- সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
- প্রেডিকশন?
- টস
- হৃদয়ের জায়গায় সাকিব
- নেই এনগিডি
- ০ রানে জীবন পেলেন হেন্ডরিকস
- হেন্ডরিকস বোল্ড!
- পাওয়ারপ্লেতে পেসারের উইকেট
- ফন ডার ডুসেন এলবিডব্লু
- যে পরিস্থিতিতে পড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকা
- দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪/২, ১০ ওভার
- ‘ভাই আরেকটা ভাই, আরেকটা!’
- শরীফুলের নাচ
- দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ
- ডি ককের ৫০
- ২০ ওভারে ৯৯/২
- ছুটছেন ডি কক
- মাঝপথে…
- মার্করামের ফিফটি, ১০০ রানের জুটি
- অবশেষে ব্রেকথ্রু
- ক্রিজে তিনি
- ডি ককের রেকর্ড সেঞ্চুরি
- ৩৬ ওভারে ২০৩/৩
- আরেকটি ৫০ রানের জুটি
- উঠছে ক্লাসেন-ঝড়
- কোহলিকে ছাড়িয়ে ডি কক
- থামছেন না ডি কক
- সাকিবের ওপর চড়াও ডি কক
- ক্লাসেনের ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০০
- থামলেন ডি কক
- ইটস টাইম ফর আফ্রিকা?
- ৩৫০-এর বেশি নাগালে
- ৫০ রানের জুটি!
- ক্লাসেন: ৯০ (৪৯)
- দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৮২/৫, ৫০ ওভার
- ডি ককের আরেকটি রেকর্ড
- সতর্ক শুরু
- কুইনির প্রতি অনুরোধ
- প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- নাজমুল ০ (১)
- সাকিবও গেলেন
- ৬ ওভারে ৩০/০, ৮ ওভারে ৩২/৩
- ১০ ওভারে ৩৫/৩
- মুশফিকও থামলেন
- নাজমুলের জোড়া গোল্ডেন ডাক
- লিটন ৪৪ বলে ২২ করে এলবিডব্লু লিটন
- জেনে রাখা ভালো
- ছয়ে মাহমুদউল্লাহ, সাতে মিরাজ
- রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
- মতটা জানান
- রইল বাকি চার
- রিভিউ, কনকাশন-শঙ্কা, চার, বাংলাদেশের ১০০
- সপ্তম উইকেট
- শেষ রিভিউটিও হারাল বাংলাদেশ
- প্রসঙ্গ মাহমুদউল্লাহ
- মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
- অষ্টম উইকেট
- মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়—কোনটি আগে হবে?
- ঘটনাবহুল ওভার
- মাহমুদউল্লাহর দরকার ৩ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার ২ উইকেট
- মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি!
- অবশেষে থামলেন মাহমুদউল্লাহ
- ১৪৯ রানে হারল বাংলাদেশ
- ম্যান অব দ্য ম্যাচ ডি কক
সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা
২০১৯। ওভাল।
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩৩০/৬
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩০৯/৮
ফল: ২১ রানে জয়ী
স্বাভাবিকভাবেই চার বছর আগের ম্যাচটি এখন ইতিহাস। মুম্বাইয়ে সেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপে আরেকটি ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ।
ইংল্যান্ডকে বিধ্বস্ত করে উড়ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে টানা চার হারে আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে নড়বড়ে বাংলাদেশ। যদিও সাকিব আল হাসান বলেছেন, এখনই হতাশ হওয়ার মতো কিছু নেই।
কিছুক্ষণ পরই টস, প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
প্রেডিকশন?
টস
আগের ম্যাচে দুই দলেরই নিয়মিত অধিনায়ক ছিলেন না। সাকিব আল হাসান ফিরলেও আজও নেই দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা। তাঁর বদলে টস করতে এসেছেন এইডেন মার্করাম। টসে জিতে অনুমিতভাবেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
টসে জিতলে তিনি ব্যাটিং নিতেন, সাকিব এমন বললেও বোলিংয়েও সুযোগ দেখছেন।
হৃদয়ের জায়গায় সাকিব
সাকিব বলেছেন, তিনি পুরো ফিট। তাওহিদ হৃদয়ের জায়গায় এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
একাদশ
লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
নেই এনগিডি
বাভুমা আজও নেই, তবে চোটের কারণে খেলতে পারছেন না লুঙ্গি এনগিডি। তাঁর বদলে একজন পেসারকেই এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা, খেলছেন লিজাড উইলিয়ামস।
একাদশ
রিজা হেন্ডরিকস, কুইন্টন ডি কক, রেসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), হাইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, জেরাল্ড কোয়েৎজি, কেশব মহারাজ, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা
০ রানে জীবন পেলেন হেন্ডরিকস
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনারকে আউট করার সুযোগ? সেটি আপনি হাতছাড়া করতে চাইবেন না। তানজিদ হাসান অবশ্য সেটিই করেছেন। ০ রানে ব্যাটিং করা হেন্ডরিকসের ক্যাচ স্লিপে ফেলেছেন তিনি।
মোস্তাফিজের প্রথম ওভারের পর দ্বিতীয়টি করতে এসেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাকিব রেখেছিলেন স্লিপ। প্রথম ৬ বলে কোনো রান করতে না পারা হেন্ডরিকস কাট করতে চেয়েছিলেন জোরের ওপর। তবে ক্যাচটি শুরুতে যেন বুঝেই উঠতে পারেননি তানজিদ। যতক্ষণে বুঝেছেন, নেওয়ার মতো অবস্থায় ছিলেন না। হাতে লেগে বেরিয়ে গেছে সেটি।
২ ওভারে ৯/০
হেন্ডরিকস বোল্ড!
অবশেষে পাওয়ারপ্লেতে পেসারদের আরেকটি উইকেট বাংলাদেশের! সেটি এনে দিলেন শরীফুল ইসলাম। ওবল সিমে করা বলটি একটু ফুললেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢুকছিল, পুরোপুরি মিস করে গেছেন রিজা হেন্ডরিকস। ০ রানেই জীবন পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। কিন্তু জীবন কাজে লাগাতে পারেননি। ১৯ বলে ১২ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।
৬ রানে প্রথম উইকেট হারাতে পারত দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৩ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
পাওয়ারপ্লেতে পেসারের উইকেট
এর আগে ১-১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশি পেসার হিসেবে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ফন ডার ডুসেন এলবিডব্লু
অফ স্টাম্পের দিকে সরে গিয়ে লেগ সাইডে ঘুরিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন ফন ডার ডুসেন। তবে যেভাবে ভেবেছিলেন, মিরাজের বল ততটা ওঠেনি। এ ভুলের চড়া মাশুল দিতে হলো তাঁকে। আম্পায়ার জোয়েল উইলসন সময় নিয়ে এলবিডব্লু দিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত রিভিউ করেননি ফন ডার ডুসেন।
অষ্টম ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৬/২!
যে পরিস্থিতিতে পড়েনি দক্ষিণ আফ্রিকা
যে তিনটি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাটিং করেছে, প্রতিটিতেই পেরিয়ে গেছে ৩০০। তবে কোনো ম্যাচেই প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ঠিক উড়ন্ত শুরু ছিল না তাদের। তবে এখন পর্যন্ত খেলা ৪টি ম্যাচের কোনোটিতেই প্রথম ১০ ওভারে একাধিক উইকেট হারায়নি তারা।
৯ ওভারে ৪১/২
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪/২, ১০ ওভার
প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪/২।
এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সফলতম প্রথম ১০ ওভার এটি। আগের ৪ ম্যাচে প্রতিপক্ষের স্কোর ছিল এমন—আফগানিস্তান (৫০/১), ইংল্যান্ড (৬১/০), নিউজিল্যান্ড (পরে ব্যাটিং) (৩৭/১), ভারত (পরে ব্যাটিং) (৬৩/০)।
মোস্তাফিজ, মিরাজের পর সাকিব প্রথম ১০ ওভারে করিয়েছেন শরীফুলকে দিয়ে।
‘ভাই আরেকটা ভাই, আরেকটা!’
স্টাম্প মাইক্রোফোনে শোনা গেল এমন। ২ উইকেট নিয়ে প্রথম পাওয়ারপ্লেটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে জুটি গড়ছেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। সাকিব আজ প্রথম ১০ ওভারে আসেননি, তবে উইকেটের খোঁজে মাঝের ওভারে নিয়মিতই দেখা যাবে তাঁকে, এটি অনুমান করাই যায়। প্রথম ২ ওভারে ১০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য তিনি।
শরীফুলের নাচ
দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকে রেখেছে বাংলাদেশ
আরেকটা উইকেট পড়েনি এখনো, সাকিবের বলে বরং আরেকটি ছক্কা মেরেছেন ডি কক। এবার সাইটস্ক্রিন বরাবর। ইনিংসে ডি ককের এটি দ্বিতীয় ছক্কা। অর্ধশতকের পথে এগোচ্ছেন এ বাঁহাতি। মার্করামের সঙ্গে তাঁর জুটি পেরিয়ে গেছে ৩০ রান।
১৫ ওভারে ৬৭/২।
ডি ককের ৫০
শরীরের ওপর থেকে ঘুরিয়ে চার। ডি ককের আরেকটি ফিফটি হয়ে গেছে তাতে। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও ফর্মে থাকা ডি কক এগোচ্ছেন ঠিকই।
হাসান মাহমুদের ওপর চড়াও হয়েছেন ডি কক। হাসানের প্রথম ২ ওভারে এসেছে ২২ রান। সর্বশেষ ৪ ওভারে রানের গতি বাড়ানোর আভাস দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যদিও মাঝে একটু আঁটসাঁট করেছিলেন নাসুম আহমেদ।
২০ ওভারে ৯৯/২
২০তম ওভারে সপ্তম বোলার হিসেবে এসেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর প্রথম ওভারে এসেছে মাত্র একটি সিঙ্গেল। ১৫ থেকে ১৯তম ওভারের মধ্যে উঠেছিল ৩৮ রান। মাহমুদউল্লাহ একটু লাগাম পরিয়েছেন সে গতিতে। চাপ ধরে রাখতে পারবে বাংলাদেশ?
মার্করামের সঙ্গে ডি ককের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৬৩ রানে।
ছুটছেন ডি কক
সর্বশেষ ছক্কাটি মেরেছেন মাহমুদউল্লাহকে, রিভার্স শটে ডিপ থার্ডের ওপর দিয়ে। ডি কক ইনিংস গড়েছেন দারুণভাবে, স্পিনারদের বিপক্ষে পায়ের কাজ দুর্দান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে তাঁকে দ্রুত ফেরাতে হবে, সেটি বলাই যায়।
মাঝপথে…
৩ ওভার পর সরে গিয়েছিলেন সাকিব। মাঝে মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে করিয়েছেন ৩ ওভার। ২৫তম ওভারে আবার বোলিংয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিবের ওভারে এসেছে ৫ রান। সর্বশেষ ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৬৪ রান। ডি কক ও মার্করাম শক্ত একটা ভিতই দাঁড় করিয়েছেন।
মার্করামের ফিফটি, ১০০ রানের জুটি
৩৬ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে ১০০ রানের জুটি গড়লেন ডি কক ও মার্করাম। উইকেটের খোঁজে মিরাজকে ২৬তম ওভারে ফিরিয়েছেন সাকিব, কিন্তু তাঁর ওভারে মার্করাম মেরেছেন দুই চার। শেষ বলে কাট করে মারা চারে ফিফটিও হয়ে গেছে তাঁর। এবারের বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচে তৃতীয়বার ৫০ পেরোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক।
ম্যাচে এখন প্রোটিয়াদের নিয়ন্ত্রণ।
অবশেষে ব্রেকথ্রু
সাকিবের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। কিন্তু শট খেলার পরই যা বোঝার বুঝে যান মার্করাম। লং অফে থাকা লিটন দাসকে পার করাতে পারেননি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের দেখা পেল বাংলাদেশ। ডি কক ও মার্করামের জুটি ভেঙেছে ১৩১ রানে।
মার্করাম ৬৯ বলে ৬০, দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬৭/৩
ক্রিজে তিনি
মুখোমুখি প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন। তবে সে শটের টাইমিংয়েই যেন ফুটে উঠেছে, কী দুর্দান্ত ফর্মে আছেন হাইনরিখ ক্লাসেন। মার্করামের আউটের পর ক্রিজে এসেছেন তিনি।
ডি ককের রেকর্ড সেঞ্চুরি
শ্রীলঙ্কা: ১০০
অস্ট্রেলিয়া: ১০৯
নেদারল্যান্ডস: ২০
ইংল্যান্ড: ৪
বাংলাদেশ: ১০০*
নাসুম আহমেদের বলে অফ সাইডে খেলে সিঙ্গেল। হেলমেটটা খুললেন, চোখেমুখে স্বস্তি। কুইন্টন ডি ককের আরেকটি সেঞ্চুরি।
আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে খেলবেন না। ‘লাস্ট ড্যান্স’টা স্মরণীয় করেই রাখছেন ডি কক। প্রথম ৫ ম্যাচেই তৃতীয় শতকের দেখা পেলেন। ঢুকে গেলেন অভিজাত এক তালিকায়।
৪৭ বলে ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন। সেঞ্চুরি করতে লাগল ১০১ বল।
অবশ্য ৩৪তম ওভারে রানআউট হতে পারতেন। ক্লাসেনের ডাকে সাড়া দিতে দেরি করে ফেলেছিলেন, কাভার থেকে স্ট্রাইক প্রান্তে করা নাজমুলের থ্রো সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারলে রানআউট হয়ে ফিরতে হতো ডি কককে ৯৮ রানে দাঁড়িয়েই।
সেটি হয়নি। ডি ককের স্বপ্নযাত্রা থামেনি।
এক বিশ্বকাপে ৩ বা এর বেশি সেঞ্চুরি
৩৬ ওভারে ২০৩/৩
আরেকটি ৫০ রানের জুটি
এবার ডি কক ও ক্লাসেনের জুটি পেরিয়ে গেল ৫০, বাংলাদেশের জন্য যেটি মোটেই ভালো কোনো ইঙ্গিত নয়। ৫০ বলে দুজন যোগ করেছেন ৬০ রান।
এ জুটি ভাঙলেও আসতে বাকি ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেনরা।
মাঝে একাধিক ক্যাচের মতো উঠেছিল, কিন্তু ফিল্ডারকে খুঁজে পায়নি সে সব। সর্বশেষ মিড অফের ওপর দিয়ে তুলে মেরেছেন ডি কক, মোস্তাফিজের বলে।
৩৯ ওভারে ২২৭/৩।
উঠছে ক্লাসেন-ঝড়
একটু শর্ট লেংথের বল। মোটামুটি পাঞ্চের মতো শটে ওয়াইড লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা। শর্ট লেংথের বল, স্লোয়ার। এবার টেনে বোলারের মাথার ওপর দিয়ে চার। হাইনরিখ ক্লাসেন কী, সেটি টের পেলেন হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ পেসারের দিনটি সুবিধার যাচ্ছে না। তৃতীয় ওভারে তিনি দিয়েছেন ১১ রান, ৩ ওভারে দিলেন ৩৩ রান।
৪০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৩৮/৩। মাঝের ৩০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ১৯৬ রান। মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছে তারা এ সময়ে।
কোহলিকে ছাড়িয়ে ডি কক
৫ ইনিংসে কোহলি করেছেন ৩৫৪ রান। ডি কক তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন। থামেননি এখনো।
থামছেন না ডি কক
এই তাপমাত্রায় এখন পর্যন্ত ৪২ ওভার ক্রিজে ডি কক। স্বাভাবিকভাবেই এখন আরও বেশি বড় শটের চেষ্টা করবেন। শরীফুলকে সর্বশেষ টেনে ছক্কা মেরেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৬১/৩, বাকি ৮ ওভার।
সাকিবের ওপর চড়াও ডি কক
এবং সাকিবের ওপর চড়াও হলেন ডি কক। ইনিংসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে খরুচে ওভারটি এল। ৭ ওভার বাকি থাকতেই ২৮৩/৩।
১৫০ পেরিয়ে গেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার। ২০০ পর্যন্ত যেতে পারবেন?
ক্লাসেনের ৫০, দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০০
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৬৭ বলে ১০৯ রানের ইনিংস। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৪ বলেই ফিফটি পূর্ণ করে ফেললেন হাইনরিখ ক্লাসেন। ৬ ওভার বাকি থাকতে ৩০০ ছুঁয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ২ ওভারে এসেছে ৩৯ রান।
থামলেন ডি কক
গ্যারি কারস্টেনের ১৮৮ রানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস হুমকির মুখে ছিল ভালোভাবেই। কিন্তু ডি কক থামলেন ১৭৪ রানেই। হাসান মাহমুদের লো ফুলটসে ব্যাকওয়ার্ড পয়েণ্টে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ১৪০ বলে ১৭৪ রান, ১৫টি চার, ৭টি ছয়। কুইন্টন ডি কক—দুর্দান্ত!
৮৭ বলে ১৪২ রানের জুটি ডি কক ও ক্লাসেনের।
ইটস টাইম ফর আফ্রিকা?
২০১৫ বিশ্বকাপে এক আসরে সর্বোচ্চ ৪ বার ৩০০ রানের স্কোর গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেই সেটি ছুঁয়ে ফেলল তারা। সব মিলিয়ে রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা ৩০০ রানের স্কোর গড়েছিল ৬ বার।
৩৫০-এর বেশি নাগালে
৪৭তম ওভারে মোস্তাফিজ দিয়েছেন ২০ রান। ক্লাসেনকে কোথায় বল করবেন, সেটিই যেন বুঝে উঠতে পারেননি। ইয়র্কারের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে তাঁর। ৪৩ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত ক্লাসেন। ৩ ওভার বাকি, ৩৩৭/৪ দক্ষিণ আফ্রিকা।
৫০ রানের জুটি!
২০ বলেই ৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে ক্লাসেন ও মিলারের। ২৩ বলে উঠেছে ৫৯ রান। ৪৯ ওভারে ৩৬৮/৪।
ক্লাসেন: ৯০ (৪৯)
প্রথম বলে ছক্কা মেরেছিলেন। এরপর হাসান করলেন স্লো বাউন্সার। সেটিও তুলে মেরেছিলেন ক্লাসেন। কিন্তু ডিপ পয়েন্টে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েছেন। সেঞ্চুরি পেলেন না ক্লাসেন, ৪৯ বলে ৯০ রান করেই থামলেন। তবে খেলেছেন আরেকটি ধ্বংসাত্মক ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৮২/৫, ৫০ ওভার
৪০ ওভার শেষে ২৩৮/৩। দক্ষিণ আফ্রিকার এ ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে কী হতে পারে, সেটি অনুমিতই ছিল। হয়েছে সেটিই। ৫০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৩৮২ রান।
ডি কক ১৭৪ রানে থামলেও ক্লাসেনের ৪৯ বলে ৯০, ডেভিড মিলারের ১৫ বলে ৩৪ রানের ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর।
এ রান তাড়া করতে গেলে নিজেদের শুধু রান তাড়া নয়, নিজেদের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডই নতুন করে গড়তে হবে বাংলাদেশকে।
ডি ককের আরেকটি রেকর্ড
আগের সর্বোচ্চ ছিল অ্যাডাম গিলক্রিস্টের। ২০০৭ বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান খেলেছিলেন ১৪৯ রানের ইনিংস।
খাতা-কলমে ডি কক এ ম্যাচে উইকেটকিপার হলেও ফিল্ডিংয়ে নামেননি তিনি। গ্লাভস তুলে নিয়েছেন হাইনরিখ ক্লাসেন।
সতর্ক শুরু
প্রথম ৪ ওভারে এসেছে একটি বাউন্ডারি—লিজাড উইলিয়ামসকে মেরেছেন লিটন দাস। এ ছাড়া ওভারথ্রো থেকে ১ বলে এসেছে ৫ রান। বাংলাদেশের দুই ওপেনার এর বাইরে তেমন সুবিধা করতে পারেননি, প্রথম ৪ ওভারে উঠেছে ১৪ রান।
কুইনির প্রতি অনুরোধ
এ বিশ্বকাপ শেষেই ওয়ানডে থেকে অবসরে যাওয়ার ঘোষণা আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন কুইন্টন ডি কক। আজ ওয়াংখেড়েতে দেখা গেছে এমন প্ল্যাকার্ড, যাতে অবসরে না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানকে। এবার তাতে সামিল হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রীও। জিজি কোদওয়া তাঁর অফিশিয়াল টুইটার (এক্স) আইডিতে ওই ছবিটা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমি এ আহবানকে সমর্থন জানাই! দয়া করে এটি নিয়ে ভাবো, কুইনি!’
প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
যাওয়ার পথে একবার মাথা নাড়িয়ে ইশারা করলেন তানজিদ, বল ব্যাটে/গ্লাভসে লেগেছে তাঁর। ফলে রিভিউ করার প্রয়োজন নেই। মার্কো ইয়ানসেনের শর্ট বলে কট বিহাইন্ড তানজিদ। সপ্তম ওভারে প্রথম উইকেটটি হারিয়েছে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে ৩০ রান। তানজিদ আউট হয়েছেন ১৭ বলে ১২ রান করে।
নাজমুল ০ (১)
একটি, দুইটি… তানজিদের ঠিক পরের বলেই আউট নাজমুলও। ইয়ানসেনের ডাউন দ্য লেগের বলে ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন নাজমুল। উইকেটের পেছনে ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়েছেন। প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে খেলা বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ২ বলে। ইয়ানসেন হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়িয়ে! সেটি অবশ্য হয়নি।
সাকিবও গেলেন
৮ বল, ৩ উইকেট। তানজিদ, নাজমুলের পর এবার সাকিবও নেই। লিজাড উইলিয়ামসের অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে নিজের তৃতীয় ক্যাচটি নিয়েছেন হাইনরিখ ক্লাসেন।
বাংলাদেশ ৩১/৩, ৭.১ ওভার
৬ ওভারে ৩০/০, ৮ ওভারে ৩২/৩
১০ ওভারে ৩৫/৩
বোলিংয়ের সময় প্রথম পাওয়ারপ্লে ছিল বাংলাদেশের। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৪ রান তুলতে হারিয়েছিল ২ উইকেট। পরের ব্যাটিংয়ে সেটি বিস্মৃতই হয়ে গেছে। কিন্তু ব্যাটিংয়ে শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও বাজে হয়েছে বাংলাদেশের।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর আপাতত টিকে থাকার লড়াই করছেন লিটন ও মুশফিক। ২৬ বলে ১২ রান লিটনের। মুশফিক ১২ বলে ৩ রানে অপরাজিত। জয় বা এমন কিছু যে আপাতত তাদের ভাবনায় নেই, সেটি ব্যাটিংয়ের ধরনেই স্পষ্ট।
মুশফিকও থামলেন
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট লেংথের বলে, মুশফিক ফ্ল্যাশ করেছিলেন। সরাসরি ক্যাচ গেছে ডিপ থার্ডে। জেরাল্ড কোয়েৎজির উদ্যাপন অবশ্য হয়েছে দেখার মতোই। বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশ পথ হারাচ্ছে দ্রুতই।
নাজমুলের জোড়া গোল্ডেন ডাক
বিশ্বকাপের এক আসরে টপ অর্ডারে (১-৩ নম্বর) ব্যাটিং করে একাধিকবার প্রথম বলেই ০ রানে আউট হয়ে যাওয়া চতুর্থ ব্যাটসম্যান হলেন নাজমুল। এর আগে রমেশ কালুভিতারানা (১৯৯৬), জনি বেয়ারস্টো (২০১৯), মার্টিন গাপটিলের (২০১৯) এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড ছিল।
লিটন ৪৪ বলে ২২ করে এলবিডব্লু লিটন
স্বস্তিতে ছিলেন না মোটেও। সেটি থেকে মুক্তিই পেলেন বলা যায়। কাগিসো রাবাদার ওবল সিমের বল ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে যান। আম্পায়ার জোয়েল উইলসনের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেও লাভ হয়নি। লিটন আউট ৪৪ বলে ২২ রান করে। বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেটটি হারিয়েছে ৫৮ রানে।
জেনে রাখা ভালো
৩৪ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ৫ উইকেটে ৩২০ রান
ছয়ে মাহমুদউল্লাহ, সাতে মিরাজ
দুজনের ব্যাটিং পজিশন নিয়েই এর আগে কথা হয়েছে। মাহমুদউল্লাহকে ওপরে খেলানো যায় কি না, মিরাজকে ওপরে কেন খেলানো হচ্ছে কি না।
আজ মাহমুদউল্লাহ নেমেছেন ছয় নম্বরে। এবারের বিশ্বকাপে এত ওপরে এর আগের ৩ ইনিংসে ব্যাটিং করেননি তিনি। মিরাজ এসেছেন সাত নম্বরে। এবারের বিশ্বকাপে এত নিচে খেলেননি তিনি এর আগে।
তবে দুজনই এখন জুটি গড়ার চেষ্টায়। এবং এমন একটা সময়ে দুজন একসঙ্গে ব্যাটিং করছেন, যখন জয়ের কথা ভাবনায় আনার সাহসটাও হয়ত করতে পারছেন না তাঁরা!
দলের স্কোর যে ৫ উইকেটে ৬৪ রান, ১৮ ওভারশেষে। লক্ষ্য? ৩৮৩।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
বল প্যাডে লাগার পর থেকেই মাথা ঝাঁকাচ্ছিলেন মিরাজ। আম্পায়ার আহসান রাজা অবশ্য আউট দেন ঠিকই। মিরাজ রিভিউ করেন সেটি। বেঁচেও গেলেন। সূক্ষ্ণ ব্যবধানে কেশব মহারাজের বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়েছে—হকআই দেখিয়েছে এমন। মিরাজ অক্ষত।
২০ ওভারশেষে ৭২/৫।
মতটা জানান
রইল বাকি চার
মহারাজের বলে এলবিডব্লু হাত থেকে বেঁচেছিলেন মিরাজ। স্লগ সুইপ করে এবার আর বাঁচলেন না। বদলি ফিল্ডার আন্দিলে ফিকোয়াওয়ের হাতে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন তিনি। ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশের। হাইনরিখ ক্লাসেনের স্কোর ছুঁতে এখনো ৯ রান দরকার। কুইন্টন ডি ককের স্কোর ৯৩ রান দূরে।
রিভিউ, কনকাশন-শঙ্কা, চার, বাংলাদেশের ১০০
ইনিংসের ২৭তম ওভার।
কোয়েৎজির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। স্বাভাবিকভাবেই নিয়ম অনুযায়ী কনকাশন পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সে বলে আবার রিভিউ নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে হেলমেটের আগে ব্যাটের সঙ্গে কোনো সংযোগ ঘটেনি বলের। দক্ষিণ আফ্রিকা রিভিউ হারিয়েছে। মাহমুদউল্লাহও ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়েছেন।
পরের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে কাভার দিয়ে চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। সে বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ পেরিয়েছে ১০০। সেটি কতটা সান্ত্বনা জোগাবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে অবশ্য।
সপ্তম উইকেট
টানা দুটি চার। এরপর আউট।
জেরাল্ড কোয়েৎজির আরেকটি শর্ট বলে এল আরেকটি উইকেট। নাসুম আহমেদ তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন কোয়েৎজির হাতেই। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নাসুমের সপ্তম উইকেট জুটিতে উঠেছে ৩৯ বলে ৪১ রান। ইনিংসে সেটিই সর্বোচ্চ এখন পর্যন্ত।
শেষ রিভিউটিও হারাল বাংলাদেশ
নির্ধারিত সময়ের ২ সেকেন্ড বাকি থাকতে রিভিউ নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে কাছাকাছি একটি রিভিউ ব্যর্থ হয়েছিল তাদের। এবারও সেটিই হলো। আবার মহারাজের বোলিং। আবার আম্পায়ার আহসান রাজা। আবার বল ট্র্যাকিং দেখিয়েছে, সেটি পড়েছে লেগ স্টাম্পের বাইরেই।
৩০ ওভারে ১২৫/৭।
প্রসঙ্গ মাহমুদউল্লাহ
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলেননি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আট, ভারতের বিপক্ষে নেমেছিলেন সাত নম্বরে।
১৭৫ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে নেমে খেলেছিলেন ৪৯ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ তাতে ২০০ পেরিয়ে গিয়েছিল ২৫০-এর কাছাকাছি। ভারতের বিপক্ষেও নেমেছিলেন ১৭৯ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর। এবার ৩৬ বলে ৪৬ রান। বাংলাদেশ পেরিয়েছিল ২৫০।
দুটি ম্যাচেই মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশকে একটু লড়াইয়ে রেখেছিলেন, সেটি বলাই যায়। কিন্তু যথেষ্ট হয়নি তা। দুবারই নিচের দিকে সঙ্গীহীনতায় ভুগতে হয়েছে তাঁকে।
আজ মাহমুদউল্লাহকে পাঠানো হয় ছয়ে। যদিও আজ নেমেছেন ৪২ রানেই ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর। ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে এরপর ছয় নম্বর ব্যাটসম্যানের খুব বেশি কিছু থাকার কথা নয়। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য তাঁর ধাঁচেই খেলে যাচ্ছেন। ৫৯ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত তিনি এখন পর্যন্ত।
মাহমুদউল্লাহ তাঁর কাজটি করছেন। কিন্তু সেটি কাজে আসছে না।
মাহমুদউল্লাহর ফিফটি
৬৭ বলে ৫০*। ৩৫তম ওভারের খেলা চলছে। ছয় নম্বর ব্যাটসম্যানের জন্য আদর্শ ইনিংস হতে পারত। কিন্তু এটি রান তাড়া। লক্ষ্য ৩৮৩ রান। মাহমুদউল্লাহর ইনিংস দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুধু অপেক্ষাতেই রাখতে পারছে।
তা যাই হোক, শেষ পর্যন্ত আরেকটি ফিফটি তো। গত ডিসেম্বরের পর ওয়ানডেতে যা প্রথম মাহমুদউল্লাহর। ক্যারিয়ারে ২৮তম।
অষ্টম উইকেট
৮.১ ওভার এ জুটি হতাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অবশেষে হাসান মাহমুদ ক্যাচ তুললেন কাগিসো রাবাদার বলে। বাংলাদেশের বাকি ২ উইকেট।
মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি নাকি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়—কোনটি আগে হবে?
মার্কো ইয়ানসেনের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের স্লোয়ার। মিড অফে ক্যাচ উঠেছিল। পেছনের দিকে গিয়ে মাথার ওপরে হাতে নিতে পারলেও রাখতে পারেননি উইলিয়ামস। ৭৩ রানে জীবন পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এ ম্যাচে এখন রোমাঞ্চের বিষয় হতে পারে একটিই—১০০ পাবেন মাহমুদউল্লাহ?
ঘটনাবহুল ওভার
কোয়েৎজির প্রথম বলে চার, এরপর ডাবলস, এরপর নো বল। তবে ফ্রি হিটে চাইলেও স্ট্রাইক ধরে রাখতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। মোস্তাফিজ অবশ্য ৪২তম ওভারের বাকিটা নিরাপদেই কাটিয়ে দিয়েছেন। সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর দরকার ৩ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার ২ উইকেট
কোয়েৎজিকে টেনে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা। শতক থেকে এক শট দূরে তাতেই গেছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক রেখেছেন নিজের কাছে। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ৯৭ রানে।
মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি!
রাবাদার বলে লেগ সাইডে খেলে ডাবলস। মাহমুদউল্লাহ ৯৯। এরপর শর্ট বলে ফাইন লেগে খেলে সিঙ্গেলে মাহমুদউল্লাহ পেয়েছেন সেঞ্চুরি! উদ্যাপনে লাফ দিয়েছেন, এরপর আঙুল দিয়ে ইশারা করেছেন ওপরের দিকে। এরপর দিয়েছেন সিজদা।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিটি পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে টানা দুই ম্যাচে ১০০ পেরিয়েছিলেন।। মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরিটি ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২০১৭ সাল কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরিই ছিল মাহমুদউল্লাহর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বশেষ।
আজ আরেকটির দেখা পেলেন তিনি।
অথচ বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের দলেও ছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দলে ফেরানো হয়। এরপর বিশ্বকাপ দলেও জায়গা পান।
আগের দুই ম্যাচে লড়াই করলেও ইনিংস বড় করার সুযোগ পাননি সেভাবে। আজ ছয়ে এসেছিলেন। দলের অবস্থা সুবিধার ছিল না মোটেও। এখনো যে আছে, তা নয়। তবে লড়াইটা চালিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। এমন দিনে ব্যক্তিগত অর্জনই হতে পারে সান্ত্বনা!
অবশেষে থামলেন মাহমুদউল্লাহ
১১টি চারে ১১১ বলে ১১১। মাহমুদউল্লাহ থামলেন তাতেই। কোয়েৎজির বলে লং অফে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পথে দক্ষিণ আফ্রিকানদের অভিনন্দনও পেয়েছেন। একা হাতে লড়াই যেটিকে বলে, আজ সেটিই করেছেন তিনি।
১৪৯ রানে হারল বাংলাদেশ
স৮১ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার জয় মনে হচ্ছিল সময়ের অপেক্ষা। সে অপেক্ষা বেড়েছে। বাড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ ৪ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ যোগ করেছে ১৫২ রান। তবে ৩৮৩ রানের লক্ষ্যে সেটি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।
প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারানোর পর টানা চারটি ম্যাচ হারল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের স্বপ্নটা যে কার্যত শেষ এখন, সেটি বলাই যায়। রানরেটের হিসাবে এখন পয়েন্ট তালিকার তলানীতে বাংলাদেশ।
অন্যদিকে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াল দুর্দান্তভাবে। মুম্বাইয়ে ইংল্যান্ডের পর বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিল তারা। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে তারা। সেমিফাইনাল এখন বেশ নাগালে প্রোটিয়াদের।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ ডি কক
১৭৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার অনুমিতভাবেই গেছে কুইন্টন ডি ককের কাছে।