ওয়ার্নার বিগ ব্যাশ খেলতে চান না, খেলবেন আমিরাত লিগ

বিগব্যাশ না খেলে আমিরাতের টি–টোয়েন্টি লিগ খেলবেন ওয়ার্নারফাইল ছবি

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার জন্য বড় ধাক্কাই এটা। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার আগামী জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার জন্য অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশ থেকে ছুটি চেয়েছেন।

২০১৮ সালে কেপটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে বল–বিকৃতির অভিযোগে সে সময়ের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও অন্য সতীর্থ ক্যামেরন ব্যানক্রফটের সঙ্গে ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। খেলার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও অস্ট্রেলীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনার ক্ষেত্রে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা বহালই রেখেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সম্প্রতি ওয়ার্নারের ওপর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে দাবি জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার।

অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওয়ার্নার চান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া যত দ্রুত সম্ভব তাঁর ওপর থেকে অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিক। বিগ ব্যাশ না খেলার ব্যাপারটি অনেকটাই তাঁর দর–কষাকষির অংশ। এ ব্যাপারে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ করেছেন। আমিরাতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগটি বিগ ব্যাশের চেয়ে আর্থিক দিক দিয়ে অনেক বেশি লাভজনক। তাঁর স্ত্রীও চান, ওয়ার্নার বিগ ব্যাশ বাদ দিয়ে আমিরাতের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলুক।

ওয়ার্নারের স্ত্রীও চান তাঁর স্বামী আমিরাতে খেলুন, কারণ সেখানে অর্থ বেশি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এ ব্যাপারে তাঁর স্ত্রী ক্যানডিস ওয়ার্নার বলেছেন, ‘নিষেধাজ্ঞাটা আমাদের পীড়া দিচ্ছে। এটির কোনো মানে হয় না। এটা একধরনের অবিচার। তবে ওয়ার্নার যে ব্যাপারটি নিয়ে খুব পীড়িত, সেটি বলব না। সে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে যেতে পারে। সে ভারতে আইপিএল খেলতে যেতে পারে। সেখানে সে অধিনায়কত্ব করতে পারে। মানুষ সেখানে তাঁর ক্রিকেট–মস্তিষ্ককে সম্মান করবে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।’

আগামী জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া ইউএই লিগে প্রচুর অর্থ নিয়ে নামছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিন বছরের চুক্তি করা হবে।

বল–বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত স্টিভ স্মিথের ওপর থেকে অধিনায়কত্বের নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে দুই বছর আগে। অ্যাশেজ সিরিজের আগে টিম পেইন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলে নতুন অধিনায়ক নির্বাচনে বিবেচনায় ছিলেন স্মিথ। পরে অবশ্য প্যাট কামিন্সকে টেস্ট অধিনায়ক করা হয়। ২০১৮ সালে কেপটাউন টেস্টে স্মিথ অধিনায়ক ছিলেন। বল–বিকৃতির অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন তিনিও।