পিঠের চোট নিয়েই তামিমের অনুশীলন

কোমরের পুরোনো ব্যথাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তামিমেরছবি: শামসুল হক

ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডরমটের ছোড়া বলটা ধরতে গিয়েই ব্যথাটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পিঠে হাত দিয়ে চোখ বুঝে ব্যথাটা গিলে ফেলার চেষ্টা করেন তামিম ইকবাল। তাঁর শরীরী ভাষায় পিঠের তীব্র ব্যথার যন্ত্রণা স্পষ্ট। দূর থেকে তামিমের এ অবস্থা দেখে দৌড়ে আসেন আফগানিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ দলের ফিজিওর ভূমিকায় থাকা মোজাদ্দেদ আলফা সানি। কিন্তু ব্যথায় কাতর তামিম ফিজিওকে সরে যেতে বলেন।

স্বাভাবিকভাবেই তামিমের ফিল্ডিং সেশনটা লম্বা হয়নি। মিনিট পাঁচেকের জন্য ফিল্ডিং অনুশীলন করেই সেখান থেকে সরে যান জাতীয় দলের এই ওপেনার। ব্যথা নিয়ে তামিমের এই লড়াই চলেছে ব্যাটিং অনুশীলনের সময়ও। ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় জাতীয় দলের পেস বোলার তাসকিন আহমেদ ও খালেদ আহমেদের বলেও ভুগতে দেখা গেছে তাঁকে। এই দুই পেসারের সঙ্গে একজন নেট বোলারও ছিলেন।

আরও পড়ুন

বিশেষ করে পেসারদের শর্ট লেংথের বলে খেলতে গেলেই তামিমের অস্বস্তিটা চোখে পড়ছিল। নেট বোলার একটি বল পেছনে করলেই তাঁকে ফুল লেংথে বল করতে বলছিলেন তামিম। তাসকিনের বেলায়ও মিলেছে একই নির্দেশনা। পেসারদের বিপক্ষে ব্যাক–ফুট পাঞ্চ করেছেন বেশ কয়েকবার। প্রতিবারই শট খেলার পর এক হাত দিয়ে পিঠ চেপে ধরতে দেখা গেছে তামিমকে। তবে ফুল লেংথের বলে ড্রাইভ খেলতে সমস্যা হচ্ছিল না এই বাঁহাতির।

চোট নিয়েও ব্যাটিং করেছেন তামিম
ছবি: শামসুল হক

স্পিনারদের নেটেও তামিমকে ভুগতে দেখা গেছে। তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজের ফুল লেংথের বলে সহজেই ড্রাইভ খেলছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাকফুটেই যত ব্যথা। মিরাজের একটি শর্ট বলে পুল শট খেলে তো ব্যথায় কাতরে ওঠেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে পিঠে হাত দিয়ে উইকেটে বসে পড়তে দেখা যায়। তামিমের মিনিট বিশেকের নেট সেশনের সমাপ্তি হয় এর কিছুক্ষণ পর।

আরও পড়ুন

কয়েক দিন ধরেই পুরোনো এই ব্যথার সঙ্গে লড়ছেন তামিম। এর আগে ব্যথা সামলে ম্যাচও খেলেছেন। তবে এবারের ব্যথা তিনি সামলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৪ জুন শুরু হতে যাওয়া একমাত্র টেস্ট খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।