পাকিস্তানের কোচ হওয়ার ব্যাপারে যা বললেন অজয় জাদেজা

বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন অজয় জাদেজাআফগানিস্তান ক্রিকেট এক্স

‘পাকিস্তানও একসময় আফগানিস্তানের মতো ছিল’—এমন মন্তব্য করে অজয় জাদেজা বলেছেন, পাকিস্তানের কোচের দায়িত্ব নিতে তিনি ‘প্রস্তুত’। বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন ভারতের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলা জাদেজা।

ভারতে হয়ে যাওয়া বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজমের দল গ্রুপ পর্বে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জিতে বিদায় নেয় সেমিফাইনালের আগেই। এমন বিপর্যয়ের পর টিম ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ডে এসেছে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন।

প্রধান কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন, ক্রিকেট ডিরেক্টর মিকি আর্থার থাকছেন না অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ হাফিজকে করা হয়েছে টিম ডিরেক্টর, অস্ট্রেলিয়া সফরের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজে যিনি থাকবেন প্রধান কোচের দায়িত্বেও। বাবর আজম তিন সংস্করণেরই অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। টেস্টে শান মাসুদ ও টি-টোয়েন্টিতে বাবরের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদির নাম।

বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পাঁচটি হারের একটি ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে। পাকিস্তানের বিপক্ষে যেটি ছিল আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডে জয়। সে ম্যাচের পর পাকিস্তান দল নিয়ে হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।

স্পোর্টস তাকের এক আলোচনায় জাদেজাকে বলা হয়েছিল, পাকিস্তানে তাঁকে কোচ করার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সে প্রসঙ্গে জাদেজা হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি প্রস্তুত।’

আরও পড়ুন

প্রতিপক্ষ হিসেবে জাদেজার কাছে পাকিস্তান অবশ্য বেশ পরিচিতই। ক্যারিয়ারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে তিনি খেলেছেন ৪০ ম্যাচ। তবে দুই দেশের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে যে জাদেজার পাকিস্তানের কোচ হওয়ার মতো কিছু ঘটা প্রায় অসম্ভব, তা বলাই যায়। নিশ্চিতভাবে জাদেজাও সেটি জানেন। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি এরপর দুই দলের মিল প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আমি আফগানিস্তানের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করেছি। আমার বিশ্বাস, (পুরোনো) পাকিস্তানও একসময় এখনকার আফগানিস্তানের মতো ছিল।’

১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জাদেজা, ক্যারিয়ারে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে তিনি খেলেছেন ৪০ ম্যাচ
এএফপি

সেটি কীভাবে, এর ব্যাখ্যায় ৫২ বছর বয়সী জাদেজা বলেন, ‘আপনি একসঙ্গে বসে সতীর্থের মুখের ওপরই যা ইচ্ছা তাই বলে দিতে পারেন।’

আফগানিস্তানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করার আগে জাদেজার কোচিং প্রোফাইলে সবচেয়ে বড় দিক ছিল ২০১৫ সালে রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লিকে কোচিং করানো। তবে দিল্লি ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তাঁর মতামতের কোনো মূল্য নেই—এমন অভিযোগ তুলে সে পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।