শাকিল-সালমানের প্রতিরোধে পাকিস্তানের স্বস্তি
গল টেস্টে ৬ উইকেটে ২৪২ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিনে ৭০ রানে বাকি ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হয় দিমুথ করুনারত্নের দল। বৃষ্টির কারণে পরের দুই সেশন মিলিয়ে পাকিস্তান মাত্র ৪৫ ওভার ব্যাট করতে পেরেছে। প্রবাত জয়াসুরিয়ার তোপে বেশ চাপে পড়লেও ৫ উইকেটে ২২১ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। ফিফটি তুলে নেওয়া সৌদ শাকিল ও আগা সালমান অপরাজিত থেকে দিনের খেলা শেষ করেছেন।
গতকালই সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৬ রান দূরে ছিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। আজও টেল-এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করেছেন। ১৭৫ বলে সেঞ্চুরি করা ডি সিলভা আউট হন নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে। শেষ উইকেট জুটিতে বিশ্ব ফার্নান্ডো ও কাসুন রাজিতা তোলেন ২৯ রান। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ১০ জন ব্যাটসম্যানই ক্যাচ আউট হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার মাটিতে মাত্র চতুর্থবার ঘটল এমন, চারবারই এর শিকার শ্রীলঙ্কা। সর্বশেষ ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০ জন লঙ্কান ব্যাটসম্যান এক ইনিংসেই ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপদে পড়েছিল পাকিস্তান। প্রবাত জয়াসুরিয়ার স্পিনে ১০১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিক (১৯), বাবর আজম (১৩) ও সরফরাজ আহমেদকে তুলে নেন এই স্পিনার। টেস্টে ৫ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার এই বাঁহাতি স্পিনারের মুখোমুখি হয়ে ৪ বারই আউট হলেন বাবর। ১৯ রান করে আউট হওয়ার আগে টেস্টে পাকিস্তানের প্রথম উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন সরফরাজ। ১ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন শফিক, পাকিস্তানিদের মধ্যে ইনিংসের হিসাবে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি।
তবে পাকিস্তান মূল লড়াইটা করেছে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। দেশের হয়ে অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা আগা সালমান ও ষষ্ঠ টেস্ট খেলতে নামা সৌদ শাকিল মিলে দ্রুতলয়ে পাল্টা লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন। ১৪৮ বলে ১২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন দুজন। ৮৪ বলে ৬১ রানে অপরাজিত আগা সালমান, অন্য প্রান্তে ৮৮ বলে ৬৯ রানে আছেন সৌদ শাকিল।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৪৫তম ওভার শেষে বৃষ্টি নামায় বন্ধ ছিল খেলা। পুরো মাঠই ঢেকে দেওয়া কাভারে। বৃষ্টি এক সময় বন্ধ হলেও আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। এরপর দিনের খেলার ইতি টানার ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। কালকের দিনে প্রথম সেশন দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম সেশনে এই জুটি টিকে গেলে টেস্টে শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে যাবে পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কার তাই লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব পাকিস্তানকে অলআউট করা।