নিগার সুলতানাদের জন্য শুরুটা ছিল আতঙ্কের। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড প্রথম ৬ ওভারেই তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ৪৭ রান। তবে রাবেয়া আক্তার, রিতু মনি আর ফাহিমা খাতুনদের দারুণ বোলিংয়ে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ে লাগাম টানা গেছে সময় মতোই।
শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার ব্যাট করে ইংল্যান্ড তুলেছে ৭ উইকেটে ১১৮ রান। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলতে বাংলাদেশকে তুলতে হবে প্রতি ওভারে ৬-এর মতো করে।
শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মাইয়া বুচিয়ের ও ড্যানি ওয়াট-হজ। তবে শুরুতে তারা ছিলেন সতর্ক, প্রথম ৩ ওভারে ওঠে মাত্র ১৩ রান। পাওয়ার প্লের পরের তিন ওভারে ৬টি চার চার মেরে রানটা পঞ্চাশের কাছাকাছি নিয়ে যান এই দুই ব্যাটারই।
সপ্তম ওভারে বুচিয়েরকে মিড অনে নাহিদার ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন রাবেয়া। ১৮ বল খেলে ৩ চারে ২৩ রান করেন বুচিয়ের। পরের ওভারে ফাহিমা এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাট স্কিভার-ব্রান্টকে। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ড কিছুটা রয়েসয়ে খেলা শুরু করে।
তবে ১২তম ওভারে রিতু মনি ইংল্যান্ড অধিনায়ক হিদার নাইটকে ও ১৩তম ওভারে নাহিদা ওপেনার ওয়াট-হজকে (৪০ বলে ৪১ রান) তুলে নিলে আবার খেই হারায় ইংল্যান্ড।
৭ থেকে ১৫-এই আট ওভারে তারা ৪ উইকেটে তোলে মাত্র ৪০ রান। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ইনিংসের মাঝের ওভারে এটি ইংলিশদের সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
১৮ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের রান ছিল ৫ উইকেটে ৯৮।
তবে শেষ ২ ওভারে দুই উইকেট হারালেও ২১ রান যোগ করে ফেলে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানধারী দলটি। এর মধ্যে রিতুর শেষ ওভারে একটি ছয়ও মারেন সোফি এক্লেসটোন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন রিতু, নাহিদা ও ফাহিমা। তবে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রাখেন ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়া লেগ স্পিনার রাবেয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১১৮/৭ (ওয়াট-হজ ৪১, বুচিয়ের ২৩, জোনস ১২*; ফাহিমা ২/১৮, রিতু ২/২৪, নাহিদা ২/৩২)।