নাহিদ রানার ৫ উইকেট, বাংলাদেশের ১৮ রানের লিড

৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন নাহিদ রানাফাইল ছবি: প্রথম আলো

গতি, গতি আর গতি—নাহিদ রানার বোলিংয়ের মূলমন্ত্রই এটি। কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্ক টানা দুই দিন দেখল সেই গতির ঝড়। ক্যারিবিয়ান সাগরের হারিকেনের মতোই সেই গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড হলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস। যে ঝড়ে রানা তুলে নিলেন টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসে প্রথম ৫ উইকেট আর বাংলাদেশ পেল ১৮ রানের লিড।

প্রথম টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংস্টনে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল ১ উইকেটে ৭০ রান নিয়ে। এর সঙ্গে ৭৬ রান যোগ করতেই যে বাকি ৯ উইকেট শেষ, তাতে বড় আঘাতটি রানারই।

দিনের শুরুতে পরপর দুই ওভারে ফিরিয়েছেন কার্লোস ব্রাফেট ও কাভেম হজকে। এর মধ্যে ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্রাফেটের ১২৯ বলে খেলা ৩৯ রানের ইনিংস থামিয়েছেন গালিতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে। আর পরের ওভার হজ শিকার লিটন দাসের অসাধারণ ক্যাচে।

আগের দিনের মতো এ দিনও একের পর এক গতিময় ডেলিভারিতে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের তটস্থ রেখেছেন রানা। আর সেই চাপেই অ্যালিক আথানাচ, জশুয়া ডি সিলভারা উইকেট দিয়েছেন অন্যদেরও। দিনের শুরুতে রানা দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর একজন একজন করে উইকেটশিকারির খাতায় নাম লিখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা।

তবে শেষটা করেছেন রানাই। মাঝে আলজারি জোসেফকে মিরাজের ক্যাচ বানানো রানা নিজের প্রথম ‘ফাইফার’ পূর্ণ করেন কেমার রোচকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে, যে উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস থামে ১৪৬ রানে।

প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রান করা বাংলাদেশ ১৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১ উইকেটে তুলেছিল ২৮ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৪৬ (কার্টি ৪০, ব্রাফেট ৩৯;  রানা ৫/৬১, হাসান ২/১৯)।