টাইয়ের পর ৫–১০ রানের আক্ষেপ নিগারের
একটা সময় ভারতের মেয়েদের হাতের মুঠোতেই ছিল ম্যাচ। ২২৫ তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৯১। সেই অবস্থা থেকে কী দারুণভাবেই না ঘুরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা! পরের ৩৪ রানের মধ্যে ভারতের ৬ উইকেট তুলে দিয়ে ম্যাচ করেছেন ‘টাই’।
বোলারদের কৃতিত্বে দুর্দান্ত এই প্রত্যাবর্তনের পর খুশি হতেই পারে বাংলাদেশ। যে অবস্থায় ছিল একসময় ম্যাচটা, সেখান থেকে তো বাংলাদেশের হারটাই মনে হচ্ছিল সবচেয়ে সম্ভাব্য ফল। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানাও শেষটা নিয়ে খুশিই।
তবে কিছুটা আক্ষেপও আছে তাঁর। ব্যাটিংয়ে আরও কিছু রান যোগ করতে পারলে হয়তো এ ম্যাচটা জেতাই যেত। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও সে কথাই বলছিলেন নিগার, ‘দারুণ ম্যাচ হয়েছে, আমাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা। এটা আমদের ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। যখন টস জিতলাম, ২৩০ রানের মতো করতে চেয়েছিলাম। পিংকি (ফারজানা হক) সেঞ্চুরি পেল। তবে আমাদের মনে হয়েছিল, ৫-১০ রান কম হয়েছে। এরপরও যেভাবে মেয়েরা লড়াই করেছে, এটা অবিশ্বাস্য।’
তাড়া করতে নেমে ভারতের রান যখন ৩৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৩, তখন বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় অবশ্য ডিএলএস নিয়মে ভারতই এগিয়ে ছিল, অর্থাৎ আর খেলা না হলে জিতে যেত ভারত। তবে বৃষ্টি থেমে যায় একসময়, প্রায় আধঘণ্টা পর আবার খেলা শুরু হয়। ওই বিরতিটা বাংলাদেশকে ম্যাচের পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করেছে বলে জানিয়েছেন নিগার, ‘বিরতির পর আমরা বলাবলি করছিলাম, ম্যাচটা শুধু দুভাবেই এগোতে পারে। হয় আমরা ওদের চেপে ধরব বা ওরা আমাদের। নাহিদা দারুণ বোলিং করেছে। সব বোলারই আসলে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে।’
নাহিদার কথা যে নিগার আলাদা করে বললেন, তার কারণ আছে। ৪৮তম ওভারে বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা ২ উইকেট তুলে নেওয়াতেই তো ম্যাচটা এমন রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তির দিকে এগিয়েছে। ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত তখন জয়ের অবস্থান থেকে হঠাৎই পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায়।