বাবর নেই, তাই পাকিস্তান জিতেছে—এমন ভাবনার বিপক্ষে আমির
মাঠে নেই, তবু আলোচনায় বাবর আজম। বাবর খেললে পাকিস্তানের যেকোনো হারে সবার আগে দায়টা তাঁর ঘাড়েই চাপত। তবে মুলতান টেস্টে পাকিস্তানের জয়ের পরও বাবরকে নিয়ে পড়েছেন অনেকেই।
বাবর তো এই টেস্টে দলে ছিলেন না। অনেকে তাই রসিকতাসুলভ খোঁচার সুরে বলছেন, বাবর নেই বলেই জিতেছে পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির এই সময়ে বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমন কিছু না ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন সবাইকে।
পাকিস্তান ক্রিকেটে বাবরের কঠোর সমালোচক হিসেবে আমিরের নাম শোনা যায়। পাকিস্তানের টেলিভিশন অনুষ্ঠানে টি-টোয়েন্টি দলে বাবরের জায়গা নেই বলে মন্তব্য করেছিলেন আমির। ২০২৩ বিশ্বকাপেও দলের ব্যর্থতার দায় আমির দিয়েছিলেন বাবরকে। তবে এবার আমিরের অন্য রূপই দেখা গেল।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বাবরের পাশে দাঁড়িয়ে আমির লিখেছেন, ‘বাবর দলে নেই, অন্য কেউ দলে নেই, তাই দল জিতেছে। দয়া করে এই ধরনের নোংরা চিন্তাভাবনা বাদ দিন। আমাদের পরিকল্পনা ভালো ছিল, ঘরের মাঠের সুবিধা নিয়ে খেলেছি, তাই জিতেছি। নিজেদের খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত আক্রমণ না করি, পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলি, তবে ব্যক্তিগত কিছু না বলি।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়া জয়টি ঘরের মাঠে পাকিস্তানের ৩ বছর ৮ মাস পর প্রথম টেস্ট জয়, যে জয়ের মূল কারিগর দুই স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলী। এই দুই স্পিনারই ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এক ম্যাচে ২ বোলার মিলে প্রতিপক্ষের সব কটি উইকেট নেওয়ার সপ্তম ঘটনা এটি, একবিংশ শতাব্দীতে প্রথম। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, উইকেট স্পিনারদের কতটা সুবিধা দিয়েছে।
মুলতান প্রথম টেস্ট ও দ্বিতীয় টেস্ট একই উইকেটে খেলেছে পাকিস্তান। মানে গতকাল এটি ছিল নবম দিনের উইকেট। ইংল্যান্ডের ২০ উইকেট নেওয়ার জন্যই মূলত এই ধরনের উইকেটে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান।
যেটা কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনেও শান মাসুদই বলেছিলেন, ‘যখন নির্বাচক কমিটির সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই একটা বিষয়েই উদ্বিগ্ন ছিল—২০ উইকেট কীভাবে নেওয়া যায়। আমার অধীনে আমরা মাত্র একবার ২০ উইকেট নিয়েছি। কন্ডিশন দেখার পর বুঝতে পেরেছি ব্যবহার করা উইকেটে খেললে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেতে পারে। তাই আমরা ভাবলাম, এমন আলাদা কিছুর চেষ্টা কেন নয়?’