দুর্দান্ত ফর্মে আছে এবারের বিপিএলের নতুন দল সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের নবম আসর শুরুর পর প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে চার দিনই ম্যাচ ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির। চার ম্যাচেই জিতেছে সিলেট।
অধিনায়ক যেহেতু মাশরাফি বিন মর্তুজা, সিলেটের এমন পারফরম্যান্সে তাই নেতৃত্বগুণ সামনে চলে আসে। কিন্তু সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি কাল ঢাকা ডমিনেটরসকে হারানোর পর বললেন অন্য কথা। সিলেটের এমন দুর্দান্ত শুরুতে তাঁর একার অবদান নয়, গোটা দলই ভালো করেছে।
বিপিএলে সিলেট কখনো তেমন ভালো করতে পারেনি। ২০১৩ সালে তৃতীয় হয়েছিল দলটি। এবার ড্রাফটের বাইরে বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফিকে আগেই দলে টেনে নেয় সিলেট। তারপর শুরু দল গোছানো। মাঠে নেমে প্রথম চার ম্যাচেই বেশ বড় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪৫ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটে জয়ের পর ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটে। নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে সিলেটের জয় ৫ উইকেট ও ৬২ রানের ব্যবধানে। ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
দলের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে সব খেলোয়াড়ের অবদানকেই বড় করে দেখছেন মাশরাফি, ‘পুরো দলের সবাই চেস্টা করেছে শুরু থেকেই। মাঠের খেলা নিয়ে তো কিছু বলা যায় না, আমরা মাঠের বাইরের ব্যাপারগুলো ঠিকঠাক রাখার চেষ্টা করছি যেন মাঠে তার প্রতিফলন পড়ে। তাই আমার কাছে মনে হয়, শুধু আমাকে ঘিরে নয় (ইটস নট অ্যাবাউট মি), ব্যাপারটি গোটা দলেরই।’
এবারের বিপিএলের শুরু থেকেই নানা কারণে সমালোচিত হচ্ছে বাংলাদেশের একমাত্র টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। কিন্তু অনেক সমালোচনার মধ্যেও মাঠের ক্রিকেটটা ভালো হচ্ছে বলেই দাবি মাশরাফির। মিরপুর স্টেডিয়ামের উইকেট ভালো থাকায় সেটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘উইকেট ভালো হলে খেলা সহজ হয়। এমনিতে উইকেট তো চট্টগ্রামে গেলেই শুধু ভালো পাওয়া যায়। (মিরপুরে) এমন উইকেট তো পাওয়া যায় না। তিন দিন যে উইকেট দেখলাম, দারুণ উইকেট। এমন উইকেট হলে কিছু ক্রিকেটার আমরা তৈরি করতে পারব। এটা খুব ভালো দিক যে এত সমালোচনার মধ্যেও মাঠের খেলাটা ঠিক আছে।’
বিপিএলে এবারও ডিআরএস নেই। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এডিআরএস রাখা হয়েছে। আম্পায়ারিংয়ের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এরই মধ্যে কয়েকটি ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্ক জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের।
মাশরাফি মনে করেন, আম্পায়ারিং ভালো করার দায়িত্বটা আম্পায়ারদেরই নিতে হবে, ‘দিন শেষে কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে আম্পায়ার যদি তাঁর মান ওপরে নিতে না পারেন, এটা তাঁর ব্যাপার। বাইরে থেকে আম্পায়ার আনা যায়। কিন্তু আমি বলব, আমাদের আম্পায়ারদেরও সুযোগ দিতে হবে। তাঁরা এখন থেকে যদি কিছু শেখে, তাহলে ভালো। কিছু ভুল সিদ্ধান্ত হবেই, এটা স্বাভাবিক। যেহেতু স্নিকো বা অন্যান্য কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয়, কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত যদি নেওয়া যায় মাঠে, যে রকম আমরা বাইরে দেখি বা আন্তর্জাতিক ম্যাচে, সে রকম স্ট্যান্ডার্ড সেট করতে হলে আম্পায়ারদেরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।’