বাসের পেছনে পড়লেন তাঁর বাবা
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে নামিবিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস। আগের ম্যাচে ৩ উইকেটে জিতেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলিয়ে এই প্রথম টানা দুই ম্যাচ জিতল ডাচরা।
আর এই দুই ম্যাচেই সেরা বোলিং ফিগার নেদারল্যান্ডসের পেস অলরাউন্ডার বাস ডি লিডের। দুটি ম্যাচেই হয়েছেন ম্যাচসেরাও। আজ নামিবিয়ার বিপক্ষে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং ২টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়ে বাস ডি লিড ছাড়িয়ে গেলেন তাঁর বাবাকে।
বাবা? হ্যাঁ, বিশ্বকাপে বাস ডি লিডের বাবাও খেলেছেন। ১৯৯৬ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাস ডি লিডের বাবা টিম ডি লিডের নেদারল্যান্ডসের হয়ে অভিষেক। ডাচদের হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ ২০০৭ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। এর মাঝে ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ৯.৫ ওভারে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন এই পেস অলরাউন্ডার। ভারত সে ম্যাচ ৬৮ রানে জিতলেও বোলিংয়ে প্রশংসা কুড়োন ৫৪ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার।
গত রোববার আমিরাতের বিপক্ষে ছেলে বাস ডি লিডের বোলিং নিশ্চয়ই দেখেছেন টিম? ৩ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ১৪ রানও করেন বাস ডি লিড। ম্যাচসেরার পুরষ্কার পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার মার্শ পরিবারের একটি রেকর্ডে ভাগ বসান লিড পরিবার।
১৯৮৭ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ওপেন করে ১১০ রানের ইনিংস খেলেন জিওফ মার্শ। ১ রানে জয়ী অস্ট্রেলিয়ার সে ম্যাচে ম্যাচসেরাও হন সাবেক এ ব্যাটসম্যান। পরে চন্ডিগড়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও অপরাজিত ১২৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হন জিওফ মার্শ।
তাঁর ছেলে মিচেল মার্শও বিশ্বকাপে ম্যাচসেরা হয়েছেন। সেটি ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে ম্যাচে ৫০ বলে ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। তখন একমাত্র পিতা–পুত্র হিসেবে আইসিসি ইভেন্টে ম্যাচসেরা হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন জিওফ মার্শ ও মিচেল মার্শ।
এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাস ডি লিড ম্যাচসেরা হওয়ার পর মার্শ পরিবারকে সে রেকর্ড ভাগ করে নিতে হয় ডি লিড পরিবারের সঙ্গে। মজার ব্যাপার, আইসিসি ইভেন্টে মিচেল মার্শ ম্যাচসেরা হওয়ার সংখ্যায় কিন্তু তাঁর বাবাকে পেছনে ফেলতে পারেননি।
জিওফ মার্শ ম্যাচসেরা হয়েছেন দুবার, মিচেল একবার। কিন্তু ডি লিড পরিবার উল্টো। টিম ডি লিড আইসিসি ইভেন্টে ম্যাচসেরা হয়েছেন একবার। তাঁর ছেলে বাস ডি লিড ম্যাচসেরা হলেন দুবার, সেটিও টানা দুই ম্যাচে!