- টস
- বাংলাদেশ একাদশ
- ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাকসের অভিষেক
- ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের
- প্রথম আঘাত ওকসের, ফাঁদে পড়লেন লিটন
- বাংলাদেশের ৫০
- উডের গতির কাছে পরাস্ত তামিম
- সতর্ক নাজমুল-মুশফিক
- ক্যাচ নিয়েও ক্যাচ নয়!
- নাজমুল নট আউট
- ধৈর্য হারিয়ে আউট মুশফিক
- সাকিব এ কী করলেন!
- কত দূর যাবে বাংলাদেশ?
- নাজমুলের ফিফটি
- সাকিব আবার নিচে
- নাজমুলের উইকেটে ভাঙল জুটি
- নেই মাহমুদউল্লাহও
- ভুলের মাশুল দিলেন আফিফ
- রইল বাকি ২
- বাঁচলেন তাসকিন
- বাংলাদেশের ২০০
- ২০৯ রানে থামল বাংলাদেশ
- প্রথম ওভারে সাকিবের আঘাত
- সাকিবের বদলে তাইজুল, তাসকিনের জায়গায় মিরাজ
- সল্ট ব তাইজুল
- প্রথম ১০ ওভার
- তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার ভিন্স
- বাটলারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিলেন তাসকিন
- দর্শক কই?
- ২০ ওভার শেষে
- কঠিন সুযোগ
- ইংল্যান্ডের ১০০
- ফিরেই জ্যাকসকে ফেরালেন মিরাজ
- ম্যালানের ফিফটি
- শেষ বলে উইকেট মিরাজের
- তাইজুলের তৃতীয় আঘাত
- তাইজুল ৩/৫৪
- ম্যালানের সেঞ্চুরি
- দুর্দান্ত ম্যালানে ৩ উইকেটে জয় ইংল্যান্ডের
টস
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মিরপুরের প্রথম ওয়ানডেতে আপনাকে স্বাগত!
বাংলাদেশ একাদশ
দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে বাংলাদেশ দলে আছেন তিন স্পিনার—সাকিব আল হাসান, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ইংল্যান্ড একাদশ: জ্যাকসের অভিষেক
বাংলাদেশ দলের বিপরীত বলা যায় ইংল্যান্ডের কম্বিনেশনকে। তারা খেলাচ্ছে তিন জন পেসার—ক্রিস ওকস, জফরা আর্চার ও মার্ক উডকে। সঙ্গে আছেন মঈন আলী, আদিল রশীদ।
অভিষেক হচ্ছে উইল জ্যাকসের।
একাদশ
জেসন রয়, ফিল সল্ট, ডেভিড ম্যালান, জেমস ভিন্স, জস বাটলার, উইল জ্যাকস, মঈন আলী, ক্রিস ওকস, আদিল রশীদ, জফরা আর্চার ও মার্ক উড।
সামনে ইংল্যান্ড
এই ইংল্যান্ডও তাই বাংলাদেশের জন্য যথেষ্টই বড় চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক জস বাটলার এই সিরিজকে দেখছেন স্পিনিং উইকেটে ভালো করার চ্যালেঞ্জ হিসেবে। বাংলাদেশের জন্য স্পিন যতটা চ্যালেঞ্জ, তার চেয়ে বেশি ইংল্যান্ডের গতিময় পেস আক্রমণ।
ইতিবাচক শুরু বাংলাদেশের
আঁটসাঁট লাইন-লেংথ ধরে রেখে বোলিং করছেন ক্রিস ওকস। যাঁকে দিয়ে উদ্বোধন করিয়েছেন জস বাটলার।
অন্যপ্রান্ত থেকে আসা জফরা আর্চারের প্রথম ওভার ছিল ঘটনাবহুল। তাঁর লো ফুলটসে চার মেরেছেন তামিম ইকবাল, সেটি আবার ছিল নো বল। ফ্রি হিটে অবশ্য রান আসেনি। আর্চার ফুললেংথ তাক করে বোলিংয়ের চেষ্টা করেছেন প্রথম ওভারে। তবে শেষ বলে আবার স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরেছেন তামিম। আর্চারের প্রথম ওভার থেকে এসেছে ১২ রান।
দ্বিতীয় ওভারে আবার নো করেছেন আর্চার, এবার ফ্রি হিটে টেনে মিড অনের পাশ দিয়ে চার মেরেছেন তামিম। পরে অবশ্য লেংথ কমিয়ে এনেছেন আবার, আউটসাইড-এজ বিট করেছেন লিটন দাসের। আর্চারের দ্বিতীয় ওভারে এসেছে ৬ রান।
বাংলাদেশ ৪ ওভারে ২৬/০।
প্রথম আঘাত ওকসের, ফাঁদে পড়লেন লিটন
ক্রিস ওকস, সিম বোলিংয়ের ‘মাস্টার’!
পঞ্চম ওভারে আসা ওকসের সঙ্গে লিটন দাস লড়াইয়ে নেমেছিলেন, তবে পারলেন না।
লেংথ থেকে লিটনের আউটসাইড-এজ তাক করে বোলিং করেছেন ওকস, শুরুতে সে সবের জবাব ছিল না বাংলাদেশ ওপেনারের কাছে। তবে কোমরের ওপর পেয়ে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে একটি পাঠিয়েছিলেন বাউন্ডারির বাইরে। ঠিক পরের বলেই ‘প্রতিশোধ’ নিলেন ওকস। মোটামুটি ফুললেংথ থেকে সিমে পড়ে বেরিয়ে যাওয়া বলটা ফাঁকি দিল লিটনের আউটসাইড-এজ, বাংলাদেশ ওপেনার হলেন স্কয়ারড আপ।
এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দিয়েছেন রুচিরা পালিয়াগুরুগে, লিটনের রিভিউ কাজে আসেনি। পঞ্চম ওভারে, দলীয় ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৫০
আর্চারের আগের ওভারে আউটসাইড-এজে চার পেয়েছিলেন নাজমুল, তবে পরের ওভারে ওকসকে মারা দুই চারে ছিল দারুণ নিয়ন্ত্রণ। নবম ওভারের শেষ দুই বলে এসেছে ওই দুটি চার—কাট করে মারার পর স্ট্রেইট ড্রাইভে মেরেছেন নাজমুল।
অন্য প্রান্তে আর্চারকে সরিয়ে আনা হয়েছে মার্ক উডকে।
বাংলাদেশ এর আগেই পেরিয়ে গেছে ফিফটি, তামিম ইকবাল অপরাজিত ২৩ রানে। নাজমুলের ১২ রান এসেছে তিনটি বাউন্ডারিতে।
উডের গতির কাছে পরাস্ত তামিম
১৪১ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
১৪৭ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
১৪৯ কিলোমিটার/ঘণ্টা।
ক্রমেই বাড়তে থাকা মার্ক উডের সে গতির জবাব ছিল না তামিম ইকবালের কাছে। লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে লাফিয়ে উঠেও সামলাতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিম, ব্যাট-হাতে লাগার পর সেটি গিয়ে ভেঙেছে স্টাম্প। প্রথম ওভারে এসেই সফল উড। তামিম ফিরেছেন ৩২ বলে ২৩ রান করে, বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ৫১ রানে।
সতর্ক নাজমুল-মুশফিক
উডের গতির এখনো তেমন কোনো জবাব খুঁজে পাননি বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবাল ফেরার পর একটু ধাতস্থ হওয়ার চেষ্টা করছেন নাজমুল ও নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। এখন পর্যন্ত ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়েছেন উড।
অন্য প্রান্ত থেকে প্রথমবারের মতো দেখা গেছে স্পিন, এসেছেন মঈন আলী।
বাংলাদেশ ১৫ ওভারে ৭৫/২।
ক্যাচ নিয়েও ক্যাচ নয়!
১৭তম ওভারে মঈন আলীর দ্বিতীয় বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেন মুশফিক। সেখানে ফিল্ডিং করা ফিল সল্ট ক্যাচ নিলেও বল হাতে থাকতে সীমানার বাইরে পা চলে গিয়েছিল। ভিডিও রিপ্লে দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মুশফিককে নট আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। সল্ট উপস্থিত বুদ্ধি খাটাতে একটু দেরিই করে ফেলেছিলেন। নইলে ছক্কা হজম না করে আরেকটি উইকেট নেওয়ার উদ্যাপন করতে পারত ইংল্যান্ড।
বাংলাদেশ ১৭ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৯।
নাজমুল নট আউট
আউট না হওয়ার কথা উঠছে কারণ আউট হতে পারতেন! ১৮তম ওভারে আদিল রশিদের ফুল টস বল মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে একটু তুলে মেরেছিলেন নাজমুল হোসেন। শর্ট মিড উইকেটে ফিল্ডিং করা জেসন রয় ক্যাচ হাতে নেওয়ার সময় বল মাটি ছুঁয়েছিল। ভিডিও রিপ্লেতে সেটাই দেখা গেছে। কিন্তু রয় বলটা হাত দিয়ে ওপরে তুলে আবারও ক্যাচ নিয়ে আউটের উদ্যাপন করেন। মাঠের আম্পায়ারও আউট ঘোষণা করলেও টিভি আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লেতে আসল ঘটনা ধরে ফেলেন। তাই এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন নাজমুল।
বাংলাদেশ ১৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৯৪।
ধৈর্য হারিয়ে আউট মুশফিক
আগের দুই ওভারেই জুটি ভাঙার উপক্রম হয়েছিল। দুবারই বেঁচে গেছেন নাজমুল হোসেন। কিন্তু ২০তম ওভারে এসে মুশফিক আর ধৈর্য ধরে রাখতে পারেননি। আদিল রশিদকে স্লগ সুইপে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন মার্ক উডকে। ৩৪ বলে ১৭ রানে আউট হলেন মুশফিক। ১টি ছক্কা মেরেছেন।
মুশফিক এভাবে ধৈর্য হারানোয় নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ৬২ বলে ৪৪ রানের জুটিটাও ভেঙে গেল। উইকেটে নাজমুলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশ ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৯৫।
সাকিব এ কী করলেন!
সবে উইকেটে এসেছেন। খেলেছেন মাত্র ১১ বল। মাঝে দুই ওভার আগেই ফিরে গেছেন মুশফিক। এমন পরিস্থিতিতে সাকিব কি না বিপজ্জনক সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিলেন! নীরবতা ভর করেছে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে।
মঈন আলী একটু ঝুলিয়ে বল ছেড়েছিলেন। সাকিব জোরে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড। ১২ বলে ৮ রানে আউট হলেন। চার ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ। উইকেটে নাজমুলের সঙ্গে যোগ দিয়ে মাহমুদউল্লাহ কি চাপ থেকে বাংলাদেশকে বের করতে পারবেন?
২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১০৭ রান তুলেছে।
কত দূর যাবে বাংলাদেশ?
নাজমুলের ফিফটি
জফরা আর্চারের কোমরের অপরের বল ফ্লিক করে সিঙ্গেল, নাজমুল হোসেনের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি হলো তাতেই। মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৬৭ বল।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে ইতিবাচক দিক এ বাঁহাতিই। প্রথম তিনটি স্কোরিং শটই তাঁর ছিল চার, এরপর অবশ্য মেরেছেন আর দুটি। ক্যারিয়ারের ১৬তম ওয়ানডে খেলা নাজমুলের এর আগে ক্যারিয়ার-সর্বোচ্চ ছিল ৩৮ রান।
বাংলাদেশ ৩১ ওভারে ১৩৩/৪।
কুইজ: বাংলাদেশ ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে কতটা জানেন আপনি?
সাকিব আবার নিচে
২০১৭ সালে হাথুরুসিংহে দায়িত্ব ছাড়ার পর সাদা বলের ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডারের তিনে উঠে আসেন সাকিব। এই পজিশনেই সাকিব তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা ব্যাটিংটা করছিলেন। এ সময় ৪৫ ম্যাচ খেলে তাঁর রান ১৭৫৫, গড় ৪৮। ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিবের অবিশ্বাস্য ব্যাটিং পারফরম্যান্স এসেছে তিনে খেলেই।
হাথুরুসিংহে প্রধান কোচ হিসেবে ফেরার পর আবার মিডল অর্ডারে সাকিব। আজ তিনি এসেছিলেন পাঁচে। মঈন আলীর বলে বোল্ড হওয়ার আগে করেছেন ৮ রান।
নাজমুলের উইকেটে ভাঙল জুটি
আদিল রশিদকে স্লগ সুইপ করে চার মাহমুদউল্লাহর, নাজমুলের সঙ্গে তাঁর ফিফটি জুটি হয়ে গেছে তাতে। মুশফিক ও সাকিব দ্রুত ফেরার পর বাংলাদেশকে টানছেন দুজন।
তবে বেশিদূর টানতে পারলেন না!
এ ওভারেই রশিদের মোটামুটি হাফ ট্র্যাকারে পড়া গুগলি টেনে মারতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন নাজমুল, ৫৮ রান করে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তাঁর জুটি থেমেছে ৫৩ রানে, ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
রশিদের টার্ন
নেই মাহমুদউল্লাহও
নাজমুল ফিরলেন, ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও। আউটের ধরনে অবশ্য মোটেও খুশি হওয়ার কথা নয় তাঁর। থিতু হয়েছিলেন, এরপর মার্ক উডের ডাউন দা লেগের বলে ব্যাট চালিয়ে ধরা পড়লেন উইকেটের পেছনে। বাটলার ক্যাচ ঠিকঠাক নিয়েছেন কি না, সেটি অবশ্য নিশ্চিত ছিলেন না মাঠের আম্পায়াররা। সফট সিগন্যালও ছিল নটআউট। তবে টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেছে, বাটলার বাঁদিকে ঝুঁকে ক্যাচ নিয়েছেন পরিষ্কারভাবেই।
আরেকবার জোড়ায় উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার ৩ রানের ব্যবধানে পড়ল এ দুটি। এর আগে মুশফিক ও সাকিব ফিরেছিলেন ১১ রানের ব্যবধানে। বাংলাদেশের প্রথম ২ উইকেট পড়েছিল ১৮ রানের ব্যবধানে।
৪০ ওভারের আগেই বাংলাদেশ হারিয়েছে আরেকটি উইকেট, ক্রিজে এখন শেষ স্বীকৃত জুটি আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ ৩৭.১ ওভারে ১৬৬/৬।
যখন আপনি বাংলাদেশে
থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ
ভুলের মাশুল দিলেন আফিফ
উইল জ্যাকসের ঝুলিয়ে দেওয়া বল, অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। আফিফ চাইলে খেলতে পারতেন অফ সাইডে। তবে লেংথ বুঝলেও লাইন পড়তে ভুল করলেন একেবারেই, সে বলে টেনে মারতে গিয়ে মিড অনে দিলেন সহজ ক্যাচ। ৯ রান করেই জ্যাকসের প্রথম ওয়ানডে উইকেটে পরিণত হলেন এ বাঁহাতি, বাংলাদেশ আরেকটু বিপাকে।
১০ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশ ১৭৫/৭।
রইল বাকি ২
৫০ ওভার খেলতে পারবে বাংলাদেশ? ৭.৩ ওভার বাকি থাকতে অষ্টম উইকেট পড়ল তাদের। সর্বশেষ ফিরলেন ভারত সিরিজের নায়ক মিরাজ। আর্চারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়েছেন, উইকেটের পেছনে ভুল করেননি বাটলার।
বাংলাদেশ ১৮২/৮।
বাঁচলেন তাসকিন
রশিদের বলে আম্পায়ার দিয়েছিলেন এলবিডব্লু, সেটি রিভিউ করে বেঁচে যান তাসকিন। ইমপ্যাক্ট লাইনে হলেও বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি মিস করে যেত অফ স্টাম্প। রশিদের বল টার্ন করে ভেতরে ঢুকলেও যথেষ্ট ছিল না।
এরপর স্লগ সুইপ করে তাসকিন মারলেন ছয়, পরে আউটসাইড-এজে পেলেন চার। রশিদের ওভারে এলো ১১ রান। পরের ওভারে এসে আর্চার অবশ্য দিয়েছেন ৩ রান।
বাংলাদেশ ৪৫ ওভারে ১৯৭/৮।
বাংলাদেশের ২০০
৪৬তম ওভারে ২০০ পেরোল বাংলাদেশ। উডকে ফ্লিক করে একটি চারও মেরেছেন তাইজুল। তাসকিনের সঙ্গে তাঁর জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ২৪ রান।
২০৯ রানে থামল বাংলাদেশ
মঈন আলীকে তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলে তাঁর হাতেই ধরা পড়লেন তাইজুল ইসলাম। এর আগে জফরা আর্চারের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
৪৭ ওভারে ২০৯ রান তুলতেই অলআউট বাংলাদেশ। মিরপুরে আগে ব্যাটিং করে সর্বশেষ ৫ বছরের মধ্যে এটিই এখন বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোর। সর্বশেষ এত কম রান নিয়ে এ মাঠে বাংলাদেশ জিতেছিল ২০১৮ সালে—জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেবার যথেষ্ট হয়েছিল ২১৬ রান।
তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ওপেনিং জুটিতে শুরুটা ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে গুচ্ছাকারে উইকেট হারিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে এনেছে তারা। সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটিটি এসেছে পঞ্চম উইকেটে, মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুলের মধ্যে। নাজমুল ফিফটির পরপরই থেমেছেন, মাহমুদউল্লাহ থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি।
মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে প্রথম ইনিংসে লড়াইটা মনে হয়েছে অসম। যদিও ইংল্যান্ডের বোলিং একেবারে ক্ষুরধার ছিল না, মাঝে মাঝেই এলোমেলো হয়ে পড়ছিল সেটি। এরপরও ২০০-এর পরপরই থামল বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারে সাকিবের আঘাত
প্রথম ওভারে সাকিব আল হাসান, প্রথম ওভারেই উইকেট!
টার্নের বিপরীতে খেলতে গিয়ে, সামনে এসে ব্যাট চালিয়ে লিডিং-এজড হয়েছেন জেসন রয়, মিড অন থেকে বাঁদিকে সরে সে ক্যাচ নিতে ভুল হয়নি বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবালের। এর আগে স্টাম্পঘেঁষা ডেলিভারিতে কাট করে চার মেরেছিলেন রয়, তবে সে পর্যন্তই। ৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
ফেরার পথে রয়ের হতাশা ছিল স্পষ্ট, যার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়—‘এ আমি কী করলাম!’
সাকিবের বদলে তাইজুল, তাসকিনের জায়গায় মিরাজ
মেহেদী হাসান মিরাজ ক্যাপও খুলেছিলেনও, তবে শেষ পর্যন্ত বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসে সেটি দ্বিতীয় ওভারের ঘটনা। প্রথম ৩ ওভারে তাসকিন দিয়েছেন মাত্র ৬ রান। আরেক প্রান্তে সাকিবকে দিয়ে ৩ ওভার করানোর পর তাইজুলকে এনেছেন তামিম। তাঁকে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরে স্বাগত জানিয়েছেন ডেভিড ম্যালান। শুরুতেই রয়কে হারানোর পর বেশ সতর্ক ছিলেন সল্ট ও ম্যালান।
এরপর আরেক প্রান্তে তাসকিনকে সরিয়ে আনা হয়েছে মিরাজকে। তাঁকে প্রথম বলে কাট করে চার মেরেছেন ম্যালান। এরপর ক্যাচের মতো উঠেছিল, তবে কাভারে থাকা সাকিবের সামনে পড়ে সেটি।
৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ড ৩৫/১।
সল্ট ব তাইজুল
তাইজুলের ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাকফুটে গিয়ে খেলার ভুল করলেন ফিল সল্ট, মাশুলও দিলেন সেটির। প্যাডে লাগার পর বোল্ড তিনি। নিজের দ্বিতীয় ওভারেই সফল তাইজুল, প্রথম পাওয়ারপ্লের ১.৫ ওভার বাকি থাকতে আরেকটি উইকেট পেল বাংলাদেশ।
সল্ট ফিরেছেন ১৯ বলে ১২ রান করে, ৩৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রথম ১০ ওভার
বাংলাদেশ—প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫৪/২। চূড়ান্ত স্কোর ২০৯।
ইংল্যান্ড—প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩৮/২। চূড়ান্ত স্কোর ?
তাইজুলের দ্বিতীয় শিকার ভিন্স
স্পিন, স্পিন, স্পিন!
এবার তাইজুলের শিকার জেমস ভিন্স। ঝুলিয়ে দেওয়া বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন ভিন্স, তবে মিস করে গেছে পুরোপুরি। উইকেট সময়মতো ভাঙতে ভুল হয়নি মুশফিকুর রহিমের। ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড, ১৩তম ওভারেই।
বাটলারকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিলেন তাসকিন
দুর্দান্ত সিম পজিশন, দুর্দান্ত লেংথ! তাসকিন আহমেদের লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে পুশ করতে গিয়ে এজড হয়েছেন জস বাটলার, ক্যাচ গেছে একমাত্র স্লিপে থাকা নাজমুলের হাতে। ইংল্যান্ড চতুর্থ উইকেট হারিয়েছে ৬৫ রানে।
দর্শক কই?
স্টেডিয়ামের বাইরেও দর্শকদের আনাগোনা ছিল না বললেই চলে। সাধারণত বাংলাদেশের খেলার দিন মিরপুর স্টেডিয়ামের বাইরে গিজগিজ করে দর্শকের ভিড়। আজ সেখানেও ব্যতিক্রম। দর্শকের ভিড় না থাকায় মিরপুর স্টেডিয়ামের গেটে নিরাপত্তাকর্মীদেরও ব্যস্ততা ছিল না।
২০ ওভার শেষে
১০ ওভার শেষে ৩৮/২।
২০ ওভার শেষে ৭৭/৪।
৩০ ওভারে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৩৩ রান। এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় রান রেট নয়, বরং উইকেটের সংখ্যা নিয়েই বেশি চিন্তা হওয়ার কথা ইংল্যান্ডের।
২১তম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
কঠিন সুযোগ
ফলো থ্রুতে হাত বাড়িয়েছিলেন মোস্তাফিজ, তবে অভিষিক্ত উইল জ্যাকসের কঠিন ফিরতি ক্যাচটা নিতে পারেননি। নিজের প্রথম ওভারে ১ রানের বেশি দেননি, সুযোগও তৈরি করলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। জ্যাকস ব্যাটিং করছিলেন ৯ রানে।
আরেক প্রান্তে সাকিবকে সরিয়ে আবার আনা হয়েছে তাইজুলকে। দ্বিতীয় স্পেলে ২ ওভারে ১০ রান দিয়েছেন সাকিব।
ইংল্যান্ডের ১০০
২৪তম ওভারে ১০০ পেরোল ইংল্যান্ড। তাইজুলের বেশ বড় টার্নে ব্যাট চালিয়ে এজড হয়েছিলেন জ্যাকস, তবে স্লিপে ছিলেন না কেউ। তাতেই হয়েছে বাউন্ডারি। ম্যালান ও জ্যাকসের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ৩৬ রান।
ফিরেই জ্যাকসকে ফেরালেন মিরাজ
মিরাজ ফিরলেন, ফেরালেন জ্যাকসকে। শর্ট লেংথে পেয়ে টেনে মারতে গিয়েছিলেন জ্যাকস, তবে মিডউইকেটে থাকা আফিফকে পার করাতে পারেননি। অভিষেকে ২৬ রানেই থামলেন জ্যাকস, চাপ বাড়ল ইংল্যান্ডের।
ম্যালানের ফিফটি
টানা ১৬ ডট বলের চাপ আলগা হয়ে গেছে তাসকিনের লো ফুলটসে মারা মঈনের চারে। এরপর ফিফটি পেয়েছেন ম্যালান। মাইলফলকে যেতে তাঁর লেগেছে ৯২ বল! তবে শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিতে পারে তাঁর ইনিংসই। ফিফটির পর মিরাজের ওপর চড়াও হয়েছেন এ বাঁহাতি। কাভার দিয়ে চারের পর ডাউন দা গ্রাউন্ডে মেরেছেন ছক্কা। এ ওভারের শুরুতেও ওভারপ্রতি ৫ করে রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের, এখন সেটি নেমে এসেছে ৪.৬৪-তে।
ইংল্যান্ড ৩৩ ওভারে ১৩২/৫।
শেষ বলে উইকেট মিরাজের
নিজের ৬০তম বলে দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পেলেন মিরাজ। রাউন্ড দা উইকেট থেকে করা বলটা ঢুকছিল ভেতরের দিকে, সামনে পা বাড়িয়ে খেলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে মঈন আলীর। স্বভাববিরুদ্ধ ৩২ বলে ১৪ রানের ইনিংস শেষ হলো মঈনের, আরেক দফা চাপে পড়ে গেল ইংল্যান্ড। ৯০ বলে সফরকারীদের প্রয়োজন ৬৯ রান। নিশ্চিতভাবেই দায়িত্ব বেড়ে গেছে ম্যালানের। ক্রিজে তাঁর সঙ্গে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ক্রিস ওকস।
তাইজুলের তৃতীয় আঘাত
মিরপুরের এমন উইকেটে বাউন্সের ওপর ভরসা করা বরাবরই কঠিন। তাইজুলকে ব্যাকফুটে গিয়ে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ওকস, তবে বাড়তি বাউন্সে ব্যাটের কানায় লেগে উঠেছে ক্যাচ। মিড অনে ভুল করেননি তামিম। ১৬১ রানে সপ্তম উইকেট পড়েছে ইংল্যান্ডের।
তাইজুল ৩/৫৪
নিজের শেষ ওভার করে ফেললেন তাইজুল ইসলাম। এখন পর্যন্ত দিনের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির সঙ্গে ডেভিড ম্যালানের লড়াই হতে পারত গুরুত্বপূর্ণ। সেই তাইজুলকে প্রথম বলেই কাউ কর্নার দিয়ে স্লগ সুইপ করে ৯১ রানে চলে যান ম্যালান। তাইজুলের শেষ ওভারে শেষ পর্যন্ত এসেছে ৮ রান। ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করেছেন তিনি।
জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ৪২ বলে ২৬ রান।
ম্যালানের সেঞ্চুরি
ডান হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে ঝাঁকালেন বারকয়েক। এরপর খুললেন হেলমেট। তাসকিন আহমেদকে ফ্লিক করে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির উদ্যাপন ডেভিড ম্যালানের। ওয়ানডেতে এ বাঁহাতির এটি টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, ঠিক আগের ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কিম্বার্লিতে শতরানের দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম ওভারে ৪ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর নেমেছিলেন। এরপর একে একে তাঁকে রেখে ফিরেছেন ইংল্যান্ডের স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা। তবে ম্যালান ছিলেন অবিচল। ৯২ বলে ফিফটি পূর্ণ করার পর ১৩৫তম বলে এসে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন এ ডানহাতি। এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি ইনিংস এটি তাঁর। তবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
আদিল রশিদের সঙ্গে অষ্টম উইকেটে তাঁর জুটি এখন অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রানে। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন এখন ১২ রান। বাকি আরও ৪ ওভার।
দুর্দান্ত ম্যালানে ৩ উইকেটে জয় ইংল্যান্ডের
বেশ কিছুক্ষণ ধরেই বাংলাদেশ ও জয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন ডেভিড ম্যালান। সেই ম্যালানকে আর ফেরানো হলো না বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়লেন।
নাজমুল হোসেনকে টেনে মিড অনের পাশ দিয়ে চার মেরে ইংল্যান্ডের ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮ বল বাকি থাকতে পাওয়া জয়ে ম্যালান অপরাজিত ছিলেন ১১৪ রানে। ১৪৫ বলের ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৪টি ছক্কা। ৭৮.৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি।
এ ইংল্যান্ড আক্রমণাত্মক। তবে মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে তাদেরকেই খেলতে হলো কিছুটা পুরোনো ধাঁচের ওয়ানডে। এমন উইকেটে থিতু হওয়া কোনো ব্যাটসম্যানের ইনিংস বড় করা গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের কেউ সেটি করতে পারেননি। ইংল্যান্ডের ম্যালান করেছেন সেটিই। লম্বা ব্যাটিং লাইন আপের সুবিধাও তাতে ভালোভাবেই তুলতে পেরেছে সফরকারীরা।
ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ ৫১ রানের জুটিটি এসেছে অষ্টম উইকেটে—ম্যালানের সঙ্গে রশিদের। ইনিংসে ইংল্যান্ডের একমাত্র ফিফটি জুটিও এটি। জেমস ভিন্স ছাড়া সবার সঙ্গেই ম্যালানের জুটিতে উঠেছে অন্তত ২০ রান। ২১০ রানের লক্ষ্যে ইংল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট হয়েছে সেটিই।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মঈন যখন ফেরেন, তখনো জয় থেকে ৬৯ রান দূরে দাঁড়িয়ে ছিল ইংল্যান্ড। এরপর ক্রিস ওকসের উইকেট নিলেও ম্যালানকে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দিলেন তিনিই।