হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন রমিজ রাজা
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারার পরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে রমিজ রাজাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রমিজের বিদায়ের সম্ভাবনা ছিল আগে থেকেই।
রমিজের পরিবর্তে নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন নাজাম শেঠি। সরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগের নির্বাচক প্যানেলকেও। অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শহীদ আফ্রিদি, আবদুল রাজ্জাক ও রাও ইফতিখার আনজুমকে।
বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই রমিজ পিসিবির নতুন প্রধান নাজাম শেঠি ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে নানা রকমের কথা বলে যাচ্ছেন। পাল্টা দিচ্ছেন নাজাম শেঠির দলের লোকেরাও। এরই অংশ হিসেবে তাঁরা সমালোচনা করেছেন রমিজের বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার নিয়ে। এর ব্যাখ্যা হিসেবে রমিজ বলেছেন, তিনি হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন বলেই তাঁকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করতে হয়েছে।
দায়িত্ব থেকে সরার পর পাকিস্তান সরকার ও বর্তমান পিসিবিপ্রধানের সমালোচনা করেছিলেন রমিজ। তিনি বলেছিলেন ‘পাকিস্তান সরকার নাজাম শেঠিকে দায়িত্ব দিতে একজন টেস্ট ক্রিকেটারকে সরিয়ে দিয়েছে, যা খুবই অসম্মানজনক। আমার জীবনে এমন কিছু দেখিনি।’
এমনকি সরিয়ে দেওয়ার ধরন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রমিজ, ‘তারা ক্রিকেট বোর্ডে একপ্রকার আক্রমণই করেছে। এমনকি আমার জিনিসপত্রগুলো নেওয়ারও সুযোগ দেয়নি। ১৭ জনের একটি দল অফিসে আসে। তাদের ভাব দেখে মনে হচ্ছিল, অফিস তল্লাশি করতে যেন ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির লোকেরা এসেছে।’
রমিজের বিপক্ষেও পাল্টা অভিযোগ আছে। দায়িত্বে থাকাকালে পিসিবির কাছ থেকে বাড়তি সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের সময়ে তাঁর বুলেটপ্রুফ গাড়ির ব্যবহার নিয়ে কথা হচ্ছে বেশ। তবে পাকিস্তানের সাবেক এই ক্রিকেটার বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করার বিষয়টি খোলাসা করেছেন। রমিজের দাবি, হত্যার হুমকি ছিল বলেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করতে হয়েছে তাঁকে।
রমিজ বলেছেন, ‘গাড়িটা পিসিবির, আমার কেনা নয়। আমার পরে যারা দায়িত্বে এসেছে, তারাও ব্যবহার করতে পারে। আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। হত্যার হুমকি ছাড়া আপনি বুলেটপ্রুফ গাড়ি পাবেন না।’
নিরাপত্তার স্বার্থে সেই হুমকির বিষয়টি খোলাসা করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন রমিজ, ‘সেই হুমকির তথ্য আমি প্রকাশ করতে পারব না। গত মার্চে অস্ট্রেলিয়া যখন পাকিস্তানে এসেছিল, তখন আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। ডিআইজি সাহেব তখন আমার বাড়িতে আসে। পুরো বিষয় নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে।’