‘কোহলি-বাবরের জনপ্রিয়তা লেব্রন জেমসের মতোই’
বাস্কেটবল তারকা লেব্রন জেমসের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তার কথা অনেকের জানা। জেমসের দেশ যুক্তরাষ্ট্রই এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে। মার্কিন মুলুকে প্রথমবার কোনো আইসিসির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলায় নিশ্চিতভাবেই ক্রিকেটের বাজার আরও ছড়িয়ে পড়বে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতা লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট মনে করেন, বিরাট কোহলি ও বাবর আজমের মতো তারকার উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের বাজার প্রসারিত করতে বড় ভূমিকা রাখবে। প্ল্যাঙ্কেটের মতে, কোহলি-বাবরের জনপ্রিয়তা লেব্রন জেমসের মতোই।
লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপে ‘বেয়ারেস্ট অব অল মার্জিনস’–এর সেই ফাইনালের পর ইংল্যান্ড দলে আর কখনো জায়গা পাননি। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) ওপর অনেকটা অভিমান করে ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান প্ল্যাঙ্কেট।
তাঁর স্ত্রী এমেলিয়া এর্ব যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পান। গত চার বছর দেশটির ক্রিকেটের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছেন প্ল্যাঙ্কেট। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটকেও কোহলি–বাবর কতটা প্রভাবিত করতে পারেন।
ফিলাডেলফিয়া থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে প্ল্যাঙ্কেট বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি কাউকে বলেছি, বাবর আজম ও বিরাট কোহলি যদি লেব্রন জেমসের পাশে দাঁড়াত, তাহলে ক্রিকেটারদের সারি ঠিক ততটাই লম্বা হতো বা (বাস্কেটবল তারকাদের) সারি এর বেশি লম্বা হতো না। বিশ্বজুড়ে তাদের (কোহলি–বাবরের) বিশালতা অনেক।’
১ জুন শুরু হবে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। নিউইয়র্কে ভারত–পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আগামী ৯ জুন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের ম্যাচটির টিকিটের চাহিদা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ গুণ বেশি, বিষয়টি গত মাসেই জানিয়েছে আইসিসি।
এবার প্ল্যাঙ্কেটও জানালেন, মানুষ নাকি তাঁর কাছে টিকিটের অবদার করছে, ‘আমি জানি (ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের) টিকিট পাওয়া কতটা কঠিন। এরপরেও মানুষ আমার কাছে টিকিট চাইছে। যেন আমি একজন টিকিট মাস্টার কিংবা টিকিট–সংশ্লিষ্ট কেউ। আসলে এ নিয়ে আমার কিছু করার নেই। আমি নিশ্চিত, যারা টিকিট পেয়েছে, তারা চড়া দামে বিক্রি করে দেবে। লোকে ১৫০০ ডলারে টিকিট বিক্রির চেষ্টা করছে, অনেকে সেই দামে কিনছেও। ব্যাপারটা আমার কাছে পাগলাটে লাগছে।’
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের বৈশ্বিক আবেদন ও এর তাৎপর্য কতটা, এএফপির সঙ্গে আলোচনায় সে কথাও বলেছেন প্ল্যাঙ্কেট, ‘আমেরিকার লোকজনকে আমি জানিয়েছি, সুপারবোলের চেয়েও ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বেশি। কিন্তু তারা আমার কথা বিশ্বাস করেনি। এটা স্রেফ পাগলামি।’