মেয়েদের ক্রিকেটেও পেস–বিপ্লব করতে চান দিশা–মারুফারা
দেশের ক্রিকেট ‘পেস বোলিং বিপ্লব’ দেখছে বলাই যায়। বাংলাদেশ পুরুষ দল আজকাল তিন পেসার নিয়েও টেস্ট খেলতে নামছে। একটা সময় মানসম্পন্ন পেসারের জন্য হাপিত্যেশ করা বাংলাদেশ এখন পেসারদের পর্যায়ক্রমে বিশ্রাম দেওয়ার বিলাসিতাও করতে পারছে।
তাসকিন-হাসান-শরীফুল-রানাদের দেখে অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন বাংলাদেশ নারী দলের পেসাররাও। বাংলাদেশের নারী পেসার দিশা বিশ্বাস তো বলেই দিলেন, ছেলেদের মতো মেয়েদের ক্রিকেটেও পেস বোলিং বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা।
২০ বছর বয়সী দিশার এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়নি। অভিষেকে অপেক্ষায় থাকা দিশা আছেন মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৩ অক্টোবর শুরু হবে ২০ ওভারের ক্রিকেটের এই বিশ্বকাপ। ‘স্বাগতিক’ হয়েও যে বিশ্বকাপটা বাংলাদেশকে খেলতে হচ্ছে বিদেশ-বিভুঁইয়ে, সেই বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
মারুফার এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার মতো সামর্থ্য আছে। দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ। ওকে যদি ঠিকঠাক দেখভাল করা যায়, তবে সে পরে আমাদের রেজাল্ট এনে দেবেতালহা জুবায়ের, বোলিং কোচ, বাংলাদেশ নারী দল
আমিরাতেই এখন প্রস্তুতি সারছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সেখানেই পেস বোলিং নিয়ে আশার কথা শোনালেন দিশা, ‘আগে ছেলেদের দলে ১-২ জন পেসার থাকত, এখন সেটা ৪-৫ জন হয়ে গেছে। আমাদেরও এমন পারফরম্যান্স করতে হবে, যেন মেয়েদের একাদশেও ৩-৪ জন পেসার থাকতে পারে।’
শুধু দিশাই নন, বাংলাদেশের অন্য তিন পেসার জাহানারা আলম, মারুফা আক্তার ও রিতু মনিও স্বপ্ন দেখছেন ভালো কিছু করার। দলের পেস বোলিং কোচ তালহা জুবায়েরও আশাবাদী, ভালোকিছুই করবেন তাঁর শিষ্যরা।
বিসিবির তৈরি করা এক ভিডিও চিত্রে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পেসার তালহা বললেন, মেয়েদের বিশ্বকাপে পেসারদের নিয়ে খুবই আশাবাদী তিনি। বিশেষ করে মারুফা ও দিশাকে নিয়ে মুগ্ধ হওয়ার কথাও বললেন তালহা, ‘মারুফার এই বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হওয়ার মতো সামর্থ্য আছে। দিশা আমাদের ভবিষ্যৎ। ওকে যদি ঠিকঠাক দেখভাল করা যায়, তবে সে পরে আমাদের রেজাল্ট এনে দেবে।’
অভিজ্ঞ পেসার জাহানারাকে মনোযোগ ধরে রাখতে বললেন তালহা, ‘ওর লাইন-লেংথ ধরে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ, ধরে রাখতে হবে ফোকাসও। এ দুই কাজ করতে পারলে ও দলের সম্পদ হয়ে উঠবে।’
জাহানারা, মারুফা ও দিশা ছাড়াও মিডিয়াম পেসার হিসেবে দলে আছেন রিতু মনি। রিতুর সবচেয়ে বড় গুণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তালহা, ‘ও মোর অ্যাকুরেট। লাইন-লেংথ খুব ভালো, পেস বেশি নেই, তবে ব্যাটারকে খুব ভালো বুঝে ও ফিল্ড সেটআপ অনুযায়ী বল করতে পারে।’
সব মিলিয়েই খুব আশাবাদী তালহা, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী বল করতে পারলে পেস বোলিং ইউনিট হিসেবে খুব ভালো অবস্থায় থাকব।’
অভিজ্ঞ পেসার জাহানারাও বললেন, এবার সময় হয়েছে পেসারদেরও কিছু করে দেখানোর, ‘স্পিন বিভাগের সঙ্গে পেস বিভাগও অবদান রাখতে পারবে বলেই আশ করছি।’