শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হার বাংলাদেশের মেয়েদের

বাজে ব্যাটিংয়ের পর বাজে ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশছবি: টুইটার

কেপ টাউনে জয় দিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সেটাও হলো না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। টানা চার হারে নিজেদের গ্রুপের তলানিতে থেকে বিদায় নিল নিগার সুলতানার দল।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। জয়শূন্য ২০১৪ সালের পর থেকে। এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে একাধিক ম্যাচ জেতার আশা প্রকাশ করেছিলেন নিগার। কিন্তু শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের পর শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের কাছেও হেরে জয়শূন্য থাকতে হলো। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ম্যাচটা ছিল কার্যত নক আউট। জিতলেই সেমিফাইনাল। ১৩ বল হাতে রেখে তুলে নেওয়া জয়ে সেটাই নিশ্চিত করেছে সিনা লিসের দল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডের পর শেষ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিগারকে হতাশ করেছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মারিজানে কাপকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মুর্শিদা। মিড অফে দারুণ ডাইভে তাঁর ক্যাচটি নেন নাদিন ডি ক্লার্ক। ৬ বলে শূন্য রানে ফেরা মুর্শিদান বাজে ফর্ম কাটছেই না। তৃতীয় ওভারে ৭ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর মাঝে দুই ওভারে কোনো বিপদ ঘটেনি। রানও সেভাবে ওঠেনি।

ষষ্ঠ ওভারে শবনম ইসমায়েলকে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন শামিমা (১৬ বলে ১১)। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৩ রান তুলতে পারা বাংলাদেশ এগিয়েছে তৃতীয় উইকেট জুটিতে। সোবহানা মুশতারিকে সঙ্গে নিয়ে ৪১ বলে ৩৩ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক নিগার।

আরও পড়ুন

মালাবার বাঁহাতি বুদ্ধিদীপ্ত স্পিনে মারতে গিয়ে বোল্ড হন মুশতারি। মিড উইকেটে সুইপ করবেন বুঝতে পেরে একটু সামনে বল করেছিলেন মালাবা। ৩০ বলে ২৭ রানে ফেরেন মুশতারি। স্বর্ণা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে ২১ বলে ২৫ রানের ভালো আরেকটি জুটি গড়েন নিগার। ১১ বলে ১১ রান করা স্বর্ণা ১৬তম ওভারে এবং নিগার পরের ওভারে আউট হওয়ার পরই বড় সংগ্রহের আশা হারায় বাংলাদেশ।

২ চারে ৩৪ বলে ৩০ রান করা নিগার ১৬.৩ ওভারে দলীয় ৮৪ রানে বোল্ড হন। এখান থেকে শেষ ২১ বলে ২৯ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ১১৩ রানের সংগ্রহটা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মোটেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার মতো ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডাররাও ক্যাচ না ছাড়া ও বাজে ফিল্ডিং না করলে স্কোর আরও ছোট হতো।

দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লরা ভলভার্ট অবশ্য অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে তাঁর ৫৬ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসের সামনে অসহায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটসও কম যাননি। ৪ চারে ৫১ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। দুজনকেই আউট করার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ
ছবি: টুইটার

ব্রিটসকে একাধিকবার জীবন দিয়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে তাঁর ক্যাচ পড়েছে। পরের ওভারেই ভলভার্টকে রান আউট করার সুযোগ হারায় নিগারের দল।

নবম ওভারে ব্রিটসের সহজ স্টাম্পিং মিস করেন উইকেটকিপার শামিমা। পরের ওভারে আবারও একই ঘটনা! দুবারই বল ঠিকমতো গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি শামিমা। বেঁচে যাওয়া ব্রিটস পরে আর ভুল করেননি।