হাসপাতালে এক লোকের ওপর হামলা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের
অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের নানা কাজের একটি ‘ওয়েলফেয়ার চেক’। মানসিকভাবে বিপন্ন কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে তাঁর পরিবারের সদস্য, বন্ধু বা প্রতিবেশীরা থানায় জানালে পুলিশ বাসায় গিয়ে খোঁজ নেয়। ওই ব্যক্তির সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয় পুলিশ।
এমনই এক ওয়েলফেয়ার চেক-এ ইতিমধ্যে এক মামলায় জামিনে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল স্ল্যাটারের বাসায় গিয়েছিল নর্দান সিডনির পুলিশ।
৫২ বছর বয়সী স্ল্যাটারের মানসিক অবস্থা সুবিধার নয় দেখে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু চার দিন হাসপাতালে থাকার সময়ই নতুন কাণ্ড ঘটিয়েছেন সাবেক এই ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউজ.কম জানিয়েছে, স্ল্যাটারের বিরুদ্ধে নতুন করে হামলার দুটি এবং ভয় দেখানোর একটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
১৪ জুলাই তাঁকে বাসা থেকে বের করে ১৮ জুলাই পর্যন্ত নর্দান বিচেস হসপিটালে রাখা হয়েছিল। ওই সময়ই ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির ওপর হামলা এবং শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধনের ভয় দেখান স্ল্যাটার।
চার দিন হাসপাতালে রাখার পর পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে যায় এবং জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে অভিযোগ গঠন করে।
বুধবার ম্যানলির স্থানীয় আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জামিন আবেদন করেন স্ল্যাটার। এ সময় আদালত তাঁকে কঠোর শর্তে জামিন দেন। শর্তের মধ্যে আছে মদ্যপান ও ড্রাগ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আচরণ উন্নত করতে হবে।
এ ছাড়া যাঁরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশকে স্ল্যাটারের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। মামলার শুনানিতে তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে ১২ অক্টোবর।
এর আগে গত মে মাসে এক নারীকে ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে স্ল্যাটারের বিরুদ্ধে। তার আগের মাসেই একটি পারিবারিক সহিংসতার মামলায় মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় দায়মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।
যেখানে টানা এক বছর একজন চিকিৎসকের অধীন থেকে চিকিৎসা নিতে বলা হয়েছিল তাঁকে।
২০০১ সালে অবসর নেওয়ার আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৪টি টেস্ট ও ৪২টি এক দিনের ম্যাচ খেলেন স্ল্যাটার। খেলা ছাড়ার পর ধারাভাষ্য দিতেন তিনি, যা এখন বন্ধ আছে।