বিশ্বকাপের ৪০ দিন আগেও ‘প্রস্তুত’ নয় নিউইয়র্কের স্টেডিয়াম
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর ৪০ দিন আগেও প্রস্তুত হয়নি নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। এ টুর্নামেন্ট সামনে রেখেই বানানো হচ্ছে স্টেডিয়ামটি।
আগামী ২ জুন শুরু হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সব মিলিয়ে ৯টি ভেন্যুতে হবে এ টুর্নামেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রের যে ৩টি ভেন্যুতে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো হবে, সবচেয়ে বেশি ৮টি ম্যাচ হওয়ার কথা নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মাঠটিতে।
গতকাল প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে কাজ হচ্ছে। এর ধারণক্ষমতা হওয়ার কথা ৩৪ হাজার। তবে মাঠে এখনো কোনো ঘাসের চিহ্ন নেই। আগামী ৩ জুন এ মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ জুন সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন এ মাঠেই হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচও।
এটিকে বলা হচ্ছে ক্রিকেটের প্রথম ‘মডিউলার’ স্টেডিয়াম। সাধারণত স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি স্থাপনাকে চাইলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গাতেও নিয়ে যাওয়া যায়। কার্যত এটি একেবারে স্থায়ী স্থাপনা নয়। ফলে তৈরি করতেও তুলনামূলক অনেক কম সময় লাগে।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে গত ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এ স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয়। গত বছর ফর্মুলা ওয়ানের লাস ভেগাস গ্রাঁ প্রিঁর অস্থায়ী গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডকেও এখানে স্থাপন করা হবে। পপুলাস নামের একটি স্থাপত্য ফার্ম ডিজাইন করেছে নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের। এ ফার্ম এর আগে নিউইয়র্কের বেসবল দল ইয়াঙ্কির স্টেডিয়ামের পাশাপাশি ভারতের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ও লন্ডনে টটেনহাম হটস্পারের স্টেডিয়ামেরও ডিজাইন করেছে।
গত মার্চে এ স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের ‘এক মাস পূর্তি’ উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল আইসিসি। তথ্য অনুযায়ী, ২৯ এপ্রিল মাঠের ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আগামী ৬ মে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে এর ‘টেস্ট ইভেন্ট’ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ মে, প্রথম ম্যাচের সপ্তাহখানেক আগে।
এর আগে এক বিবৃতিতে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস বলেছিলেন, ‘আমরা আইসিসি পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এ নিউইয়র্কে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম উন্মোচন করতে পেরে রোমাঞ্চিত।’