আমার অধিনায়কত্ব সরল: পান্ডিয়া
এবারের আইপিএলে যতটা না আলোচনায় ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, তার চেয়ে বেশি আলোচিত ছিলেন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথমবার মুম্বাইকে নেতৃত্ব দেওয়া এই অলরাউন্ডার অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বারবার। ব্যাটে-বলেও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। মুম্বাইও প্লে–অফে ওঠার আগেই ছিটকে গেছে। টুর্নামেন্টে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচের আগে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে কথা বলছেন পান্ডিয়া। নিজের অধিনায়কত্ব ফলকেন্দ্রিক নয় বলে দাবি করেছেন পান্ডিয়া।
স্টার স্পোর্টস প্রকাশিত এক ভিডিওতে পান্ডিয়া বলেছেন, ‘আমার অধিনায়কত্ব সরল। হার্দিক পান্ডিয়া তাঁর ১০ জন সতীর্থকে নিয়ে খেলছে। কৌশলটাও সরল—খেলোয়াড়দের দেখাশোনা করা, আত্মবিশ্বাস দেওয়া, ভালোবাসা দেওয়া। তারা মাঠে গিয়ে শতভাগের বেশি দেবে, এটাই আমি তাদের কাছে চাই। আমি ফলকেন্দ্রিক অধিনায়ক নই, অ্যাপ্রোচটা গুরুত্ব দিই।’
পান্ডিয়া যোগ করেন, ‘আমি দেখি, খেলোয়াড়েরা মাঠে কী মনোভাব প্রদর্শন করেন এবং আমার মনে হয় এটাই দলের জন্য ভালো। আমার মনে হয়, সামনে গিয়ে কখনো না কখনো এটা দলকে সাহায্য করে।’
অধিনায়ক হিসেবে এবার ব্যর্থ হলেও আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়াকে সফলই বলতে হবে। এই মৌসুমের আগে গুজরাট টাইটানসকে দুই মৌসুমে নেতৃত্ব দিয়েছেন পান্ডিয়া। ২০২২ সালে অভিষেক মৌসুমে গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করেন পান্ডিয়া। পরের মৌসুমে অর্থাৎ ২০২৩ সাল গুজরাট খেলেছে ফাইনাল। শেষ দুই বলে চেন্নাই সুপার কিংসের রবীন্দ্র জাদেজা ১০ রানের সমীকরণ মিলিয়ে না ফেললে চ্যাম্পিয়ন হতো সেবারও। পান্ডিয়া দুই মৌসুমে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে।
তবে এবারের মৌসুমটা ভুলে যেতেই হয়তো চাইবেন পান্ডিয়া। ট্রল, সমালোচনার জবাব দেওয়ার জন্য যে পারফর্ম করার প্রয়োজন ছিল, মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হিসেবে পান্ডিয়া তার ধারেকাছেও করতে পারেননি। ব্যাট হাতে ১২ ইনিংসে করেছেন ২০০ রান। গড়টা ২০–এরও কম। অন্যদিকে বল হাতে ১১ উইকেট নিয়েছেন, সেটা আবার ১০.৫৮ ইকোনমি রেটে।
এই পান্ডিয়াই এবারের বিশ্বকাপে ভারতের সহ-অধিনায়ক। নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মার অবর্তমানে ভারতকে একাধিকবার নেতৃত্ব দিয়েছেন পান্ডিয়া। রোহিত নেতৃত্ব ছেড়ে দিলে স্থায়ীভাবে পান্ডিয়াই ভারতের অধিনায়ক হবেন বলে মনে করেন অনেকে।
এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে মুম্বাইয়ের জয় ৪টিতে। তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার তলানিতে। আজ রাত ৮টায় তারা খেলবে লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে।