টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখনো শুরু হয়নি। কাল গিলংয়ে শ্রীলঙ্কা–নামিবিয়া ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে এই টুর্নামেন্টের। কিন্তু তার আগেই একটা রেকর্ড হয়ে গেল! এমন রেকর্ড, যা টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এর আগে কখনো দেখা যায়নি।
না, মাঠের রেকর্ড নয়। আইসিসি আগেই জানিয়েছিল, টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১৬ দলের অধিনায়কদের নিয়ে ‘ক্যাপ্টেনস মিডিয়া ডে’ অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ১৬ দলের অধিনায়কেরা উপস্থিত থেকে সংবাদকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন।
আজ মেলবোর্নে রিজেন্ট থিয়েটারের প্লাজা বলরুমে অনুষ্ঠিত হলো অধিনায়কদের নিয়ে সেই সংবাদ সম্মেলন। ৮ জন করে মোট দুটি ভাগে ১৬ দলের অধিনায়ক হাজির হন এই অনুষ্ঠানে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কখনোই সব দলের অধিনায়কদের নিয়ে এমন অনুষ্ঠান দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হাজির হন পরের ধাপে। অস্ট্রেলিয়া, নামিবিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড, আরব আমিরাত, আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডস অধিনায়কদের পর্ব শেষ হওয়ার পর হাজির হন বাকি ৮ দলের অধিনায়ক।
সাকিব আল হাসান সেখানে ভারতের রোহিত শর্মা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান, পাকিস্তানের বাবর আজম, স্কটল্যান্ডের রিচার্ড বেরিংটন, জিম্বাবুয়ের ক্রেগ আরভিন, দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা ও আয়ারল্যান্ডের অ্যান্ডি বলবার্নির সঙ্গী হন। হালকা মেজাজের এ অনুষ্ঠানে ভারত ও পাকিস্তানের দুই অধিনায়ককেই বেশির ভাগ প্রশ্ন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ দিকে সাকিবকে প্রশ্ন করেন সঞ্চালক।
এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে অস্ট্রেলিয়ায় পা রেখেছেন সাকিব। দুটি টুর্নামেন্টে দল নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে ওপেনিং জুটিতে।
সঞ্চালক তা মনে করিয়ে দিয়ে সাকিবের কাছে জানতে চান, এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছ থেকে কেমন খেলা প্রত্যাশা করা যায়, খেলার ধরনই বা কেমন হবে? মঞ্চে অধিনায়কদের কাতারে ডান কোনায় বসা সাকিব মুচকি হেসে উত্তর দেন, ‘আমাদের দলটা রোমাঞ্চকর। বেশির ভাগই নতুন। এটা তাদের জন্য দারুণ অভিজ্ঞতা হবে। (দলের) আমরা সবাই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি খেলব।’
সাকিব এরপর দলের প্রস্তুতি নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। ক্রাইস্টচার্চে আমরা খুব ভালো দুটি দলের বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছি। অস্ট্রেলিয়ায় ভালো করতে কী করতে হবে, সেটা আমরা এখন জানি। ভালো করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতিও আছে আমাদের।’
সঞ্চালক এরপর একটু মজাও করলেন সাকিবের সঙ্গে। চোখেমুখে বিস্ময় নিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ককে বলেন, (দেশের হয়ে) টি–টোয়েন্টি খেলতে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়ায়! সাকিবের জবাবটাও ছিল রসিকতাপূর্ণ, ‘হ্যাঁ, আর আমি ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি!’ সাকিবের এমন জবাবে হাসির শব্দও শোনা গেল।
বিগ ব্যাশের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগ খেলেছেন সাকিব। কিন্তু দেশের হয়ে এই সংস্করণে কখনো অস্ট্রেলিয়ায় খেলা হয়নি। শুধু সাকিব কেন, আসলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে কখনো টি–টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ দল। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়েই সে হিসেবের খাতা খোলা হবে। সাকিবের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ দল সেখানে কেমন করবে, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।