পাকিস্তানে ইতিহাস গড়ে র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থানে লিটন-মিরাজ
রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের বয়স তখন মাত্র সাড়ে ১১ ওভার। এরই মধ্যে কিনা ২৬ রান তুলতে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকে ১৬৫ রানের জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস।
৭৮ রান করে মিরাজ আউট হলেও সেদিন সেঞ্চুরি করেন লিটন। বাংলাদেশের জয়ের পেছনে বড় ভূমিকা রাখা এই দুটি ইনিংসে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন লিটন ও মিরাজ। বল হাতে দ্বিতীয় টেস্টে পারফর্ম করার পুরস্কার পেয়েছেন দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানাও।
১৩৮ রানের ইনিংস খেলা লিটন উঠে এসেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থানে। ১২ ধাপ এগিয়ে ১৫ নম্বরে উঠেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ৬৮৮ রেটিং পয়েন্ট পাওয়া লিটনই এখন টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যাটসম্যান। টেস্ট র্যাঙ্কিং ইতিহাসে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে ওপরে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ১৪ নম্বরে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল।
লিটনের পরেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ১৭ নম্বর স্থানে আছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁর অবস্থানে পরিবর্তন আসেনি। শেষ টেস্টে ৭৮ রানের ইনিংস খেলা মিরাজ ১০ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৭৫ নম্বরে উঠেছেন। মিরাজের রেটিং পয়েন্ট ৪২৫, যা তাঁর ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ। অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়েও ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছেন মিরাজ, ৩ ধাপ এগিয়ে সাতে উঠেছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার।
পাকিস্তান সফরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়া সাকিব আল হাসান পিছিয়েছেন দুই ধাপ, আছেন ৪৫ নম্বরে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লর্ডসে জোড়া সেঞ্চুরি করে জো রুট তাঁর শীর্ষস্থান আরও পাকাপোক্ত করেছেন। একই টেস্টে সেঞ্চুরি করে ইংল্যান্ড বোলার গাস আটকিনসন ব্যাটিংয়ে এগিয়েছেন ৮০ ধাপ, উঠে এসেছেন ৯৬ নম্বরে।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ধসিয়ে দেন বাংলাদেশের তিন পেসার। পেস দিয়ে চমকে দেওয়া নাহিদ উইকেট নেন ৪টি, হাসান মাহমুদ ৫টি। অন্য উইকেটটি নেন তাসকিন। এই তিন পেসারই র্যাঙ্কিংয়ে বেশ বড় লাফ দিয়েছেন। ২৩ ধাপ এগিয়ে প্রথমবার বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে এক শর মধ্যে ঢুকেছেন নাহিদ রানা (৯৭)। ১১ ধাপ এগিয়ে তাসকিন এখন ৮৫ নম্বরে। তাসকিনের রেটিং পয়েন্ট ২৬৪, এটিই তাঁর ক্যারিয়ার সেরা।
ক্যারিয়ার সেরা ৩৬৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে হাসানের বর্তমান অবস্থান ৫৭ নম্বরে, এগিয়েছেন ১৬ ধাপ। বল হাতে এক ধাপ নিচে ২৯ নম্বরে সাকিবের অবস্থান। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শীর্ষে আছেন তাইজুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের অবস্থান ১৯ নম্বরে। পাকিস্তান সফরে খেলার সুযোগ না পাওয়া এই স্পিনারের র্যাঙ্কিংয়ে কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এরপরই মিরাজের অবস্থান, এক ধাপ এগিয়ে ২২ নম্বরে আছেন এই অলরাউন্ডার। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানে আছেন যথারীতি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্টে শীর্ষ অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।