি খুঁটিনাটি কৌশল—সবকিছু আমি জানতাম। আমি প্রতিদিন ড্রেসিংরুমে থাকব না, সেটা জেনেই আমি দায়িত্ব নিয়েছিলাম। চুক্তিতে যা ছিল, তা প্রতিদিন করেছি।’
বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের ৫টিতে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেয় পাকিস্তান। বিশ্বমঞ্চে ব্যর্থতার জন্য প্রতিকূল পরিবেশও একটা কারণ বলে মনে করেন আর্থার। তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তানের কোনো সমর্থন না থাকাটা খুবই কঠিন বিষয় ছিল। পাকিস্তানকে তাড়িত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার হলো, তারা মাঠ ও হোটেলে অবিশ্বাস্য সমর্থন পায়। সারা দুনিয়ায় যান, আপনি সবুজের সমুদ্র দেখবেন, এটা দুর্দান্ত। কিন্তু এখানে (ভারতে) আমরা তা পাইনি, বিশ্বকাপে বিষয়টা বেশ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের জন্য।’
আর্থার এরপর যোগ করেন, ‘আপনি কল্পনা করে দেখুন, আহমেদাবাদে কতটা কঠিন আর প্রতিকূল পরিবেশ ছিল। তবে আমাদের কাছে এটা প্রত্যাশিতই ছিল। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে হবে যে তারা একবারও কাঁদেনি বা অভিযোগ করেনি। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।’