‘হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিদ্বেষী’ মন্তব্য করায় পুলিশে অভিযোগ, ভারত ছাড়লেন পাকিস্তানি সঞ্চালক
ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিত মুখ তিনি। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মাইক্রোফোন হাতে দেখা যায় পাকিস্তানি সঞ্চালক জয়নাব আব্বাসকে। ওয়ানডে বিশ্বকাপ কাভার করতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু তিন দিন কাটতে না কাটতেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে ভারত ছেড়েছেন জয়নাব। কেন এভাবে ভারত ছেড়েছেন জয়নাব, তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
কয়েক দিন আগে বিনীত জিন্দাল নামের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী দিল্লির আদালতে জয়নাবের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে অভিযোগ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে বিনীতের দাবি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘হিন্দুবিরোধী ও ভারতবিদ্বেষী’ মন্তব্য করেছিলেন জয়নাব। যদিও আইসিসি জানিয়েছে, জয়নাব ভারত ছেড়েছেন ব্যক্তিগত কারণে।
৫ অক্টোবর জয়নাবের বিরুদ্ধে বিনীত জিন্দল সাইবার আইনে অভিযোগ করেন। ৯ বছর আগে জয়নাবের করা কিছু টুইট (এক্স) উল্লেখ করে তিনি জানান, ভারত এবং একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন জয়নাব আব্বাস। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসিকেও ব্যাপারটি জানিয়েছেন বিনীত।
একই সঙ্গে অনুরোধ করেছেন, বিশ্বকাপের কাজ থেকে জয়নাবকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়। বিনীত নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, দিল্লি পুলিশকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩-এ, ২৯৫, ৫০৬, ১২১ ধারায় জয়নাবের বিরুদ্ধে এফআইআর করার অনুরোধ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারাও প্রয়োগ করতে বলেছেন। ৯ বছর আগে করা জয়নাবের টুইটটি ছিল এমন, ‘নয়াদিল্লির গন্ধ গোমূত্রের মতো।’
এই আইনজীবী পরে আরও একটি টুইট করেন। সে টুইটে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে লেখেন, ‘অনেক বড় জয় পেয়েছি। কারণ, জয়নাব আব্বাসকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ধন্যবাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিসিসিআইকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।’
জয়নাবকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমন সংবাদ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর আইসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন অন্য কথা। সংবাদ সংস্থা এএফপি সেই মুখপাত্রের উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘জয়নাবকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়নি, তিনি ব্যক্তিগত কারণে ভারত ছেড়েছেন।’ জয়নাব পাকিস্তানে পৌঁছেছেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে ক্রিকেট পাকিস্তান দাবি করেছে, বর্তমানে দুবাইয়ে আছেন জয়নাব।
পাকিস্তানি সাংবাদিকেরা এখনো বিশ্বকাপ কাভার করার জন্য ভারতের ভিসা পাননি। পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও ভিসা পেয়েছেন বেশ দেরিতে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।