গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে জশ হ্যাজলউডকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তাঁর দল বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে কি না? সরাসরিই জবাব দিয়েছিলেন হ্যাজলউড, ‘বৃষ্টি হলে আমি খুবই খুশি হব। কিছু ওভার নষ্ট হয়ে যাওয়াটা ভালোই হবে। আমাদের কাজটা কিছুটা সহজ করে দেবে।’
হ্যাজলউডের এমনই বলার কথা। অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্টটা বাঁচাতে যে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ভরসা আবহাওয়াই। ম্যানচেস্টারে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টের শেষ দুই দিনে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। আজ সেই পূর্বাভাস মেনে বৃষ্টি হলোও। যে কারণে প্রথম সেশনে একটি বলও হতে পারেনি। স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় প্রথম বলটি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি হতে পারল বেলা পৌনে তিনটায়।
দ্বিতীয় সেশনে আজ বৃষ্টি আর বাগড়া দেয়নি। তবে চা-বিরতি যাওয়ার পর আবার বৃষ্টি। এরপর আর খেলা শুরু করা করা যায়নি। এর আগে যে এক সেশন খেলা হয়েছে, সেখানে অবশ্য অস্ট্রেলিয়াই বেশি নম্বর পাবে। ৪ উইকেটে ১১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা অস্ট্রেলিয়া চা-বিরতিতে যায় ৫ উইকেটে ২১৪ রান তুলে। যদিও ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের চেয়ে তখনো ৬১ রান পিছিয়ে ছিল দলটি।
আজ দ্বিতীয় সেশনে অস্ট্রেলিয়া হারিয়েছে মারনাস লাবুশেনের উইকেটটি। ইংল্যান্ডের অনিয়মিত স্পিনার জো রুটের বলে উইকেটকিপার জনি বেয়ারস্টোর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন লাবুশেন। উইকেটটা অবশ্য রিভিউ নিয়ে পেয়েছে ইংলিশরা। আউট হওয়ার আগেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন লাবুশেন। ১৭৩ বলে ১১১ রান করা লাবুশেনের এটি টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি এটি।
১০৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটিতে লাবুশেনের সঙ্গী মিচেল মার্শ অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। অপরাজিত অন্য ব্যাটসম্যান ক্যামেরন গ্রিনের রান ছিল ৩।
আগামীকাল শেষ দিনেও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির কাছে ক্রিকেট কি হার মানবে? সে রকম হলে এই টেস্টটা জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধারের ইংলিশ স্বপ্ন চুরমারই হবে।