- যেভাবে রোমাঞ্চকর জয় পেল বাংলাদেশ
- স্বাগত!
- টস
- রনি ও মৃত্যুঞ্জয়ের অভিষেক, ফিরলেন মোস্তাফিজুর
- হিউমের জায়গায় ইয়াং
- অভিষেক, অভিষেক
- ওপেনিংয়ে রনি
- রনির রেকর্ড
- জীবন পেলেন তামিম, ফিরলেন রনি
- লিটলের ওভারে তিন চার
- বাংলাদেশের ৫০
- ফিফটির আগেই থামলেন নাজমুল
- চারে লিটন
- বাংলাদেশের ১০০
- প্রথম ছক্কা
- তামিম-লিটনের ৫০ রানের জুটি
- উচ্চাভিলাষী শটের চেষ্টায় থামলেন লিটন
- অবশেষে তামিমের ফিফটি
- ভুল শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হৃদয়
- তামিম-মুশফিকের ফিফটি
- উইকেট বিলিয়ে এলেন তামিম
- ভাগ্যের ছোঁয়া মুশফিকের
- শেষ ১০ ওভারে ইনিংস
- সবার ওপরে মুশফিক
- মূল্যবান জুটি
- স্লগ সুইপের চেষ্টায় এলবিডব্লু মুশফিক
- শেষের আগে শেষ মিরাজের ইনিংসও
- ২৭৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ
- ডোহেনিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু মোস্তাফিজের
- বেড়েছে রানের গতি
- এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড
- আয়ারল্যান্ড ১০২/১, ২১ ওভার
- স্টার্লিংয়ের ফিফটি
- বলবার্নিরও ফিফটি, ১০০ রানের জুটি
- জীবন পেলেন বলবার্নি
- ব্রেকথ্রু দিলেন ইবাদত
- স্টার্লিং ক মৃত্যুঞ্জয় ব মিরাজ
- রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন টাকার
- মৃত্যুঞ্জয়ের ওভারে ২১
- টেক্টর ক লিটন ব নাজমুল!
- মোস্তাফিজের শিকার ক্যাম্ফার
- এবার মোস্তাফিজের শিকার ডকরেল
- ২৪ বলে প্রয়োজন ৩৫
- মোস্তাফিজের বলে টাকার বোল্ড
- ১২ বলে ২৪
- ৬ বলে ১০
- ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় বাংলাদেশের
- মানতে পারছেন না বলবার্নি
- বলছেন ম্যাচসেরা মোস্তাফিজ
- সিরিজসেরা নাজমুল
যেভাবে রোমাঞ্চকর জয় পেল বাংলাদেশ
ম্যাচে এক সময় পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল আয়ারল্যান্ডেরই। ৫০ বলে প্রয়োজন ৫০ রান, ক্রিজে দুই থিতু ব্যাটসম্যান। সেখান থেকেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ, চেমসফোর্ডে আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের ঠিক দিকে থাকল তামিম ইকবালের দল। ২৭৫ রানের লক্ষ্যে আয়ারল্যান্ড ৫০ ওভারে আটকে গেছে ৯ উইকেটে ২৭০ রানেই। ৪ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে ২-০ ব্যবধানে বিশ্বকাপ সুপার লিগের শেষ সিরিজটিও জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচে গল্পটা বলা যায় দুটি নাটকীয় ধসের। প্রথমটি ছিল বাংলাদেশ ইনিংসে—১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ভালো একটা অবস্থান থেকেও ২৭৪ রানেই আটকে যায় তারা। পরেরটির শিকার অবশ্যই আয়ারল্যান্ড—১৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় তারা।
পড়ুন বিস্তারিত-
স্বাগত!
প্রথম ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেছে রোমাঞ্চকর লড়াই। যাতে হ্যারি টেক্টরের সেঞ্চুরি ম্লান হয়ে গেছে নাজমুল হোসেনের সেঞ্চুরিতে। ১-০-তে এগিয়ে বাংলাদেশ, আজ তারা নিশ্চিত করতে পারবে সিরিজ জয়? নাকি সমতায় ফিরবে আয়ারল্যান্ড?
সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
টস
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি।
ভিন্ন এক চ্যালেঞ্জ, স্কোরবোর্ডে রান জমা করে ডিফেন্ড করতে হবে।
রনি ও মৃত্যুঞ্জয়ের অভিষেক, ফিরলেন মোস্তাফিজুর
চোটের কারণে এ ম্যাচে নেই সাকিব আল হাসান। খেলানো হচ্ছে না পেসার শরীফুল ইসলামকেও। এ দুজনের জায়গায় দলে এসেছেন রনি তালুকদার ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। রনির ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে, মৃত্যুঞ্জয়ের আন্তর্জাতিক অভিষেক। দলে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমানও। তাঁকে জায়গা করে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ফলে বাংলাদেশ দল খেলাচ্ছে একজন অতিরিক্ত পেসারকে।
বাংলাদেশ একাদশ
তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, রনি তালুকদার, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
হিউমের জায়গায় ইয়াং
আয়ারল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন—গ্রাহাম হিউমের বদলে খেলানো হচ্ছে ক্রেইগ ইয়াংকে।
একাদশ
অ্যান্ডি বলবার্নি (অধিনায়ক), মার্ক এডেয়ার, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, স্টিফেন ডোহেনি, ক্রেইগ ইয়াং, জশ লিটল, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন, পল স্টার্লিং, হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার
অভিষেক, অভিষেক
ওপেনিংয়ে রনি
সাকিবের জায়গায় দলে এসেছেন, তবে রনি তালুকদার খেলছেন ওপেনিংয়ে। তামিম ইকবালের সঙ্গে এসেছেন তিনি।
রনির রেকর্ড
জীবন পেলেন তামিম, ফিরলেন রনি
ইনিংসের প্রথম বলে লেগ সাইডে বড় ওয়াইড দিয়েছিলেন জশ লিটল, তাতে অতিরিক্ত চার রানও এসেছিল। প্রথম ওভারে লিটল করেন আরও দুটি ওয়াইড। পরের ওভারে এসে অবশ্য লাইন-লেংথ ‘পারফেক্ট’ করেছিলেন, তাতে খোঁচা মেরে ক্যাচও তোলেন তামিম ইকবাল। তবে দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক্যাচটি ছেড়েছেন অ্যান্ডি বলবার্নি। তামিমের রান তখন ছিল ১। ঠিক পরের বলে চার মেরে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়েছেন তামিম।
পরের ওভারে অবশ্য ফিরেছেন রনি তালুকদার। মার্ক অ্যাডাইরের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন অভিষিক্ত এ ওপেনার। ঠিক আগের বলে কাভার দিয়ে চার মেরেছিলেন।
৪ ওভারে ১৮/১।
লিটলের ওভারে তিন চার
তামিম ইকবাল প্রথম চারটি মেরেছিলেন দারুণ এক কাভার ড্রাইভে। পরের দুটি চার অবশ্য হয়েছে নাজমুল হোসেনের ব্যাটের কানায় লেগে। পরের ওভারে অ্যাডাইরকে কাভার ড্রাইভের চারে অবশ্য পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল নাজমুলের। ৬ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৩৭ রান, রনি তালুকদারের উইকেট হারালেও শুরুটা দ্রুতগতিরই পেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ৫০
প্রথম ৮ ওভারে দুই আইরিশ পেসার করেছেন ৬টি ওয়াইড, সঙ্গে একটি ওয়াইড থেকে এসেছে অতিরিক্ত আরও ৪ রান। সব মিলিয়ে ওয়াইড থেকে এসেছে ১১ রান। উইকেটে মুভমেন্ট আছে, তবে লাইন-লেংথে এলোমেলো লিটল ও অ্যাডাইর। অ্যাডাইর অবশ্য ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৫ রান, তবে ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করেছেন লিটল। লিটলকে সরিয়ে নবম ওভারে ক্রেইগ ইয়াংকে এনেছেন বলবার্নি। এ ওভারেই ৫০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
৯ ওভারে ৫৩/১।
ফিফটির আগেই থামলেন নাজমুল
দারুণ একটি কাভার ড্রাইভে চার মেরেছিলেন এ ওভারেই। এক বল পর ইয়াং লেংথ কমিয়ে আনলেন, একটু অ্যাঙ্গেল করে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট বাড়িয়ে এজড হলেন নাজমুল। স্লিপে এবার আর ভুল করেননি বলবার্নি। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল থামলেন ৩২ বলে ৩৫ রান করেই, তামিমের সঙ্গে তাঁর জুটি শেষ ৪৪ বলে ৪৯ রানে।
হিথ স্ট্রিকের জন্য শুভকামনা
ক্যানসারে আক্রান্ত জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক।
চারে লিটন
তাঁর প্রথম স্কোরিং শটটি ছিল আউটসাইড-এজ। তৃতীয় স্লিপে কেউ থাকলে হয়তো ফিরতে হতো তাঁকে। ১২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ৭৮/২।
লিটনকে চারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত ঠিক মনে করেন?
বাংলাদেশের ১০০
১৬তম ওভারে প্রথমবারের মতো এসেছেন অফ স্পিনার অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। পরের ওভারে বাংলাদেশ ১০০ ছুঁয়ে ফেলেছে। তামিম-লিটনের জুটি অবিচ্ছিন্ন ৩৩ রানে। ১৭ ওভারে বাংলাদেশ ১০০/২, রান রেট ৫.৮৮।
প্রথম ছক্কা
ঝুলিয়ে দেওয়া বল, সামনে গিয়ে টেনে লং অফের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন সেটি লিটন। ম্যাকব্রাইনের বলে লিটনের ব্যাটে এলো ইনিংসের প্রথম ছক্কা। তামিমের মতো ভালো শুরু লিটনেরও, তবে ইনিংস বড় করতে পারবেন তাঁরা?
তামিম-লিটনের ৫০ রানের জুটি
৫৫ বল লেগেছে দুজনের ফিফটি জুটিতে। নাজমুল ফেরার পর বাংলাদেশকে টানছেন দুজন।
উচ্চাভিলাষী শটের চেষ্টায় থামলেন লিটন
শেষ কয়েক ওভারে ডট বলের চাপ বাড়ছিল। লিটন ফিরলেন আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে। অবশ্য অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে তুলে মারতে গিয়ে বড় গড়বড়ই করে ফেলেছেন তিনি। প্রথমে পেছনের পা সরিয়ে নিয়েছিলেন। এরপর সেটি জায়গায় এনে সামনের পা সরিয়ে সরিয়ে নিয়ে লং অফের ওপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন। সেখানে থাকা মার্ক অ্যাডাইরকে পার করাতে পারেননি। লিটন থেমেছেন ৩৯ বলে ৩৫ রান করে, তামিমের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৭৬ বলে ৭০ রান। নাজমুলের পর লিটন, দুজনই থিতু হলেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না কেউই।
বাংলাদেশ ২৪ ওভারে ১৩৯/৩।
অবশেষে তামিমের ফিফটি
জশ লিটলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল, তামিম ইকবাল সেটিতেই ব্যাট চালিয়ে পাঠিয়েছেন থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে। এ চারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৬তম ফিফটি হয়ে গেল বাংলাদেশ অধিনায়কের।
২০২২ সালের আগস্টে, হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তামিম। মাঝে ৯ ইনিংসে ৭ বারই অবশ্য দুই অঙ্ক পেরিয়েছিলেন, একবার ছিলেন অপরাজিত। সেই অপরাজিত ৪১ রানই ছিল এ সময়ে তাঁর সর্বোচ্চ।
আজ ১ রানেই জীবন পান, তবে এরপর ইতিবাচকই ছিলেন। প্রথম ৩০ বলে করেন ২৯ রান। যদিও এরপর একটু খোলসবন্দী ছিলেন, পরের ৩১ বলে তামিম করেন ২১ রান। এখন থেকে সেটি পুষিয়ে দিতে পারবেন তিনি?
ভুল শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হৃদয়
নিজের প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন জর্জ ডকরেল। তাঁকে সামনের পা সরিয়ে কাট করতে চেয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। তবে বল গেছে তাঁর ব্যাটের নিচ দিয়েই। লেংথ পড়তে পুরো ভুল করেছেন হৃদয়, সামনের পায়ে না এসে খেলতে গেছেন পেছনের পায়ে ভর করে। সেটির মাশুলও দিতে হলো তাঁকে। আগের ম্যাচে ফিফটি করা হৃদয় আজ থামলেন আগেভাগেই। ২২ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারাল ২ উইকেট।
২৮ ওভারে ১৫৯/৪।
তামিম-মুশফিকের ফিফটি
কতদূর যাবে বাংলাদেশ?
উইকেট বিলিয়ে এলেন তামিম
ধৈর্য ধরে রাখতে পারলেন না আর তামিম। জর্জ ডকরেলের ওপর চড়াও হতে গিয়েছিলেন ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে। তবে বলের লাইনে যেতে পারেননি, ক্যাচ উঠেছে শর্ট থার্ডম্যানে ক্রেইগ ইয়াংয়ের কাছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক উইকেট ছুড়ে এলেন ৮২ বলে ৬৯ রান করে। তামিমের ইনিংসে ছিল ৬টি চার। ৩৪তম ওভারে বাংলাদেশ হারাল পঞ্চম উইকেট, ডকরেল পেলেন দ্বিতীয় উইকেট।
ভাগ্যের ছোঁয়া মুশফিকের
২৪ বলে ১০ রান ছিল মুশফিকের। জশ লিটলের ৩৭তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে আরেকটু হলেই স্টাম্পে ডেকে এনেছিলেন বল। সেটি হয়নি, উলটো পেয়েছেন চার। এরপর সামনে এসেছিলেন, লিটল কমিয়ে আনেন লেংথ। মুশফিক সেটিতে ব্যাট চালিয়েছিলেন, যেটি নাগাল পাননি উইকেটকিপার লরকান টাকার। এরপর মুশফিকের ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে গেছে বল। মুশফিক এ ওভারে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছেন, ৭ ওভারে ৫৭ রান দেওয়া লিটল এখন পর্যন্ত সেটি পাননি। এর আগে তাঁর বলেই তামিমের সহজ ক্যাচ ফেলেছিলেন বলবার্নি।
লিটলের এ ওভারেই ২০০ পেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ১৩ ওভার বাকি, ৫ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০৫ রান। ক্রিজে বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত জুটি।
মুশফিক ছয়ে, হ্যাঁ নাকি না?
শেষ ১০ ওভারে ইনিংস
প্রথমে মুশফিকুর রহিম, পরে মেহেদী হাসান মিরাজ—ডকরেলকে দুই চার মেরেছেন ইনিংসের ৪০তম ওভারে। মাঝে তিনটি সিঙ্গেলসহ এসেছে ১১ রান। সর্বশেষ এত রান এসেছিলে ইনিংসের ১২তম ওভারে। ৪০ ওভার শেষে ২২৩/৫। বড় হচ্ছে মুশফিক ও মিরাজের জুটি।
সবার ওপরে মুশফিক
মূল্যবান জুটি
দলীয় ১৮৬ রানে আউট হয়েছিলেন তামিম ইকবাল, বড় স্কোরের পথে হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর থেকে দলকে টানছেন মুশফিক ও মিরাজ। ৫০ রানের জুটি হয়ে গেছে তাঁদের, দুজনের মধ্যে যেটি তৃতীয়। ৭ ওভার বাকি থাকতে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৪১ রান।
প্রশ্ন হলো, দুজন বাংলাদেশকে নিতে পারবেন ৩০০ পর্যন্ত?
স্লগ সুইপের চেষ্টায় এলবিডব্লু মুশফিক
স্কুপ করেছিলেন, সেটি লেগেছিল উইকেটকিপার লরকান টাকারের হেলমেটে। তাতে ছন্দপতন হয়নি, অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের ঠিক পরের বলেই স্লগ সুইপ করে ছক্কা মারেন মুশফিকুর রহিম। পরের বলে আবার বড় শট খেলতে গেলেন, এবার পুরোপুরি মিস করে গেলেন বল। আম্পায়ার মাইকেল গফের দেওয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করেছিলেন মুশফিক, তবে উইকেটে হয় আম্পায়ার্স কল। মুশফিক থামলেন ফিফটির আগেই, ৫৪ বলে ৪৫ রান করে। মিরাজের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৭২ বলে ৭৫ রান, ইনিংসে এখন পর্যন্ত যেটি সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ, ৪৫.৩ ওভারে ২৬১/৬।
শেষের আগে শেষ মিরাজের ইনিংসও
র্যাম্প শট খেলতে চেয়েছিলেন, লক্ষ্য ছিল থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে। তবে ব্যাটের ভেতরের দিকের কানায় লেগে ক্যাচ উঠলো ফাইন লেগে। মেহেদী হাসান মিরাজও ফিরলেন শেষের আগেই, ব্যক্তিগত ৩৭ রান করে। ৩০০ রানের পথে এবার বড় ধাক্কাই খেল বাংলাদেশ।
২৭৪ রানেই শেষ বাংলাদেশ
মৃত্যুঞ্জয় ক্যাচ তুলেও বেঁচে গেছেন, তবে ওই বলেই রানআউট হয়েছেন হাসান মাহমুদ। মোস্তাফিজুর রহমান এরপর মার্ক অ্যাডাইরের বলে কট-বিহাইন্ড কোনো রান না করেই। এরপর অ্যাডাইরের চতুর্থ শিকারে পরিণত হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ৭ বল বাকি থাকতে ২৭৪ রানেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস। ২১ বলে ১৩ রান তুলতে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাতেই মিলিয়ে গেছে ভালো শুরুটা।
শুরুতে নাজমুল হোসেন, মাঝে লিটন দাস, শেষে মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ—সবাই ভালো শুরু পেলেও ফিফটি পাননি কেউই। তামিম ইকবাল ফিফটি পেয়েছেন, তবে সেঞ্চুরির সুযোগ তিনি হারিয়েছেন উইকেট ছুঁড়ে এসে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রনি তালুকদার দ্রুত ফেরার পর নাজমুল হোসেন ও লিটন দাসকে নিয়ে যথাক্রমে ৪৯ ও ৭০ রানের জুটি গড়েন তামিম। তবে তাওহিদ হৃদয় বা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে বাংলাদেশ অধিনায়কের জুটি তেমন বড় হয়নি। তামিম ফেরার পর বড় স্কোরের পথে বাংলাদেশ হোঁচট খায় ভালোভাবেই।
মুশফিক ও মিরাজ এরপর আশা দেখান। ষষ্ঠ উইকেটে দুজন যোগ করেন ৭২ বলে ৭৫ রান। তবে তাঁদের জুটি ভেঙেছে একটু অসময়েই, শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেননি দুজনের কেউই। এরপর তো নেমেছে ধস।
ডোহেনিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু মোস্তাফিজের
হাসান মাহমুদউকে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে তুলে মেরেছিলেন পল স্টার্লিং। সীমানার একেবারে কাছ থেকে ডাইভ দিয়ে সেটিকে ফিরিয়ে দেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, সেটি সংগ্রহ করে থ্রো করেন আরেক অভিষিক্ত রনি তালুকদার। ৫ ওভার হয়ে গেলেও এখনো ব্যাট থেকে বাউন্ডারির দেখা পায়নি তাই আয়ারল্যান্ড। হাসানের সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানকে এনেছেন তামিম। প্রথম ৫ ওভারে আয়ারল্যান্ড তুলেছে মাত্র ১৭ রান।
ঠিক পরের ওভারেই আঁটসাঁট বোলিংয়ের পুরস্কার পেয়েছেন মোস্তাফিজুর। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে লিটনের হাতে ধরা পড়েছেন স্টিফেন ডোহেনি। ১৬ বল খেলে তিনি করেছেন ৪ রান, ১৭ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
ম্যাচের ফল কী হবে?
বেড়েছে রানের গতি
হাসান মাহমুদের জায়গায় ইবাদত হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় এসেছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারে মৃত্যুঞ্জয় দিয়েছেন ১১ রান। পল স্টার্লিং মেরেছেন ইনিংসের প্রথম ছক্কা। অ্যান্ডি বলবার্নি আসার পর থেকেই বেড়েছে আয়ারল্যান্ডের রানের গতি। সর্বশেষ ৫ ওভারে তারা তুলেছে ৩২ রান, ১০ ওভারের প্রথম পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোর ৪৯/১। এ সময়ে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬২/১।
এগোচ্ছে আয়ারল্যান্ড
ডোহেনিকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু দিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বলবার্নির দ্বিতীয় উইকেট জুটি বড় হচ্ছে। সুযোগ পেলে শটও খেলছেন তাঁরা। ব্যবহৃত উইকেটে ৪ পেসার খেলানোড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দলের একমাত্র স্বীকৃত স্পিনার মিরাজকে আনেননি তামিম। ১৫ ওভারে আয়ারল্যান্ড ১ উইকেটে তুলেছে ৭০ রান।
আয়ারল্যান্ড ১০২/১, ২১ ওভার
বড় হচ্ছে বলবার্নি ও স্টার্লিংয়ের জুটি। ২১তম ওভারের শেষ বলে ১০০ পেরিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ৪০ রানে অপরাজিত বলবার্নি, ফিফটি থেকে ৩ রান দূরে দাঁড়িয়ে স্টার্লিং। বাংলাদেশ বোলাররা চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন, তবে উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না।
পরের ব্রেকথ্রু?
স্টার্লিংয়ের ফিফটি
৫৮ বল, ৫০ রান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের স্টার্লিংয়ের ২৭তম ফিফটি। আয়ারল্যান্ড ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান পেলেন আরেকটি ফিফটি, সিরিজের প্রেক্ষিতে যেটির গুরুত্ব অনেক। দলকে রান তাড়ায় ভালোভাবেই এগিয়ে নিচ্ছেন অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান।
বলবার্নিরও ফিফটি, ১০০ রানের জুটি
স্টার্লিংকে অনুসরণ করলেন বলবার্নিও। ইবাদত হোসেনকে পুল করে মারা চারে ফিফটি হলো আয়ারল্যান্ড অধিনায়কের। ওই শটে স্টার্লিংয়ের সঙ্গে তাঁর জুটি ১০০ রানও পেরিয়ে গেল। বলবার্নির ফিফটি করতে লেগেছে ৭১ বল।
ইনিংসের ঠিক মাঝপথে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১ উইকেটে ১২০ রান। মানে শেষ ২৫ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১৫৫ রান।
জীবন পেলেন বলবার্নি
কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন বলবার্নি। হাত বাড়িয়েছিলেন মিরাজ, তবে সেটি আগেভাগেই। বল পড়েছে তাঁর হাতের নিচে। ৫২ রানে সে সময় ব্যাটিং করছিলেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক। মৃত্যুঞ্জয়ের এ ওভারের শেষ বলটি ছিল স্লোয়ার, স্টার্লিং সেটিতে টেনে লং অফ দিয়ে মেরেছেন চার।
ব্রেকথ্রু দিলেন ইবাদত
টাইমিং দারুণ হয়েছিল পুল শটটিতে। কিন্তু ডিপ মিডউইকেটে সরাসরি রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ তুলেছেন বলবার্নি। ইবাদত হোসেন ভাঙলেন ১০৯ রানের জুটি। বলবার্নি জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না সেভাবে, ৭৮ বলে ৫৩ রান তাঁর।
স্টার্লিং ক মৃত্যুঞ্জয় ব মিরাজ
২৫ ওভার শেষে প্রয়োজনীয় রান রেট ছিল ৬.২০। ৩১ ওভার শেষে সেটি এখন ৬.৭৮। মানে ১৯ ওভার আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন আরও ১২৯ রান।
‘ভালো যাচ্ছি, ভালো যাচ্ছি। একটা-দুইটা ইনশাআল্লাহ’—মিরাজের ৩২তম ওভার শুরুর আগে বলছিলেন মুশফিকুর রহিম! এবং সে ওভারের প্রথম বলেই ফিরলেন স্টার্লিং। অফ স্টাম্পে বাড়তি বাউন্সের বলে টেনে খেলতে গিয়ে আউটসাইড-এজড হয়েছেন স্টার্লিং, শর্ট থার্ডম্যানে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন মৃত্যুঞ্জয়! স্টার্লিং থেমেছেন ৭৩ বলে ৬০ রানে।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন টাকার
প্রথম উইকেটের রোমাঞ্চ মৃত্যুঞ্জয়ের! না, সেটির ঠিক ধারেকাছেও আদতে ছিল না বলটি। স্কুপ করতে গিয়েছিলেন লরকান টাকার, পায়ে লেগেছে ভেবে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার রলি ব্ল্যাক। তবে টাকার রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই, তাঁর পক্ষে রায় দিতে একটি রিপ্লেই যথেষ্ট হয়েছে টেলিভিশন আম্পায়ারের। টাকারের বাঁ পায়ে লাগার আগে যে বল লেগেছিল ব্যাটে।
টেক্টর ও টাকারের জুটি আপাতত আয়ারল্যান্ডের আশা। ৩৫ ওভারে তাদের রান ১৬৫/৩।
মৃত্যুঞ্জয়ের ওভারে ২১
হাই ফুলটসে নো, তাতে চার। ফ্রি হিটে টাকার বোল্ড হয়েছিলেন, কিন্তু সেটি আবার গেছে বাউন্ডারির বাইরে। এরপর আউটসাইড-এজে টাকার পেয়েছেন আরেকটি চার। শেষ বলে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসেছিলেন টাকার, এবার হয়েছে আরও বড় আউটসাইড-এজ। ফল একই—চার। মৃত্যুঞ্জয়ের করা ৩৭তম ওভারে এসেছে ২১ রান। এখন ৭৮ বলে ৮০ রান প্রয়োজন আয়ারল্যান্ডের।
৪০ ওভারে আয়ারল্যান্ড ২১৩/৩
টেক্টর ক লিটন ব নাজমুল!
টেক্টরকে ফেরাতে দারুণ কিছুর দরকার ছিল। লিটন দাস করলেন সেটিই। সেটি করলেনও আবার নাজমুল হোসেনের বলে! ৪২তম ওভারে নাজমুলকে আনেন তামিম। শর্ট লেংথের বলে পুল করেছিলেন টেক্টর। ওয়াইড লং অনে বেশ খানিকটা ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লিটন, নাজমুল পেয়েছেন প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটের দেখা। ৪৮ বলে ৪৫ রান টেক্টরের, টাকারের সঙ্গে তাঁর জুটিতে উঠেছে ৬৫ বলে ৭৯ রান।
৪৮ বলে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ৪৯ রান। বাকি ৬ উইকেট।
মোস্তাফিজের শিকার ক্যাম্ফার
ফিরলেন মোস্তাফিজুর, ফিরলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। ফুললেংথের বলে তুলে মেরেছিলেন ক্যাম্ফার, তবে সে শট যায়নি কোথাও। গেছে মিড অফে থাকা তামিম ইকবালের হাতে। ১ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে হুট করেই চাপে আয়ারল্যান্ড। জেগে উঠেছে চেমসফোর্ডের কাউন্টি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, উজ্জীবিত বাংলাদেশও!
এবার মোস্তাফিজের শিকার ডকরেল
জর্জ ডকরেল যতটা জোরে মেরেছিলেন মোস্তাফিজের স্লোয়ারে, ইয়াসির আলী নিয়েছেন ততটাই তীক্ষ্ণ ক্যাচ! মোস্তাফিজকে টেনে খেলেছিলেন ডকরেল, ক্যাচ গেছে কাভারে বদলি ফিল্ডার ইয়াসিরের হাতে। ৩২ বলে প্রয়োজন ৩৯ রান, তবে টাকারকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আছেন শুধু বোলাররা! ১৮ বল, ১১ রানের মধ্যে আয়ারল্যান্ড হারিয়েছে ৩ উইকেট।
২৪ বলে প্রয়োজন ৩৫
৩ ওভার, ১০ রান, ১ উইকেট। নাজমুলের বোলিং ফিগার এখন পর্যন্ত এমন। মোস্তাফিজুর ও হাসানের বাকি ৪ ওভার। শেষ ৫ ওভারে উঠেছে মাত্র ১৭ রান।
মোস্তাফিজের বলে টাকার বোল্ড
মোস্তাফিজ আবেদন করেই যাচ্ছিলেন! লরকান টাকার স্কুপ করতে গিয়ে যে স্টাম্প হারিয়েছেন মস্তাফিজ সেটি খেয়ালই করেননি! টাকারের পায়ে লেগেছিল আগে বল, তবে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। ৫৩ বলে ৫০ রান করেছেন টাকার, তবে এ ফিফটি নিশ্চয়ই কোনো তৃপ্তি দিচ্ছে না টাকারকে! আয়ারল্যান্ড ইনিংসে ধস আটকাচ্ছে না, নিজের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে আরেকবার এগিয়ে নিলেন মোস্তাফিজ!
দলে ফিরে মোস্তাফিজ বোলিং শেষ করলেন ৪৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে। ১৮ বলে আয়ারল্যান্ডের প্রয়োজন ৩২ রান।
১২ বলে ২৪
হাসান মাহমুদের শেষ বলে চার মেরেছেন মার্ক অ্যাডাইর। ১২ বলে প্রয়োজন ২৪ রান। হাসান নিশ্চিতভাবেই করতে আসবেন ৫০তম ওভার। তবে এ ওভার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে দিয়ে করাতে হবে। যিনি ৭ ওভারে দিয়েছেন ৫০ রান।
৬ বলে ১০
তৃতীয় বলে টেনে সাইটস্ক্রিন বরাবর ছক্কা মার্ক অ্যাডাইরের। পরের বলে এক্সট্রা কাভারে গ্যাপ বের করেছিলেন, তবে ডাইভ দিয়ে বাউন্ডারি আটকেছেন নাজমুল। পঞ্চম বলে পুল করেছিলেন অ্যাডাইর, ডানদিকে ডাইভ দিয়ে নাগাল পেলেও রাখতে পারেননি মিরাজ, তাতে হয়েছে চার। শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছে রেখেছেন অ্যাডাইর, ৪৯তম ওভারে এসেছে ১৪ রান।
৪ রানের রোমাঞ্চকর জয় বাংলাদেশের
প্রথমটিই স্লোয়ার বল, জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে পারতেন অ্যাডাইর। তবে তিনি করতে যান স্কুপ, একেবারেই ভুল শট বেছে নেওয়ার মাশুলও দিতে হয়। পরের বলে ক্রেইগ ইয়াং নিতে পারেন সিঙ্গেল। তৃতীয় বল অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে, আবার স্লোয়ার, এবার ম্যাকব্রাইন আউটসাইড-এজড, শর্ট থার্ডম্যানে সামনে ঝুঁকে ক্যাচ মৃত্যুঞ্জয়ের। চতুর্থ বলে লেগ বাই থেকে সিঙ্গেল। পঞ্চম বলেও ফুললেংথে স্লোয়ারই করেন হাসান, তাতে অবশ্য ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ইয়াং। শেষ বলে হাসানের ইয়র্কার পরাস্ত করে ইয়াংকে, বাংলাদেশের রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত হয় তাতেই!
প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর বাংলাদেশ জিতল দুটি রোমাঞ্চকর ম্যাচ, ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল তারা।
আপনার ম্যাচসেরা কে?
মানতে পারছেন না বলবার্নি
মেনে নেওয়া কঠিন। ম্যাচের অনেকটা জুড়েই আমাদের হাতে নিয়ন্ত্রণ ছিল। শেষ দিকে আমরা ফেলে দিয়েছি সেটি।
বলছেন ম্যাচসেরা মোস্তাফিজ
এটা আমার জন্য নরমাল তো! এক দিন আগে থেকে ভেবেছি ৫ উইকেট নেব।
সিরিজসেরা নাজমুল
আমি প্রতিদিনই বলি অধিনায়ককে বোলিং দিতে!