১৯৪/১০, ২০৫/০—চিরচেনা অদ্ভুত পাকিস্তান
এটাই তো পাকিস্তান! কেপটাউন টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে অলআউট ১৯৪ রানে। পড়ল ফলোঅনে। ৪২১ রানে পিছিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে সেই পাকিস্তান ওপেনিং জুটিতে তুলল ২০০ রানের বেশি। পাকিস্তান তৃতীয় দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে।
শেষ বিকেলে ৮১ রানে বাবর আজম আউট না হলে কাল নতুন দিন শুরু করতে পারতেন সেঞ্চুরি করা শান মাসুদ ও বাবর। পাকিস্তান এখনো পিছিয়ে ২০৮ রানে। শান মাসুদের সঙ্গে কাল দিন শুরু করবেন নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে উইকেটে আসা পেসার খুররম শেহজাদ।
কেপটাউন টেস্টে গুরুত্বপূর্ণ সময়েই জ্বলে উঠেছেন ফর্মের সঙ্গে লড়া শান মাসুদ ও বাবর। মাসুদ সর্বশেষ ৯ ইনিংসে প্রথমবার আজ ৩০ রানের বেশি করতে পেরেছেন। ইনিংসে থিতু হয়ে পরে করেছেন সেঞ্চুরিও। যা তাঁর ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ। বাবর ৮১ রানের ইনিংসের আগে খেলা দুই ইনিংসেও ফিফটি করেছিলেন। তবু ঠিক বাবরসুলভ ইনিংস দেখা যাচ্ছিল না। তবে ফর্মে যে তিনি ফিরছেন সেটাই দেখা গেল ৮১ রানের ইনিংসে।
দুজনের ২০৫ রানের জুটি হয়েছে অসংখ্য রেকর্ডও। ফলো অন করতে নেমে যেকোনো উইকেটে পাকিস্তানের হয়ে এটি সর্বোচ্চ রানের জুটি। ফলোঅনে পড়ে ওপেনিং জুটিতে এত রান এর আগে আসেনি। শান মাসুদও বিরল এক কীর্তিতে নাম লিখিয়েছেন।
পাকিস্তানের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে ফলো অনে পড়ার ৫০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন শান মাসুদ। এর আগে ১৯৯৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে ২৩৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সেলিম মালিক। সেটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এই টেস্টে পাকিস্তানকে বাঁচাতে এমন ইনিংসও প্রয়োজন।
শান মাসুদ একা নয়। নতুন কীর্তি গড়েছেন বাবরও। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একদিনে দুইবার ফিফটি উদ্যাপন করলেন বাবর। এর আগে হাসান রাজার এই কীর্তি ছিল। তিনি করেছিলেন ২০০২ সালে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
প্রথম ইনিংসে বাবরের ফিফটিতেই পাকিস্তান ১৯৪ রান করতে পেরেছিল। ৩ উইকেটে ৬৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তানের সংগ্রহটা আরও বড় হতো শেষ ৭৪ রানে ৬ উইকেট না হারালে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম ইনিংসে কাগিসো রাবাদা ৩ উইকেট নিয়েছেন।