ওয়ানডে ক্রিকেটে বিরাট কোহলির শতকের অর্ধশতক তো হলো। তিন সংস্করণ মিলিয়ে শতকের সংখ্যা এখন ৮০। ৩৫ বছর বয়সী কোহলি কি আরও ২০টি শতক করতে পারবেন? শচীন টেন্ডুলকারের ১০০ শতকের রেকর্ড গড়তে সময় লেগেছে ২৪ বছর ও ৬৬৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। কোহলি ৮০ শতক করে ফেলেছেন ১৫ বছরে, তিন সংস্করণ মিলিয়ে তাঁর ম্যাচ সংখ্যা ৫১৭। সময় যে কোহলির পক্ষে আছে, তা বলাই যায়।
সে জন্যই ভারতের সাবেক কোচ ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী কোহলির পক্ষেই ভোট দিলেন। আইসিসি ইনসাইডার শোতে সাবেক এই ভারতীয় অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘কে ভেবেছিল শচীন ১০০ শতক করবে আর অন্য কেউ সেটার ধারেকাছে আসবে। কোহলির এখন ৮০টি শতক। ৫০টা এসেছে ওয়ানডে ক্রিকেটে, যা তাকে এই সংস্করণের চূড়ায় নিয়ে গেছে।’
শাস্ত্রীর ব্যাখ্যা, ‘এমন খেলোয়াড়দের পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। তারা যখন শতক করা শুরু করতে, তখন একের পর এক বড় রান আসতেই থাকে। তার পরের ১০ ইনিংসে হয়তো আপনি আরও ৫টি শতক দেখতে পাবেন। এখন ক্রিকেট তিন সংস্করণের। আর কোহলি তিন সংস্করণই খেলছে। তার মধ্যে আরও তিন-চার বছরের ক্রিকেট আছে। যা সত্যিকার অর্থেই অবিশ্বাস্য।’
কোহলির ফিটনেসের প্রসঙ্গটাও মনে করিয়ে দিলেন শাস্ত্রী, ‘কোহলির ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটা হচ্ছে তার দৌড়ে রান নেওয়ার দক্ষতা। তার খুব বেশি চার-ছক্কা মারতে হয় না। সে অনেক দ্রুত উইকেটের মধ্যে দৌড়াতে পারে, সেটা তাঁর ফিটনেসের কারণেই সম্ভব। যা তার ওপর থেকে চাপ কমাতে সাহায্য করে। সে বাউন্ডারি না পেলেও প্রান্ত বদল করে যেতে পারে। আর ইনিংসের শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার দক্ষতা তো আছেই।’
এক বিশ্বকাপে কোহলির ব্যাট থেকে এখন পর্যন্ত এসেছে ৭০১ রান। যেকোনো বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড এখন কোহলির। এর আগে ২০০৩ বিশ্বকাপে টেন্ডুলকার ৬৭৩ রান করেছিলেন।
কোহলির এমন অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতার কয়েকটি কারণ শুনুন শাস্ত্রীর মুখে, ‘সে ব্যাটিংয়ের সময় খুব ঠান্ডা মাথায় খেলছে। ক্রিজে তার শরীরীভাষা একটা প্রশান্তির বার্তা দিচ্ছে। আগের বিশ্বকাপগুলোতে তাকে শুরু থেকেই দাপট দেখানোর চেষ্টা করতে দেখেছি। এবার সে সময় নিচ্ছে, গার্ড নিচ্ছে, চাপ শুষে নিচ্ছে। বুঝতে পারছে যে তার দায়িত্ব ইনিংসটাকে গভীরে নিয়ে যাওয়া। সেটা সে দারুণভাবে করছে।’