মুশফিক ফিরতে পারেন ঢাকায়, এসেছেন নতুন সহকারী ফিল্ডিং কোচ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগামীকালের ম্যাচের পরই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। পারিবারিক কারণে টুর্নামেন্ট অসমাপ্ত রেখে দেশে ফিরে যেতে পারেন মুশফিকুর রহিম। এদিকে গতকাল কলম্বোয় বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন নতুন সহকারী ফিল্ডিং কোচ ফয়সাল হোসেন।
কলম্বোয় আজ বাংলাদেশ দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, স্ত্রী সন্তানসম্ভবা বলেই মুশফিক দেশে ফেরার চিন্তাভাবনা করছেন। দ্বিতীয় সন্তানের আগমনের সময়টাতে তিনি স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর পাশে থাকতে চান। সে জন্য ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁর ঢাকায় থাকা প্রয়োজন বলে তিনি টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়েছেন।
মুশফিকের পারিবারিক এই বিষয়টি দলও গুরুত্বসহকারে নিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলে ফিরবেন মুশফিক। সবকিছু নির্ভর করছে কলম্বোর রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগামীকালের ম্যাচের ওপর। সুপার ফোরে বাংলাদেশ দল নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে।
এশিয়া কাপে এবার শুরু থেকেই কিছুটা অস্থিতিশীল সময় পার করছে বাংলাদেশ দল। ইবাদত হোসেন চোটে পড়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ছিটকে যান। জ্বরের কারণে লিটন দাসও খেলতে পারেননি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। তাঁর জায়গায় আনা হয় এনামুল হক বিজয়কে। আফগানিস্তান ম্যাচের পর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে দেশে ফিরতে হয়েছে নাজমুল হাসানকেও।
এদিকে দলের কোচিং স্টাফেও যোগ হয়েছে নতুন সংযোজন। সহকারী ফিল্ডিং কোচ হিসেবে কলম্বোতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ফয়সাল হোসেন। দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে আছেন শেন ম্যাকডারমট। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ফিল্ডিং কোচ ফয়সাল তাঁকে সাহায্য করার পাশাপাশি নেট অনুশীলনে কাজ করবেন বাঁহাতি বিশেষজ্ঞ থ্রোয়ার হিসেবেও।
সুপার ফোরে বাকি ম্যাচগুলোকে প্রতিপক্ষের অনেক বাঁহাতি বোলারকেই সামলাতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। সে জন্যই অনুশীলনে একজন বাঁহাতি থ্রোয়ারের প্রয়োজন অনুভব করেছে টিম ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের কোচদের মধ্যে এই কাজ ভালো পারেন বলেই ফয়সাল হোসেনকে কলম্বোয় উড়িয়ে আনা।
ফয়সাল হোসেনের দলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কলম্বোয় দলের সঙ্গে থাকা বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা প্রধান জালাল ইউনুস প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘ডিকেন্সকে (ফয়সাল হোসেন) আনা হয়েছে সহকারী ফিল্ডিং কোচ হিসেবে। তবে একই সঙ্গে নেট অনুশীলনেও তার একটা ভূমিকা থাকবে। আমরা জানি সে খুব ভালো এবং জোরে থ্রো ছুড়তে পারে। প্রতিপক্ষের বাঁহাতি বোলারদের কথা চিন্তা করে এ রকম একজনকেই চেয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।’
কলম্বোয় সুপার ফোরের ম্যাচগুলো হবে বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই। কাল বিকেলে লাহোর থেকে ভাড়া করা বিমানে যখন একসঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা দল এখানে পৌঁছায়; বৃষ্টি হচ্ছিল তখনো।
তবে কাল রাতের পর থেকে আবহাওয়া বেশ ভালো। কলম্বোয় আজ বৃষ্টি নেই, আছে ঝলমলে রোদ। বিকেলে রানাসিঙ্গে প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল।