৩৮-এ মাসসেরা হয়ে সাকিবের রেকর্ড কাড়লেন নোমান আলী
নোমান আলী নামটা ভুলতেই বসেছিল ক্রিকেট–বিশ্ব। ১৫ মাস জাতীয় দলের বাইরে থাকা সেই নোমানকেই এই অক্টোবরে মনে পড়ল পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের। টেস্ট দলে ফিরেই সাজিদ খানকে নিয়ে স্পিনের মায়াজালে ইংল্যান্ডকে বন্দী করে পাকিস্তানকে টানা দুই ম্যাচে জয় এনে দিয়ে সিরিজ জেতাতে বড় ভূমিকাই রাখেন এই বাঁহাতি স্পিনার। আর সেই পারফরম্যান্স দিয়েই আইসিসি অক্টোবর মাসের মাসসেরা হয়ে গেলেন পাকিস্তানি বোলার।
মাসসেরা হয়ে মুলতান ও রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচে ২০ উইকেট নেওয়া নোমান রেকর্ডও গড়েছেন একটি। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে আইসিসি মাসসেরা পুরস্কার দেওয়া শুরু করার পর সবচেয়ে বেশি বয়সে এই স্বীকৃতি পেলেন নোমান।
৩৮ পেরোনো নোমানের আগে সবচেয়ে বেশি বয়সে মাসসেরা পুরুষ খেলোয়াড় হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ২০২৩ সালের মার্চে ৩৬ বছর বয়সে মাসসেরা হয়েছিলেন।
অক্টোবরের মাসসেরার লড়াইয়ে নোমান পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ও নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনারকে। রাবাদা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য ও স্যান্টনার ভারত সফরের পারফরম্যান্স দিয়ে জায়গা পেয়েছিলেন তিনজনের সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন তালিকায়।
বাবর আজম, আসিফ আলী, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামানের পর পাকিস্তানের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে মাসসেরা হলেন নোমান। প্রথমবার মাসসেরা পুরস্কার জেতা নোমান রাওয়ালপিন্ডিতে তৃতীয় টেস্টে ব্যাট হাতেও ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন দলের জয়ে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ১৭৭ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়ে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৭৭ রানের লিড এনে দিয়েছিলেন।
মেয়েদের মাসসেরা অ্যামেলিয়া কার
অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডকে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা রাখা অ্যামেলিয়া কার মাসসেরা স্বীকৃতি না পেলে বিস্ময়কর ঘটনাই হতো। বিশ্বকাপে ৯০ স্ট্রাইকরেটে ১৩৫ রান করা কার বল হাতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। এমন পারফরম্যান্স দিয়ে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পেয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার। দ্বিতীয়বার মাসসেরা পুরস্কার জেতা কার প্রথমবার এই স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
মাসসেরার লড়াইয়ে কারের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা ভলভার্ট ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডিয়ান্ড্রা ডটিন।