- ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই
- ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচ বলেই আশা?
- টস
- বিশ্রামে রশিদ
- বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন
- ধবলধোলাই এড়াতে পারবে বাংলাদেশ? আপনার মত দিন
- মিরপুরে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ
- তৃতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু
- ইব্রাহিমের পর রহমত—এক ওভার নেই দুই আফগান ব্যাটসম্যান
- মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে ফিরলেন গুরবাজ
- মিরপুরে ভারতকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরাও
- আবার শরীফুলের আঘাত
- রানআউটের হাত থেকে বাঁচলেন শহীদি
- সেদিন আর এদিন
- আফগানিস্তানের হতাশার রেকর্ড
- দুই প্রান্তেই স্পিন
- আগুনে শরীফুল
- হামিদের ‘জয়ের জন্য যথেষ্ট’ ২৫০ করতে পারবে আফগানিস্তান?
- এবার সাকিবের আঘাত
- পাঁচ বছর পর ৫ উইকেট, এত কম রানে
- ৯৫ রানে ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ
- <১০০
- ছক্কা
- কত দূর যাবে আফগানিস্তান?
- মেডেন, মেডেন!
- সফল শরীফুল
- শরীফুলের জায়গায় তাসকিন
- তাইজুলের ব্রেকথ্রু
- আফগানিস্তানের ১০০
- ৪০ ওভার শেষে
- ওমরজাইয়ের ফিফটি
- উঠে গেলেন শরীফুল
- রইল বাকি এক
- ৫৬ রানে থামলেন ওমরজাই, ১২৬ রানে শেষ আফগানিস্তান
- ৪৫.২ ওভারে ১২৬ অলআউট
- শম্বুকগতি
- মিতব্যয়ী সাকিব
- দুই মেডেনে শুরু
- ফারুকির শিকার নাঈম
- আবার ফারুকির শিকার নাঈম
- ফারুকির সঙ্গে উত্তাপ, গুরবাজের সঙ্গে নাজমুলের মজা
- নাজমুল বোল্ড
- বাংলাদেশের ৫০
- সেই দুঃস্মৃতি
- সাকিব-লিটনের ৫০
- দর্শক
- নবির বলে থামলেন সাকিব
- লিটনের ফিফটি
- দাপুটে জয়ে ধবলধোলাই এড়াল বাংলাদেশ
- সাকিবের আরেকটি কীর্তি
ধবলধোলাই এড়ানোর লড়াই
সাম্প্রতিক সময়ে মঞ্চটা খুব একটা পরিচিত নয় বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে কোনো ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে তারা নামছে ধবলধোলাই এড়াতে। চট্টগ্রামে আজ তৃতীয় ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলছে সে মঞ্চে দাঁড়িয়েই। প্রথম দুই ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে গেছে।
প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচ বলেই আশা?
নিক পোথাস যেন ধুলার আবরণ সরিয়ে স্মৃতির আয়নাটা পরিষ্কার করে তুলতে চাইলেন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের নিকট অতীতের সাফল্য যে ভুলতে বসেছিল সবাই!
গত ডিসেম্বর থেকে ধরলে সাদা বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশ সফলই হয়েছে বেশি। ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি–টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে হারানো। এরপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ এবং পরপর দুটি ওয়ানডে সিরিজ জয়।
টস
এবার টসে জিতেছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বিশ্রামে রশিদ
আগেই সিরিজ জিতে যাওয়া আফগানিস্তান বিশ্রামে রেখেছে রশিদ খানকে। এর আগে একমাত্র টেস্টেও ছিলেন না রশিদ।
এ ছাড়া প্রথম দুই ম্যাচ খেলা পেসার সেলিম সাফিও নেই আজ। তাঁদের জায়গায় দলে এসেছেন আব্দুল রহমান ও জিয়া আকবর। ডানহাতি পেসার রহমান ও বাঁহাতি স্পিনার জিয়া, দুজনেরই অভিষেক হচ্ছে আজ।
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি, নাজিবুল্লা জাদরান, মোহাম্মদ নবি, জিয়া আকবর, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও জিয়া আকবর।
বাংলাদেশ দলে তিন পরিবর্তন
চোটের কারণে ইবাদত হোসেনের সিরিজ শেষ হয়ে গেছে। অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও নেই আজ। দলে এসেছেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম। ফলে বাংলাদেশ আজ খেলছে এক জন কম পেসার নিয়ে।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম।
ধবলধোলাই এড়াতে পারবে বাংলাদেশ? আপনার মত দিন
মিরপুরে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে যখন আফগানিস্তানের বিপক্ষে ধবলধোলাই এড়ানোর লক্ষ্যে নামছেন লিটন দাসরা, মিরপুরে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই নিগার সুলতানাদের। টসে জিতেছেন ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
এ ম্যাচে টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হচ্ছে না। তবে এ লিংকে দেখতে পারেন সরাসরি স্ট্রিমিং।
তৃতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু
সতর্ক শুরু করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার। প্রথম ওভারেও শরীফুল ওভার দ্য উইকেট থেকে অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে বের করে নিচ্ছিলেন বল। এবার সে ফাঁদেই পা দিলেন ইব্রাহিম জাদরান। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শরীর থেকে দূরে ব্যাট চালিয়ে খোঁচা দিয়েছেন, উইকেটের পেছনে বাকি কাজটা সহজেই করেছেন মুশফিকুর রহিম। আগের ম্যাচে ২৫৬ রান তোলা ওপেনিং জুটি আজ ভাঙল ৩ রানে, তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই। নতুন ব্যাটসম্যান রহমত শাহ।
ইব্রাহিমের পর রহমত—এক ওভার নেই দুই আফগান ব্যাটসম্যান
উইকেট, তিনটি ডট, এরপর আবার উইকেট! চট্টগ্রামে আগুনে বোলিং শরীফুলের। ঠিক আগের বলেই লিডিং-এজে গালিতে ক্যাচ উঠেছিল, ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার বাড়তি বাউন্সের বলে এজড হলেন রহমত শাহ। বল লেগেছে ব্যাটের নিচের অংশে, এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শুরুতেই আফগানিস্তানকে চাপে ফেলে দিয়েছেন শরীফুল।
মুশফিকের অসাধারণ ক্যাচে ফিরলেন গুরবাজ
তাসকিন আহমেদের শর্ট ডেলিভারিতে পুল করতে চেয়েছিলেন গুরবাজ। কিন্তু ব্যাটে–বলে ঠিকভাবে সংযোগ করতে পারেননি। বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। অনেকটা লাফিয়ে উঠে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন মুশফিকুর রহিম। ১৪ রানে ৩ উইকেট নেই আফগানিস্তানের।
মিরপুরে ভারতকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরাও
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে টস হেরে ফিল্ডিং করছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ১০ ওভারে ৫১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়েছে ভারত।
আবার শরীফুলের আঘাত
৯ ওভারে ১৬/৪
আবার শরীফুল, এবার তাঁর শিকার মোহাম্মদ নবি। ভেতরের দিকে ঢোকা বলটা মিস করে গিয়েছিলেন নবি, আম্পায়ার মাসুদুর রহমানের এলবিডব্লিউর সিদ্ধান্ত রিভিউও করেন। তবে কাজে আসেনি সেটি। বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, স্টাম্পে আঘাত করত বলটি। নবম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আফগানিস্তান!
রানআউটের হাত থেকে বাঁচলেন শহীদি
১০ ওভারে ২১/৪
যে কোনো ইনিংস ধসে একটি রানআউট থাকে—অলিখিত এ ‘রীতি’টা আরেকটু হলেই দেখা যেত। তাসকিনের বলে স্কয়ার লেগে খেলে সিঙ্গেল নিতে গিয়েছিলেন নজিবুল্লাহ জাদরান। তবে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে শুরুতেই ভুল বোঝাবুঝি হয়। শেষ পর্যন্ত সিঙ্গেলটি নেন তাঁরা, তবে আফিফ হোসেনের থ্রো সরাসরি স্টাম্প ভাঙলে ফিরতে হতো শহীদিকে। আপাতত সেটি হয়নি। এ ওভারে তাসকিনের শর্ট বলে পুল করে চার মেরে পাল্টা জবাব দিয়েছেন আফগান অধিনায়ক। তবে দলের যা অবস্থা, তাতে একটি বাউন্ডারিতে ঠিক চাপ মিলিয়ে যাবে না। আফগানিস্তানের প্রয়োজন এমন আরও কিছু।
সেদিন আর এদিন
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথম ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলেছিল আফগানিস্তান। আজ ইনিংসের এ পর্যায়ে ২১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তারা।
আফগানিস্তানের হতাশার রেকর্ড
দুই প্রান্তেই স্পিন
১১তম ওভারে ইনিংসে প্রথমবারের মতও এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরের ওভারে আনা হয়েছে সাকিব আল হাসানকেও। ফলে তাসকিন ও শরীফুল সরে গেছেন ৫ ওভার করার পর। আজ একজন পেসার কমিয়ে খেলানো হচ্ছে বাড়তি একজন স্পিনারকে—তাইজুল ইসলাম দলে এসেছেন। এ উইকেটটি ব্যবহৃত, বাড়তি স্পিনার খেলানোর সিদ্ধান্তও সে কারণেই নেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
মিরাজ ও সাকিব নিজেদের প্রথম ৪ ওভারে চাপ ধরে রেখেছেন, দিয়েছেন মাত্র ৫ রান।
আগুনে শরীফুল
হামিদের ‘জয়ের জন্য যথেষ্ট’ ২৫০ করতে পারবে আফগানিস্তান?
আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
হামিদ: পরিপূর্ণ বোলিং আক্রমণ একেই বলে। স্পিনার আছে। পেসাররাও ভালো করছে। আজমত, করিম জানাতরা ভালো অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে ইব্রাহিম, গুরবাজরা আছে। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার আছে। আমরা ভালো ছন্দে আছি। যেকোনো দলের জন্যই আমাদের বিপক্ষে জেতা কঠিন হবে। আমরা ২৫০ রান করলেই প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারব।
প্রথম আলোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন আফগানিস্তানের বোলিং কোচ হামিদ হাসান। তবে চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের ২৫০ রানের স্কোর এখন অনেক দূরের পথ। হামিদের সাক্ষাৎকার-
এবার সাকিবের আঘাত
১৫.৫ ওভারে ৩২/৫।
নজিবুল্লাহ বেশিক্ষণ চুপচাপ থাকবেন না, এটি নিশ্চিতই ছিল। আগের ওভারে মিরাজকে চার মেরেছিলেন। এবার সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে মিস করে যান। কিছুটা সময় নিয়ে এলবিডব্লিউ দেন আড্রিয়ান হোল্ডস্টক। নজিবুল্লাহ রিভিউ নেন, ততটা আত্মবিশ্বাসী অবশ্য ছিলেন না। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলটা পড়েছে স্টাম্পের লাইনেই। তবে নজিবুল্লাহ হাঁটা শুরু করেন আল্ট্রা-এজ দেখার পরই, যেখানে স্পাইক ছিল না কোনো। বলও গিয়ে আঘাত করত স্টাম্পে। স্পিনে দিনে প্রথম উইকেট, আফগানিস্তান হারিয়েছে পঞ্চম উইকেট। এবং তিনটি রিভিউই নষ্ট করেছে তারা।
পাঁচ বছর পর ৫ উইকেট, এত কম রানে
এবং এ ৫টি ম্যাচের কোনোটিতেই জিততে পারেনি আফগানিস্তান।
৯৫ রানে ভারতকে আটকাল বাংলাদেশ
মিরপুরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৯৫ রান তুলে থেমেছে ভারত। বাংলাদেশের ৫ বোলারই নিয়েছেন উইকেট, সর্বোচ্চ ৩টি নিয়েছেন সুলতানা খাতুন।
তাইজুল ফেরালেন আফগান অধিনায়ককে
২১.৩ ওভারে ৫৩/৬
তাইজুলের প্রথম ওভারে চার মেরেছিলেন শহীদি। মিরাজের করা পরের ওভারে মেরেছিলেন আরেকটি। এবার তাইজুলকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন আফগান অধিনায়ক। বল মিস করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের সঙ্গে ২১ রানের জুটিটিও থামল এখানেই। ৬ উইকেট হারিয়ে আরেকটু ডুবল আফগানিস্তান।
<১০০
২২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৫৬/৩। আফগানদের ওপর চাপ বাড়াতে শরীফুলকে ফিরিয়েছেন লিটন। আজ কি তৃতীয়বারের মতো প্রতিপক্ষকে ১০০-এর নিচে অলআউট করতে পারবে বাংলাদেশ?
ছক্কা
তাইজুলের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে স্লগ সুইপ করে ছক্কাটি মেরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। পরের ৪ বলে এসেছে একটি সিঙ্গেল। তবে তাইজুলের ওভারে নেওয়া ৭ রানই এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ইনিংসে সর্বোচ্চ। ২৪ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৬৩/৬।
কত দূর যাবে আফগানিস্তান?
মেডেন, মেডেন!
সফল শরীফুল
উইকেট নেওয়ার জন্য ফেরানো হয়েছিল শরীফুলকে। দ্বিতীয় স্পেলে প্রথম ২ ওভারে সফল হননি। বেশ গরমে কিছুটা ক্লান্ত মনে হচ্ছিল তাঁকে। তবে শর্ট বলে শরীফুল আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, সফলও হলেন তাতেই। আব্দুল রহমান পুল করেছিলেন, ডিপ স্কয়ার লেগে তাইজুলের হাতে ধরা পড়েছেন। ২০ বল টিকেছিলেন রহমান, এবার ফিরতে হলো তাঁকে। শরীফুল পেয়েছেন চতুর্থ উইকেট, আফগানিস্তান হারিয়েছে সপ্তম উইকেট।
শরীফুলের জায়গায় তাসকিন
দ্বিতীয় স্পেলে ৪ ওভার পর সরিয়ে নেওয়া হয়েছে শরীফুলকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন তাসকিন। আফগানিস্তান ইনিংসের মূল ভরসা এখন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, ৩৬ বলে ২৮ রানে অপরাজিত তিনি। তাঁর সঙ্গী অভিষিক্ত জিয়া আকবর। ৩১ ওভারে ৮০ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
তাইজুলের ব্রেকথ্রু
ওমরজাইয়ের সঙ্গে জিয়ার জুটিটি একটু হলেও আশা জোগাচ্ছিল আফগানিস্তানকে, অন্তত বল খেলার দিক দিয়ে। তবে ৫৩ বল টেকার পর ভাঙল সেটি। ওমরজাইকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটি করা জিয়া বোল্ড হলেন তাইজুলের বলে। ব্যাকফুটে গিয়ে অফ সাইডে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে গেছেন তিনি। তাইজুলের এটি দ্বিতীয় উইকেট, আফগানিস্তান অষ্টম উইকেট হারাল ৮৯ রানে। ১০০ ছুঁতে পারবে তারা? ওমরজাইকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য এসেছেন মুজিব উর রহমান।
আফগানিস্তানের ১০০
ওমরজাইয়ের সঙ্গে জিয়ার জুটিটি একটু হলেও আশা জোগাচ্ছিল আফগানিস্তানকে, অন্তত বল খেলার দিক দিয়ে। তবে ৫৩ বল টেকার পর ভাঙল সেটি। ওমরজাইকে সঙ্গ দেওয়ার কাজটি করা জিয়া বোল্ড হলেন তাইজুলের বলে। তাইজুলের এটি দ্বিতীয় উইকেট, আফগানিস্তান অষ্টম উইকেট হারাল ৮৯ রানে। ১০০ ছুঁতে পারবে তারা?
৪০ ওভার শেষে
৮ উইকেটে ১০৪ রান আফগানিস্তানের। ওমরজাই অপরাজিত ৪৩ রানে।
ওমরজাইয়ের ফিফটি
৩২ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর নেমেছিলেন। ওমরজাই একাই যা টানছেন আফগানিস্তানকে। এবার পেয়ে গেলেন ফিফটি। তাইজুলের বলে ডিপ মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫০ পূর্ণ করলেন তিনি। ইনিংসে এখন পর্যন্ত ১টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন। ইনিংসে ৬ ওভার বাকি থাকতে আফগানিস্তানের রান ১১৪।
উঠে গেলেন শরীফুল
১ ওভার বাকি ছিল, সেটিই করতে এসেছিলেন শরীফুল। তবে ওভার শুরুই করতে পারলেন না এ বাঁহাতি পেসার। তার আগেই ফিজিওর সঙ্গে মাঠ ছেড়েছে তিনি। দেখে মনে হয়েছে ক্র্যাম্প হয়েছে। ক্যারিয়ারে প্রথম ৫ উইকেট পাওয়াও হয়তো হলো না তাঁর।
রইল বাকি এক
ওমরজাই মেরেছিলেন ছক্কা, মুজিব মেরেছিলেন চার। মিরাজকে আবার স্লগ সুইপে বড় শট খেলতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দিলেন মুজিব। ওমরজাইকে রেখে ফিরলেন আফগানিস্তানের দশম ব্যাটসম্যান। ১১ রান উঠেছে, তবে তাতে খুব একটা মাথা ব্যথা থাকার কথা নয় বাংলাদেশের।
৫৬ রানে থামলেন ওমরজাই, ১২৬ রানে শেষ আফগানিস্তান
অফ স্টাম্পের বাইরের বল, ঠিক নাগালে ছিল না। তাতেই ব্যাট চালিয়েছিলেন ওমরজাই। তবে শটটা তেমন জোরাল হয়নি। ওয়াইড লং অফে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ধরা পড়েছেন ৫৬ রান করে। ১২৬ রানে থেমেছে আফগানিস্তান। ওমরজাইয়ের ইনিংসটি না হলে স্কোরকার্ডের চেহারা যে অন্যরকম হতো, সেটি নিশ্চিতই।
৪৫.২ ওভারে ১২৬ অলআউট
মাঝে দুই দিনের ব্যবধান। আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের চিত্রটা তাতেই বদলে গেল অনেকটাই। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩৩১ রান তুলেছিল আফগানিস্তান, আজ গুটিয়ে গেল ১২৬ রানেই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে প্রথম আঘাত করেছিলেন শরীফুল। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে গেছে আফগানিস্তান।
সর্বোচ্চ ৩৬ রানের জুটিটি এসেছে নবম উইকেটে। মুজিবকে নিয়ে সেটি গড়েছেন ওমরজাই। ৬৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান ১০০-এর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল ভালোভাবেই। টেল-এন্ডারদের নিয়ে লড়াই করে ওমরজাই সেটি হতে দেননি। শেষ দিকে অবশ্য চড়াও হতে গিয়ে উইকেট হারিয়েছে আফগানিস্তান।
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিলেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। তবে ম্যাচের মাঝপথে নিজ দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্স নিয়ে মোটেও খুশি হওয়ার কথা নয়। আগেই সিরিজ হেরে আত্মবিশ্বাসের তলানীতে থাকা বাংলাদেশ দলকে বেশ ভালোভাবে উজ্জীবিত করেছেন বোলাররা। এবার ব্যাটসম্যানদের পালা।
শম্বুকগতি
মিতব্যয়ী সাকিব
২০০৬ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিবই। বাংলাদেশের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের রেকর্ডও সাকিবের (১০ ওভার বোলিং)। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন সেবার এ বাঁহাতি স্পিনার।
দুই মেডেনে শুরু
২ ওভারে ১/০
ফজলহক ফারুকির প্রথম ওভারে ১ রানের বেশি আসেনি, তবে সেটিও এসেছে লেগ বাই থেকে। দ্বিতীয় ওভারেই এসেছেন মুজিব উর রহমান। আফগানিস্তানের হাতে সম্বল বেশ কম, এ ম্যাচে লড়াইয়ে থাকতে গেলে দ্রুত উইকেট প্রয়োজন তাদের। রশিদ খান বিশ্রামে বলে স্পিনে বড় অস্ত্র মুজিব, তাঁর দ্বিতীয় ওভারে আসা তাই তেমন বিস্ময়কর নয়। প্রথম ওভারে মোহাম্মদ নাঈমের বিপক্ষে মেডেন করেছেন মুজিব।
ফারুকির শিকার নাঈম
অফ স্টাম্পের বাইরে ব্যাক অব দ্য হ্যান্ডের স্লোয়ার বল, সেটিও বেরিয়ে যাচ্ছিল। তাতে শরীর থেকে দূরে আলগা শট খেললেন নাঈম, সেটিও পা না নড়িয়েই। এমন শটের মাশুলও দিতে হলো। স্টাম্পে বল ডেকে এনেছেন বাঁহাতি এ ওপেনার। ৮ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট নাঈম, বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে ২ রানে। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফারুকির বলে বোল্ড হলেন নাঈম।
আবার ফারুকির শিকার নাঈম
তামিম ইকবাল হঠাৎ অবসর এবং পরে অবসর ভেঙে বিশ্রামে যাওয়ার পর একাদশে সুযোগ পান নাঈম। প্রায় দুই বছর পর এ সংস্করণে ফেরেন এ বাঁহাতি ওপেনার। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করে জাতীয় দলে ফিরেছিলেন, কিন্তু টেকনিকে সমস্যাটা দুই ম্যাচে স্পষ্ট হয়েছে তাঁর।
দুই ম্যাচেই ফারুকির বলে বোল্ড হলেন নাঈম। দুই ম্যাচেই স্টাম্পে ডেকে এনেছেন বল। আগের ম্যাচের বলটি লাফিয়ে উঠেছিল। এবারেরটি বেরিয়ে যাচ্ছিল।
ফারুকির সঙ্গে উত্তাপ, গুরবাজের সঙ্গে নাজমুলের মজা
৫ ওভারে ১১/১
অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে কাট করেছিলেন নাজমুল। ফারুকির পরের বলের লাইন ছিল আরেকটু ভেতরে, এবার ব্যাট চালিয়ে মিস করেন। ফারুকি এরপর এগিয়ে যান নাজমুলের দিকে। দুজন জড়িয়ে পড়েন বাদানুবাদে। সেটি থামাতে ছুটে আসেন আম্পায়ারও।
ওভার শেষে প্রান্ত বদলের সময় নাজমুলের ‘সাক্ষাৎ’ হয়েছে গুরবাজের সঙ্গে। হাত দিয়ে নাজমুলের হেলমেটের গ্রিল টান দেন গুরবাজ। তবে দুজনের মুখেই ছিল হাসি। গুরবাজ যে মজা করেছেন, তা স্পষ্টই। বিপিএলে এক সময় রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে একসঙ্গে খেলেছিলেন গুরবাজ ও নাজমুল। বিপিএলের সর্বশেষ মৌসুমে অবশ্য আলাদা দলে ছিলেন দুজন।
ফারুকির পরের ওভারে দারুণ একটি ড্রাইভ খেললেও তাতে ১ রানের বেশি পাননি নাজমুল।
সিরিজ হারল বাংলাদেশ
মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাগে পেয়েও ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৮ রানে হেরেছে স্বাগতিকেরা।
নাজমুল বোল্ড
৭ ওভারে ২৮/২
লিটন ছক্কা মেরেছিলেন পুল করে। নাজমুল এরপর মারলেন চার। ফারুকির সোজা লাইনের বলে এবার উচ্চাভিলাষী শট খেলতে গিয়ে স্টাম্প হারালেন তিনি। একটু জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন, বলের লাইনে যেতে পারেননি। আরেকবার ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও উইকেট ছুড়ে এলেন নাজমুল। ফারুকির প্রত্যাবর্তনটা হলো দারুণ। সেটি এ ওভারে তো বটেই, একটু আগে নাজমুলের সঙ্গে ওই উত্তাপের পর শেষ হাসিও তাঁর।
লিটনের সঙ্গে ক্রিজে এসেছেন সাকিব।
বাংলাদেশের ৫০
নাজমুল ফেরার পর চার ওভারে এসেছে চারটি চার, উঠেছে ২৩ রান। লিটন ও সাকিব এগোচ্ছেন ইতিবাচকভাবেই। ১১তম ওভারে ৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
সেই দুঃস্মৃতি
২০১৪ সাল, মিরপুর। প্রতিপক্ষ ভারত। আর একটি নাম--স্টুয়ার্ট বিনি। যাঁরা দেখেছেন, এতটুকু বললেই হয়তো মনে পড়ে যাওয়ার কথা সে ম্যাচের স্মৃতি। চট্টগ্রামে অবশ্য আপাতত সে ম্যাচের স্মৃতি ফিরছে না। নাঈম ও নাজমুল ফিরলেও বাংলাদেশকে ঠিক পথেই রেখেছেন লিটন ও সাকিব। ৫ ওভারে দুজনের জুটিতে উঠে গেছে ২৮ রান। ৩৮ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭১ রান।
সাকিব-লিটনের ৫০
মোহাম্মদ নাঈম ও নাজমুল হোসেন ফেরার পর একটু হলেও চাপ ছিল বাংলাদেশের। সাকিব ও লিটনের ব্যাটিংয়ে আপাতত মিলিয়ে গেছে তা। চট্টগ্রামে অনায়াস ব্যাটিং করছেন দুজন। প্রথম ম্যাচে কম রান তাড়া করতে নেমে আফগানরাও করেছিলেন এমন। সাকিব ও লিটনের জুটিতে ৫০ রান উঠে গেল, সেটিও ৫০ বলেই।
দর্শক
আজও গ্যালারিতে আফগান-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। দলের পারফরম্যান্স অবশ্য সুবিধার নয় তেমন। তবে আফগানদের কাছে ক্রিকেট তো সবসময়ই খেলার চেয়েও বেশি কিছু!
পড়ুন মোহাম্মদ জুবাইরের লেখা-
নবির বলে থামলেন সাকিব
নবি হাসছেন। হাসছেন আফগান খেলোয়াড়েরা। শুধু সাকিবের চোখেমুখেই হতাশা। ম্যাচটি শেষ করে আসতে চেয়েছিলেন, স্পষ্ট তাঁর অভিব্যক্তিতে। এ জুটিতেই ম্যাচ শেষ হবে, মনে হচ্ছিল এমন। সেটি হলো না। মোহাম্মদ নবির বলে ক্যাচ তুলে ফিরলেন সাকিব। এক অলরাউন্ডার নিলেন আরেক অলরাউন্ডারের উইকেট।
শর্ট লেংথে দেখে টেনে তুলে মারতে চেয়েছিলেন সাকিব। তবে যেদিকে চেয়েছিলেন, সেদিকে সেভাবে খেলতে পারেননি। মিড অন থেকে পেছনে ছুটে ক্যাচ নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি। ৩৯ বলে ৩৯ রান করে থেমেছেন তিনি, ভেঙেছে লিটনের সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৮ রান। লিটনকে সঙ্গ দিতে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়।
কত উইকেটে জিতবে বাংলাদেশ?
লিটনের ফিফটি
মুজিব উর রহমানকে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন লিটন, ৫৭ বলে। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৪ রান।
দাপুটে জয়ে ধবলধোলাই এড়াল বাংলাদেশ
এ ম্যাচের আগে আলোচনায় ছিল ধবলধোলাই। বাংলাদেশ শুধু সেটি আটকায়নি। চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডেতে পেয়েছে দাপুটে জয়। ১২৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ৭ উইকেট ও ১৫৯ বল বাকি থাকতেই। জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস, ৬০ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। জয় এসেছে অভিষিক্ত জিয়া আকবরকে করা তাওহিদ হৃদয়ের দারুণ এক কাট শটে মারা চারে।
১২৬ রান তাড়া করা কঠিন হবে, এ উইকেটটা তেমন নয়। ফজলহক ফারুকির বলে মোহাম্মদ নাঈম ও পরে নাজমুল হোসেন বোল্ড হলেও সাকিব আল হাসান ও অধিনায়ক লিটন দাসের ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে কাজটি মোটেও কঠিন হয়নি বাংলাদেশের।
ম্যাচটি বাংলাদেশ জিতে গেছে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে, একেবারে শুরুর দিকেই—সেটি বলাই যায়। টসে জিতে দুই অধিনায়কই ব্যাটিং নিতে চেয়েছিলেন। তবে আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানরা অধিনায়কের সে সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেননি। শরীফুল ইসলাম প্রথম আঘাত করেন, দ্বিতীয়টিও। পেসারদের পর বাংলাদেশ স্পিনারদের সামনেও অসহায় আত্মসমর্পণই করেন আফগান ব্যাটসম্যানরা।
আফগানদের হয়ে ব্যাটিংয়ে যা লড়াই, আজমতউল্লাহ ওমরজাই-ই করেছেন। তবে তাঁর লড়াকু ফিফটিও আসলে আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরাতে পারেনি।
এ জয়ে ৯ বছর দেশের মাটিতে ধবলধোলাই না হওয়ার রেকর্ডটা টিকে থাকল বাংলাদেশের। সিরিজের মাঝপথে অধিনায়কের আচমকা অবসরের ঘোষণা ও পরবর্তীতে বিশ্রামের যাওয়ার ডামাডোলের মধ্যে এ জয় নিশ্চিতভাবেই বাড়তি স্বস্তি হয়ে আসবে।
সাকিবের আরেকটি কীর্তি
আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচে আরেকটি কীর্তি গড়লেন সাকিব আল হাসান।