বাংলাদেশ সিরিজে ফেরার তাড়াহুড়া করতে চান না উইলিয়ামসন
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সিরিজে ফেরাটা ‘একটু বেশি তাড়াহুড়া’ হয়ে যাবে বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক। বিশ্বকাপে ফেরাটাও এই মুহূর্তে ‘কঠিন’ তাঁর কাছে, তবে গতবারের টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ভারতের মাটিতে খেলার আশা ছাড়েননি এখনো।
সর্বশেষ আইপিএলে এসিএলের (লিগামেন্ট) চোটে ছিটকে যাওয়া উইলিয়ামসন সম্প্রতি নেটে ব্যাটিং করেছেন, বিশ্বকাপে তাঁর খেলা নিয়ে আলোচনাটা ফিরে এসেছে আবার। যদিও নেটে থ্রোডাউন সামলেছেন শুধু, বোলারের মুখোমুখি হননি এখনো। আপাতত ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন। এ মাসের শেষ দিকে ইংল্যান্ডে সীমিত ওভারের সিরিজে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি, সেখানে চলবে তাঁর পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া।
কবে মাঠে ফিরবেন, এ ব্যাপারে এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি উইলিয়ামসন। কিন্তু অক্টোবরে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে ফেরার সম্ভাবনা একরকম নাকচই করে দিয়েছেন। আগামী ৫ অক্টোবর শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে সেপ্টেম্বরে তিন ম্যাচের একটি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা আছে নিউজিল্যান্ডের।
মাউন্ট মঙ্গানুইতে সাংবাদিকদের উইলিয়ামসন বলেন, ‘ব্যাপারটা সোজাসাপটা না। আপনি হয়তো আগেভাগে কোনো লক্ষ্য ঠিক করে নিজেকে বোঝাতে চাইবেন। তবে এটা আসলে সেরে ওঠার অনেক উপকরণের ওপর নির্ভর করছে। স্ট্রেংথ নিয়ে কাজ করতে পারে, মুভমেন্ট নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তবে সবার আগে সেরে ওঠার ব্যাপারটা হতে হবে। আর তার আগে অনেক কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সবকিছু বিবেচনায় তাই সিরিজটি (বাংলাদেশের বিপক্ষে) বেশ তাড়াহুড়া হয়ে যায়।’
অবশ্য নিজের উন্নতি হচ্ছে, উইলিয়ামসন তাতেই আপাতত খুশি। শিগগির বোলারদের মুখোমুখি হওয়ার আশাও করছেন। যে ব্যাপারগুলো আগে স্বয়ংক্রিয়ভাবে হতো—যেমন কিছু মুভমেন্ট—এখন সেগুলো নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে তাঁর, ‘আপাতত কিছু মুভমেন্ট বাড়ানোর চেষ্টা করছি। সেগুলোর তীব্রতা বাড়িয়ে আরও ভালো করার চেষ্টা করছি। উন্নতি হচ্ছে ভালোভাবেই। আশা করি, খুব বেশি দূরে নয় এসব।’
বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে এখনোই সরাসরি কিছু বলতে চান না গতবারের রানার্সআপ দলের অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে খেলা সব সময়ই বিশেষ কিছু। তবে কবে ফেরার দিন আসবে, এখন সেটি বললে আসলে অনুমান করা হবে শুধু। এখনো অনেক কাজ বাকি। আপাতত আমাকে যে প্রোগ্রাম দেওয়া হয়েছে, সেটি অনুসরণ করছি ফিজিও, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ও সাপোর্ট স্টাফের সঙ্গে। এটিও কঠিন। কারণ কোনো দিন বেশ ভালো যায়, কোনো দিন আবার একটু আলাদা।’
গত মার্চে যখন চোটে পড়েন, তখন থেকেই বিশ্বকাপ খেলা অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে উইলিয়ামসনের। এসিএল চোট থেকে সেরে উঠতে সাধারণত লম্বা সময়ই লাগে। গতকালই যেমন এ চোটে পড়ে মৌসুম শেষের শঙ্কায় পড়ে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। উইলিয়ামসনও ব্যতিক্রম নন। তবে বিশ্বকাপ সামনে রেখে একটা অনুপ্রেরণাও পাচ্ছেন তিনি, ‘অবশ্যই তখন খুবই কম ছিল (বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা), এমন একটা লক্ষ্য বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের মতো কিছু মাথায় থাকলে সেটি আপনাকে উজ্জীবিত করবে, আপনি উন্নতি দেখতে চাইবেন।’
আপাতত ইংল্যান্ডের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় উইলিয়ামসন। ২৫ ও ২৭ আগস্ট দুটি টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচের পর ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। ৮-১৫ সেপ্টেম্বর হবে ওয়ানডে সিরিজ। দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘এমনিতেও দল একত্রে খুব বেশি সময় কাটায়নি এর মধ্যে। কিন্তু কিছুদিন দলের বাইরে থাকার পর এখানে ব্যাটিং করা, এরপর দলের সঙ্গে যোগ দেওয়াটা দারুণ হবে। বিশ্বকাপের আগে এটি শেষ দিককার সফর, এরপর বাংলাদেশ সফর আছে। দলের সঙ্গে সময় কাটানো, অনুশীলন ও পুনর্বাসন করতে পারলে ভালো লাগবে।’