সৌম্যর চেয়ে একটু ভালো কোহলি, কোহলির চেয়ে একটু ভালো তানজিদ
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান (১২১৬) তাঁর। সর্বশেষ আসরের সর্বোচ্চ রানও তাঁরই। সেই বিরাট কোহলিই এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেন করে রানের জন্য রীতিমতো হাঁসফাঁস করছেন। এরই মধ্যে খেলে ফেলেছেন ৭ ইনিংস। রান মোটে ৭৫। এমন ব্যাটিং কোহলিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওপেনারদের সবচেয়ে বাজে গড়ের তালিকায়।
এই তালিকার শীর্ষ পাঁচের তিনজনই বাংলাদেশের। একজনেরটি আবার এবারের টুর্নামেন্টেরই। তবে কোহলির জন্য ভালো খবর, বাজে গড়ের শীর্ষ তালিকা থেকে বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। আগামীকাল ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে তাঁর দল ভারত।
এবারের বিশ্বকাপে এখন ৭ ম্যাচে ওপেনিং করেছেন কোহলি। এর মধ্যে দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন মাত্র দুটি ম্যাচে—বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৭ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৪। অন্য পাঁচ ম্যাচের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ০, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১, পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে ন্যূনতম পাঁচ ইনিংস ওপেন করেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কোহলির গড় তৃতীয় সর্বনিম্ন (১০.৭১)।
এবারের আসরেই বাংলাদেশের তানজিদ হাসান ৭ ইনিংসে করেছেন ৭৬ রান, গড় ১০.৮৫! প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া তানজিদ এখন ওপেনারদের বাজে গড়ের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে। কোহলি ও তানজিদের বাইরে ওপেনারদের বাজে পাঁচ গড়ের বাকি তিনটিই আগের আসরগুলোর। এর মধ্যে ২০২২ আসরে জিম্বাবুয়ের মাধেভেরে ৫ ইনিংসে ওপেন করে ৪৯ রান করে আছেন দ্বিতীয় নম্বরে। মাধেভেরে অবশ্য সে আসরে দুটি ম্যাচে তিন ও পাঁচেও ব্যাট করেন।
২০১৬ আসরে দুই ইনিংস ওপেনিংয়ের বাইরে ব্যাট করেছিলেন বাংলাদেশের সৌম্য সরকারও। সুপার টেনে তাঁকে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ও পাঁচে নামানো হয়েছিল ওপেনিংয়ে একাধারে ব্যর্থ হওয়ায়। টুর্নামেন্টের শুরুর পাঁচ ম্যাচে ওপেনিং করে সৌম্য মোটে করেছিলেন ৪৮, গড় ৯.৬০। এখন পর্যন্ত হওয়া নয়টি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে অন্তত পাঁচ ইনিংস খেলা ওপেনারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বাজে গড়।
সৌম্যকে দিয়ে শুরু হওয়া তালিকার ৫ নম্বরে আছেন তামিম ইকবাল। ২০০৭ সালে প্রথম টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে ৫৬ রান করেছিলেন তখনকার ১৮ বছর বয়সী তামিম।