গম্ভীর-কোহলির ‘যুদ্ধ’ ক্রিকেটের জন্য ভালো নয়, বলছেন হরভজন
২০১৩ আইপিএলে প্রথমবার বিবাদে জড়িয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের গৌতম গম্ভীর ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরাট কোহলি। দুজনেই তখন নিজ নিজ দলের অধিনায়ক। সবার ধারণা ছিল, ভারতীয় দলের দুই সাবেক সতীর্থের ঝামেলা বুঝি সেখানেই মিটমাট হয়ে গেছে।
কিন্তু এবারের আইপিএলে আবারও নতুন করে যুদ্ধংদেহী রূপে দেখা দিয়েছেন দুজন। কাল রাতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস–রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচের পর তো ক্ষোভের বিস্ফোরণই ঘটে গেছে! ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে গম্ভীর–কোহলির। সতীর্থরা মাঝখানে এসে না দাঁড়ালে এই কথা–কাটাকাটি হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যেত।
ভারতীয় ক্রিকেট মহল এখনো এই ঘটনায় বুঁদ হয়ে আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমর্থকদের কেউ কেউ গম্ভীরের পক্ষ নিয়েছেন, কেউ আবার কোহলির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। তবে সাবেকদের মধ্যে খুব বেশি প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারকাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত নিজের মতামত তুলে ধরেছেন শুধু হরভজন সিং।
গম্ভীর–কোহলির সঙ্গে প্রায় ৯ বছর ভারতীয় দলের ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন সাবেক অফ স্পিনার হরভজন। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী দলেরও সদস্য তাঁরা। মাঠেই দুই সতীর্থের এমন আচরণ ভালো লাগেনি তাঁর। টুইটারে পোস্ট করা ভিডিওতে হরভজন বলেছেন, ‘বিরাট কোহলি একজন কিংবদন্তি। এ ধরনের ঝামেলায় জড়ানো উচিত নয়। কোহলি ও গম্ভীরের মধ্যে যা ঘটেছে, সেটা ক্রিকেটের জন্য ঠিক ছিল না।’
আইপিএলে হাতে গোনা কয়েকটি কালো অধ্যায়ের তালিকা করলে হরভজনও থাকবেন। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী আসরে শান্তকুমারন শ্রীশান্তের গালে হরভজনের কষিয়ে চড় লাগানোর দৃশ্য কে ভুলতে পারেন! ঘটনাটি ‘স্ল্যাপগেট কেলেঙ্কারি’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছে। হরভজন তাঁর ভিডিওতে ১৫ বছরের আগের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ‘২০০৮ সালে শ্রীশান্তের সঙ্গে যা করেছিলাম, সে জন্য আমি লজ্জিত।’