আইপিএলে আজ অনন্য কীর্তি গড়তে পারেন কোহলি
ছক্কার রাজা ক্রিস গেইল আইপিএলেও সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন (৩৫৭টি)। সবচেয়ে বেশি চার মেরেছেন শিখর ধাওয়ান (৭৬৮)।
তবে চার-ছক্কা মিলিয়ে সবার ওপরে বিরাট কোহলি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে সব মৌসুম খেলা ‘কিং কোহলি’ এখন পর্যন্ত বাউন্ডারি মেরেছেন ৯৯৮টি।
বুঝতেই পারছেন, আইপিএল ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০০০ বাউন্ডারি থেকে কোহলি মাত্র দুটি শট দূরে। সেই মাইলফলকে তিনি আজই পৌঁছে যেতে পারেন।
আজ রাতে নিজেদের মাঠ এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলটির হয়ে ওপেনিংয়ে ব্যাট করা কোহলি হাজার বাউন্ডারির মাইলফলক ছুঁতে পারেন পাওয়ারপ্লেতেই।
গত বছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক (৭৪১) কোহলি এবারও বেশ ছন্দে আছেন। বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথম চার ম্যাচে ৫৪.৬৬ গড়ে করেছেন ১৬৪ রান। ফিফটি আছে দুটি। ৯৭৭ বাউন্ডারি নিয়ে আইপিএলের ১৮তম আসরে খেলতে নামা কোহলি মেরেছেন আরও ১৫টি চার ও ৬টি ছক্কা।
৩৬ বছর বয়সী এই রানমেশিন এবারের আইপিএলেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১২৮ ছক্কা মেরে আইপিএলের এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ছক্কায় ক্রিস গেইলের রেকর্ডও (১২৭) ভেঙেছেন। একই ভেন্যুতে আজ দুটি বাউন্ডারি মারলেই আরেকটি কীর্তি গড়ে ফেলবেন কোহলি।
আইপিএলে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ডটা অনেক আগে থেকেই কোহলির। ৯২০ বাউন্ডারি মেরে দুইয়ে থাকা শিখর ধাওয়ান গত বছর খেলোয়াড়ি জীবনকে বিদায় বলে দিয়েছেন।
তিনে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার মেরেছেন ৮৯৯টি চার-ছক্কা। তবে মেগা নিলামে ওয়ার্নারকে কোনো দল না নেওয়ায় আইপিএলে তাঁর খেলা হচ্ছে না। ৩৮ পেরোনো ওয়ার্নারকে আর কখনো আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে বলেও মনে হয় না।
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টি-টোয়েন্টি লিগে সর্বোচ্চ চার-ছক্কা মারা শীর্ষ দশ ব্যাটসম্যানের মধ্যে কোহলি, রোহিত শর্মা (৮৮৫) ও মহেন্দ্র সিং ধোনি (৬২৮) এই মৌসুমেও খেলছেন। জৌলুশ হারিয়ে ফেলা ধোনি এখনো আইপিএল থেকে অবসর না নেওয়ায় এবার বেশ সমালোচিত হচ্ছেন। রোহিতও ব্যাট হাতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। তবে কোহলি বেশ দাপটের সঙ্গেই খেলে যাচ্ছেন।
আরও কয়েক মৌসুম খেললে আইপিএলে রানের পাশাপাশি বাউন্ডারি সংখ্যাতেও কোহলি নিশ্চিতভাবে নিজেকে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাবেন। তাই অদূর ভবিষ্যতে কোহলিকে ছোঁয়ার সাধ্য কারও নেই, তা বলাই যায়।