সূচি
বাংলাদেশ: হৃদয়, তানজিদ, রিশাদরাই ভরসা
নতুন ধারার টি-টোয়েন্টি খেলার স্লোগানটা দুই বছর আগে থেকেই দিচ্ছিল বাংলাদেশ দল। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের পর থেকেই বলা হচ্ছিল, দল সাজবে তারুণ্যে, ব্যাটিং-বোলিং হবে আক্রমণাত্মক। আর ফিল্ডিং হবে বাংলাদেশ দলের মনের জানালা। যেখানে তাকালেই দলের আবহটা স্পষ্ট হবে। তখন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক ছিলেন সাকিব আল হাসান। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল ২০২২ সালের বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে প্রথমবারের মতো দুটি জয় নিয়ে দেশে ফিরেছে। নাজমুল হোসেন সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। এরপর সেই নাজমুলের ব্যাটে আর সাকিবের নেতৃত্বেই ঘরের মাঠে বিশ্বকাপজয়ী দল ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ। গত বছরের সেই ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে বাংলাদেশ দল ২০ ওভারের খেলায় ৬টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে জিতেছে চারটিতে। নিউজিল্যান্ড সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ড্র হয়েছে।
তবে দলটা যেহেতু বাংলাদেশ, দ্বিপক্ষীয় সিরিজের পারফরম্যান্স দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা মানেই বোকামি। অন্তত বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপের ইতিহাস তা-ই বলে। বিশ্বকাপের বিমান ধরার আগে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে এবার কেন ব্যতিক্রমী কিছু প্রত্যাশা করা যায়, সে যুক্তিও দিয়েছেন। হাথুরুসিংহের দাবি, দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। ম্যাচের কোন অবস্থায় কে কেমন করতে পারেন, ঘুরিয়ে–ফিরিয়ে তা দেখা হয়ে গেছে। অধিনায়ক নাজমুলেরও নিজেদের প্রস্তুতিতে অগাধ আস্থা। কিন্তু যে প্রস্তুতির কথা বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ দল সেটার বেশির ভাগটাই নিয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে। বাংলাদেশ সিরিজটি ৪-১–এ জিতলেও প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে বলেই মনের ভেতর একটা খচখচানি থেকেই যায়। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবার তিন ম্যাচের সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।...আরও