বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য, নেদারল্যান্ডস সহযোগী। আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ নবম স্থানে, নেদারল্যান্ডসের অবস্থান ১৭-তে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাবে এগিয়ে বাংলাদেশ। সাকিবরা জিতেছেন দুবার, ডাচরা একবার।
র্যাঙ্কিংয়ে ও মর্যাদায় পিছিয়ে থাকলেও আগামীকাল হোবার্টে বাংলাদেশকে হারানোর স্বপ্ন দেখছে নেদারল্যান্ডস। আর ডাচরা সগর্বেই ঘোষণা করেছে, বাংলাদেশকে হারালে সেটি কোনো অঘটন হবে না।
হোবার্টে আজ সংবাদ সম্মেলনে দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান টম কুপার দিলেন সেই ঘোষণা, ‘আপনারা হয়তো বলবেন এটা অঘটন (নেদারল্যান্ডসের জয়), তবে আমরা ব্যাপারটাকে এভাবে দেখি না। আমরা এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এসেছি। অতীতে আমরা এই দলটার বিপক্ষে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়েছি। আগামীকাল ওদের না হারানোর কোনো কারণ দেখছি না।’
আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেছি, অন্যদিকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ তো মাত্র শুরু হচ্ছে। ওদের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেছে, খেলেছে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ।
কুপার অবশ্য এর আগেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কেন বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্ন দেখছে ডাচরা, ‘সুপার টুয়েলভে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী দল আছে। তবে (জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশের বিপক্ষে) আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আমরা বেশ কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেছি, অন্যদিকে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ তো মাত্র শুরু হচ্ছে। ওদের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গেছে, খেলেছে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ। আমরা তো তেড়েফুঁড়ে শুরু করতে যাচ্ছি।’
ডাচরা সুপার টুয়েলভে উঠেছে ‘এ’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়ে। প্রথম পর্বে নামিবিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারালেও এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে দলটি।
টি-টোয়েন্টিতে দলটি বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ খেলেছে ২০১৬ বিশ্বকাপে। ধর্মশালায় প্রথম পর্বের সেই ম্যাচে ১৫৩ রানের পেছনে ছুটে ৮ রানে হারে নেদারল্যান্ডস। বাংলাদেশের বিপক্ষে দলটির একমাত্র জয় ২০১২ সালে। দ্য হেগে রোমাঞ্চকর সেই ম্যাচে ১ উইকেটে জেতে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের শেষ বলে চার মেরে ডাচদের জেতান দলটির ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান এহসান মালিক।
কাল হোবার্টে সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তিই করতে চাচ্ছে নেদারল্যান্ডস।