বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে চান নিগাররা
এ নিয়ে পঞ্চমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আগের চার আসরে জয় মাত্র দুটি। সেটাও সেই ২০১৪ সালে, শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর ২০১৬, ২০১৮ ও ২০২০ বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সেই ব্যর্থতা ভুলে এবার ভালো কিছু করার প্রত্যাশা নিগার সুলতানাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া ১০ দলের অধিনায়কদের নিয়ে আয়োজিত হয়েছে ক্যাপ্টেনস ডে। সেখানেই অধিনায়কদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘এখানে এসে আমরা খুব আনন্দিত, বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেকেই অনেক বছর ধরে খেলছি, তবে এটা আমাদের মাত্র পঞ্চম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালের পর আমরা কখনো জিততে পারিনি, কিন্তু এবার নিজেদের সেরাটা দিয়েই লড়ব।’
বিশ্বকাপের মঞ্চটা বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য নিজেদের সামর্থ্য দেখানো একটা বড় সুযোগ বলে মনে করেন নিগার, ‘আমাদের দলের বড় শক্তি অনুপ্রেরণা। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো বড় দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের খেলার সুযোগ খুব একটা হয় না। ফলে আমরা সেভাবে প্রস্তুতিও নিতে পারি নাই। এ ধরনের টুর্নামেন্টে আমরা সেই সুযোগ পাই। এটা আমাদের জন্য সুযোগ নিজেদের সামর্থ্য আর প্রতিভা দেখানোর। আমরা কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফর করেছি। যদিও সেখানে জিততে পারেনি, তবে অনেক কিছু শিখেছি। আমাদের দলটা গত দুই মাসে অনেক পরিশ্রম করেছে। আমরা এখন বিশ্বকাপে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর অপেক্ষায় আছি।’
বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের উন্নতির কথা জানিয়ে নিগার আরও বলেন, ‘২০১৮ সালে আমরা এশিয়া কাপ জেতার পর একটা বিশাল পরিবর্তন এসেছে আমাদের নারী ক্রিকেটে। বাংলাদেশের মানুষ নারী ক্রিকেট নিয়ে আরও বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা অনেক নারী ক্রিকেটার পাচ্ছি, অনেক মেয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছে। আমরা অনেক ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছি। ২০১৮ সালের পর আমাদের নারী ক্রিকেটের অবকাঠামোতেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে।’
বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে ছেলেদের দলকে সমর্থক দেন, সেভাবে মেয়েদের দলকেও সব সময় সমর্থন দেবেন বলে প্রত্যাশা নিগারের, ‘আমি বাংলাদেশের মানুষকে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের অনুরোধ করব, যেভাবে ছেলেদের দলটাকে আপনারা সমর্থন করেন, আমাদেরও সেভাবে করুন। আমরা আমাদের দেশকে গর্বিত করতে চাই।’