‘তক্তা উইকেট’ চাওয়া পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের গিলেস্পি বলেছেন, ‘চুপ’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কঠিন একসময় পার করছে পাকিস্তান। বলতে গেলে সব কটি সংস্করণেই সংগ্রাম করতে দেখা যাচ্ছে দলটিকে। সর্বশেষ তারা বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ২–০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়ে। বাংলাদেশের কাছে হারের ধাক্কা থেকে যেন বেরই হতে পারছে না পাকিস্তান। এমনকি থামছে না সমালোচনাও।
সাম্প্রতিক সময়টা ভালো না গেলেও পাকিস্তানের সামনে সুযোগ এসেছে ঘুরে দাঁড়ানোর। আগামীকাল শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এই সিরিজে ভালো করলে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে শান মাসুদের দল। পাশাপাশি এর মধ্য দিয়ে মুখ বন্ধ করা যাবে সমালোচকদেরও।
এদিকে মুলতানে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে উইকেটের ধরন নিয়ে। পাকিস্তান দলের ব্যাটসম্যানরা নাকি ঘরের মাঠে ফ্ল্যাট পিচ দেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছেন। এই প্রবণতা প্রায়ই দলটির জন্য উল্টো ফল নিয়ে এসেছে।
এর ফলে স্পোর্টিং উইকেটে খেলার সময় তাদের ব্যাপকভাবে ভুগতেও হয়। এ কারণেই হয়তো পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ‘তক্তা উইকেটের’ দাবির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন দলের প্রধান কোচ জেসন গিলেস্পি। পাকিস্তান দলের বিশেষ ধরনের উইকেট চাওয়া এবং গিলেস্পির বিরোধিতার খবরটি সামনে এনেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাসিত আলী। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাসিত বলেছেন, ‘আমি আপনাদের একটি ভেতরের খবর জানাব। জেসন গিলেস্পি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের চুপ করে থাকার কথা বলেছেন। তিনি চান উইকেট গ্রাউন্ডসম্যানরা যেভাবে তৈরি করেছে, সেভাবেই থাকুক।’
বাসিত পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের চাওয়া নিয়ে বলেছেন, ‘পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা চায় ঘাস কেটে ফ্ল্যাট উইকেট বানানো হোক। আর পিচ কিউরেটর এবং গিলেস্পি চান একই উইকেটে খেলাতে। আমি খুবই খুশি হব, যদি ঘাসের উইকেটে ম্যাচ হয় এবং আমাদের বোলাররা উইকেট নিতে পারে।’
অবশ্য উইকেট ফ্ল্যাট হোক কিংবা স্পোর্টিং, পাকিস্তান এখন যেকোনো মূল্যে জিততে মরিয়া। ঘরের মাঠে দলটি সর্বশেষ ম্যাচ জিতেছে ১ হাজার ৩৩৮ দিন আগে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তারা সর্বশেষ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শান মাসুদের নেতৃত্বেও এখনো জয়ের দেখা পায়নি পাকিস্তান।
এর মধ্যে গত বছরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল তারা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষেও কদিন আগে হেরেছে ২–০ ব্যবধানে। এ পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে পাকিস্তান জয়ে ফিরতে পারে কি না, সেটাই দেখার অপেক্ষা।