সূচি
শ্রীলঙ্কা: নামে ভারী নয়, ধারে কাটতে পারবে কি
মজার এক রথে চেপেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট। রথের চাকা একবার ঘুরে দ্বিগুণ সময় থামে। চলুন সেই রথ দেখানোর সঙ্গে কলাও বেচা যাক।
শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে সেরা দিন কোনটি? ১৯৯৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়। পরের বৈশ্বিক শিরোপাটা কবে? ২০০২ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। অর্থাৎ মাঝে ৬ বছরের বিরতি। তৃতীয় বৈশ্বিক শিরোপাটা ঠিক তার ১২ বছর পর, ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই হিসাবে এবার যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে শ্রীলঙ্কান রথের চাকা ঘোরার কথা নয়। কারণ, ১২ দ্বিগুণে ২৪ বছরের বিরতি চলছে! ২০৩৮ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (যদি হয়) চাকা ঘুরবে।
রসিকতা রেখে আসল কথায় আসা যাক। অপেক্ষা সম্ভবত বাড়বে। এবারও বোধ হয় হবে না। কিন্তু খেলাটির নাম ক্রিকেট, আর সংস্করণটিও আরও বেশি অনিশ্চিত টি-টোয়েন্টি; শ্রীলঙ্কা আশা ছাড়বে কেন! শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে কুমার সাঙ্গাকারা-মাহেলা জয়াবর্ধনেদের প্রজন্ম শেষ ট্রফিটা জেতানোর পর এক দশক কেটেছে। এবারের দলে তারকা আছে, ভালো খেলোয়াড়ও কম নেই; কিন্তু বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জিততে আরও যা যা লাগে, ব্যাখ্যাতীত সেসব ব্যাপারই অনুপস্থিত। অবশ্য বিশ্বকাপের আবহে পাল্টে গেলে ভিন্ন কথা। অতীতে যে এমন কিছু ঘটেনি, তা–ও না। পাতিরানা-শানাকাদের পূর্বপ্রজন্ম রানাতুঙ্গা-ডি সিলভারা ১৯৯৬ সালেই করে দেখিয়েছেন। আগের পাঁচটি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরোতে না পারলেও সেবার চ্যাম্পিয়ন। কিছু একটা ছিল সেই দলে, যা এবারও নেই।...আরও